টুকরো খবর |
নিখরচায় অস্ত্রোপচার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কিডনির টিউমার থেকে শরীরে ক্যানসার ছড়াতে শুরু করেছিল। দুঃস্থ ভ্যানচালকের কিডনিতে বেড়ে চলা সেই টিউমারের অস্ত্রোপচার হল নিখরচায়। অস্ত্রোপচার করে কিডনির টিউমার বাদ দিয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন ভ্যান চালক রাজ্যমোহন রায়। এই অস্ত্রোপচার নিখরচায় করা সম্ভব হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা কার্ডের সৌজন্যে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও শহরের একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে। দিন দশেক আগে অস্ত্রোপচার হওয়ার পরে বুধবার নার্সিংহোম থেকে ছুটি পেয়েছেন রাজ্যমোহন রায়। কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামের বাসিন্দা রাজ্যমোহনবাবু। গত তিনমাস ধরে তিনি পেট ব্যাথায় ভুগছিলেন। সেইসঙ্গে মূত্রের সঙ্গে রক্তও বার হয়। হলদিবাড়ি হাসপাতাল, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে তাঁকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও ভর্তি থাকতে হয়। সেখানেই ক্যানসার ধরা পড়ে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয়। আর্থিক সঙ্গতির অভাবে কলকাতায় নিয়ে যেতে না পেরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে মিনু রায় ফের জলপাইগুড়িতে চলে আসেন। চিকিৎসক রজত ভট্টাচার্য চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসকের উদ্যোগেই জাতীয় স্বাস্থ্যবিমার কার্ড দেখিয়ে শহরের রাজবাড়ি পাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন রাজ্যমোহনবাবু। গত ৭ মে অস্ত্রোপচার করে রাজ্যমোহনবাবুর কিডনি থেকে প্রায় ২ কেজি ওজনের টিউমার বাদ দেওয়া হয়। এদিন নার্সিংহোমে ছুটি পাওয়ার আগে তিনি বলেন, “এখন ভাল আছি। চিকিৎসকই বাঁচিয়ে দিলেন।” চিকিৎসক রজতবাবু বলেন, “এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। ওঁনাদের কাছে রাষ্ট্রীয় বিমার কার্ড থাকায় সুবিধা হয়েছে।”
|
বলাগড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশুর মৃত্যু, ক্ষোভ গ্রামবাসীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড় |
এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে বলাগড়ের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র উত্তজেনা দেখা দেয় বুধবার দুপুরে। মৃত শিশুটির বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে উত্তেজিত গ্রাামবাসীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চড়াও হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বলাগড়ের কামারডাঙ্গা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে তৃষা দাস নামে (১ মাস সাত দিনের) একটি শিশু ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তাতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাকে দ্রুত জিরাটের আহমেদপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তার বাড়ির লোকজন। গ্রামবাসীরা চড়াও হন কামারডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। অপুষ্ট ছিল। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই শিশুটির বাড়ির লোকজনের চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। তাই আমরা ওই শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
|
চিকিৎসার অবহেলায় মৃত্যুর নালিশ খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। মৃতের নাম সুরেশ সরকার (২৭)। বাড়ি খড়্গপুর শহরের তালবাগিচায়। চিকিৎসার অবহেলায় অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ‘চড়াও’ হন। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর তদন্ত করবে। পেটে ব্যথা নিয়ে সোমবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুরেশ। মঙ্গলবার সন্ধের পর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার জন্যই এই মৃত্যু। তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। আসেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান জহরলাল পালও। গোলমালের জেরে অন্য রোগীর পরিবারের লোকজনকেও সমস্যায় পড়তে হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, মৃতের দাদা সত্যসাধন সরকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দু’টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১) চিকিৎসার অবহেলাতেই এই মৃত্যু। ২) কর্তব্যরত নার্সরা রোগীর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্রকে জানান। সুপার বলেন, “মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনার কথা জানিয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ তদন্ত হবে।”
|
ডায়েরিয়ার প্রকোপ আরামবাগের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে আরামবাগের সারাটি গ্রামে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গ্রামের মালিকপাড়া এবং প্রতিহারপাড়ায় প্রায় ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ৫ জনকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, পুকুরের দূষিত জল ব্যবহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধা না মানার কারণে ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে ওই দুই এলাকায়। বুধবার ওই গ্রামে চিকিৎসকদের একটি দল পাঠানো হয়। এলাকা দু’টি পরিদর্শনের পরে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, “বাড়ি বাড়ি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আক্রান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুকুর এবং পানীয় জলের কলগুলিকে শোধন করার জন্য পঞ্চায়েতের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।” বিএমওএইচ অমিত দাস জানান, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নজরদারি করছেন। আতঙ্কের কিছু নেই। ওই গ্রামটি পুড়শুড়া বিধানসভা এলাকায় পড়ে। বিধায়ক পারভেজ রহমানও এ দিন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ের তদারক করেন।
|
ডায়ালিসিস হচ্ছে না, বিক্ষোভ দুর্গাপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
এত দিন দুর্গাপুরের একাধিক হাসপাতালে ডায়ালিসিস করানো যেত। সম্প্রতি সে পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডায়ালিসিসের জন্য ছুটতে হচ্ছে বর্ধমান বা কলকাতায়। প্রতিবাদে বুধবার দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। রোগীদের অভিযোগ, ইএসআই হাসপাতালে ডায়ালিসিসের সুবিধা নেই। কিন্তু এই হাসপাতালের মাধ্যমে তাঁরা দুর্গাপুরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করানোর সুযোগ পেতেন। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে দুর্গাপুরের হাসপাতাল গুলিতে ডায়ালিসিসের সুবিধা পাবেন না রোগীরা। তাঁরা এ দিন সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দুর্গাপুরের হাসপাতাল গুলি চুক্তি নবীকরণ করতে রাজি না হওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সমাধানের সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার শোভন পন্ডা। তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে ইএসআই হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে রোগীদের বর্ধমান পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
|
বাড়তি নম্বর নিয়ে নির্দেশ আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরে ভর্তির পরীক্ষায় দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়তি নম্বরের পক্ষেই কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র বুধবার বলেন, ওই সব এলাকায় চিকিৎসকেরা বিদ্যুৎ পান না, ল্যাপটপ পান না, অনেক কষ্টে পড়াশোনা করেন। শহরের ডাক্তারেরা এ-সব পান। তাই তাঁদের পক্ষে পরীক্ষায় ভাল ফল করা সহজ। আজ, বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। বিচারপতি প্রতাপ রায় এ দিনও বলেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল করেও ফাউ নম্বরের সুবাদে ভর্তির ব্যাপারটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের যে-সব ছাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন, তাঁরাও তো অনেক কিছুই পান না। তা হলে তো তাঁদের জন্যও বেশি নম্বরের ব্যবস্থা করা উচিত। তা ছাড়া সরকার তো নিজেরাই জানিয়ে দিয়েছে, দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকা বাছাইয়ের ভিত্তি তেমন জোরালো নয়।
|
বনগাঁয় চালু ইএসআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
রাজ্য কর্মচারি বিমা চিকিৎসা সুবিধা প্রকল্পে বনগাঁ মহকুমায় চালু হল একটি সার্ভিস ডিসপেনসারি। রাজ্যের শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে এবং পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির সহযোগিতায় বুধবার স্থানীয় পেয়াদাপাড়ায় ওই সার্ভিস ডিসপেনসারির উদ্বোধন করেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্বদেশ মণ্ডল, পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির সম্পাদক সুভাষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “এর ফলে ইএসআই কার্ড থাকা মহকুমার প্রায় এক হাজার পরিবার চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহের সোম থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ডিসপেনসারি খোলা থাকবে।
|
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ -কর্মীদের স্বাস্থ্য -পরীক্ষা শিবির হল বুধবার। তমলুক থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই শিবিরের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন। তিনি পুলিশ -কর্মীদের চিকিৎসা বিমা করারও পরামর্শ দেন। তমলুক মহকুমার ছ’টি থানার পুলিশ -কর্মীদের জন্য আয়োজিত এই শিবিরে ১৫০ জন পুলিশ -কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ) উৎপল নস্কর, তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পারিজাত বিশ্বাস ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপার জানান, জেলার প্রতি মহকুমাতেই এই ধরনের স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে।
|
কন্যাভ্রূণ হত্যায় ধৃত চিকিৎসক |
সংবাদসংস্থা • যমুনানগর (হরিয়ানা) |
কন্যাভ্রূণ নষ্ট করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক মহিলা-চিকিৎসক। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে হরিয়ানার যমুনানগরের অভিজাত এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রিয়ঙ্কা নামে ওই চিকিৎসককে ধরা হয়। গত পাঁচ বছর ধরে ওই বাড়িতে নিজের বোনের সঙ্গে ক্লিনিক চালাতেন তিনি।
|
পিরামলের অধিগ্রহণ |
আমেরিকার ওষুধ সংক্রান্ত গবেষণা ও উপদেষ্টা সংস্থা ডিসিশন রিসোর্সেস গোষ্ঠীকে হাতে নেবে পিরামল হেল্থকেয়ার। ব্যয় হবে ৩,৪০০ কোটি টাকা। আগামী মাসেই তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা।-পিটিআই |
|