|
|
|
|
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চার পরিবহণকর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একেই বলে সর্ষের মধ্যে ভূত।
একই নম্বরের গাড়ি চলছে কলকাতা এবং ওড়িশায়। আবার, ভুয়ো নম্বরের গাড়ির দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। আড়াই বছর ধরে এমনই সব দুর্নীতির দায়ে উত্তর ২৪ পরগনার দুই আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা (আরটিও) এবং দুই উপ-অধিকর্তার (এআরটিও) বিরুদ্ধে বুধবার বারাসত থানায় এফআইআর দায়ের করলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনসল। ওই দুই উপ-অধিকর্তা এক সময়ে পরিবহণ অধিকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
এ দিন জেলাশাসক বলেন, “আপাতত তদন্তে ৮টি ভুয়ো নম্বরের গাড়ির সন্ধান মিলেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়বে। এই অপরাধের জন্য চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের ও রাজ্য পরিবহণ দফতরে জানানো হয়েছে।” ভুয়ো নম্বর নিয়ে কলকাতায় ঘুরে বেড়ানো ৮টি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযুক্ত চার জনের মধ্যে রয়েছেন বারাসতের দুই প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা প্রবুদ্ধ দাশগুপ্ত ও রঞ্জন সেন। এর মধ্যে প্রবুদ্ধবাবু সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। এ দিন তিনি বলেন, “ঘটনার কথা জানা নেই।” অন্য দিকে, রঞ্জন সেন বর্তমানে বদলি হয়ে কলকাতার বেলতলা পরিবহণ দফতরে কর্মরত। এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “কী ভাবে কী হল, বুঝতে পারছি না। খোঁজ নিচ্ছি।” দুই উপ-অধিকর্তার মধ্যে এক জন সৌরেন দাস। বারাসতে কর্মরত সমীররঞ্জন প্রামাণিক নামে অন্য উপ-অধিকর্তাকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এই জেলার পরিবহণ দফতরে দুর্নীতি নতুন কোনও ঘটনা নয়। ওই দফতরে সক্রিয় দালাল-চক্র নিয়েও অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। অভিযোগ, এমনি পরিষেবা পেতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় সাধারণকে। তবে দালালদের হাত ঘুরে গেলে সমস্যা মিটে যায় দ্রুত। মাসখানেক আগেও ওই দফতরের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু জেলা পরিবহণ দফতরের চার সর্বোচ্চ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এই প্রথম। |
|
|
|
|
|