বছর ঘুরে গিয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার। চলছে তার বিকিকিনিও। এমনকী নির্দিষ্ট মাইক্রনের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার-বিধিও মানার তোয়াক্কা করছে না।
বিয়ের মরশুম থেকে সরকারি অনুষ্ঠান। কিংবা নিত্যদিনের দোকান-বাজার, সবেতেই অবাধে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ। চায়ের দোকানে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কাপ পুরসভা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও ভাঁড় ঠেলে তার ব্যবহার চলছে খোদ পুরসভাতেও। কেন? |
পুরসভার সাফাই, গত দশ মাসে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে সব রকমের চেষ্টা করা হয়েছে। দোকানে দোকানে নোটিস দিয়ে, মাইকে ঘোষণা করে, লিফলেট বিলি করে এমনকী গত মাসে পুলিশের সঙ্গেও অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তরফ থেকেই সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। উল্টে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ফলে এখন আবার নতুন করে মাইকে প্রচার করা শুরু হয়েছে। তবে বেলডাঙা বড়ুয়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মুক্তাদির মোল্লা বলেন, “এই এলাকায় শহরের সবচেয়ে বেশি দোকানপাট রয়েছে। কিন্তু নজরদারির অভাবেই এই অবস্থা। তবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধে আমরা পুরসভার সঙ্গেই আছি।” বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরীরও একই কথা। বেলডাঙা ছাপাখানা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুজাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শহরকে ক্যারিব্যাগ মুক্ত করতে সমিতির তরফ থেকে একশো’র বেশি দোকানে লিখিত নির্দেশিকা দিয়েছি।” তা সত্ত্বেও এ অবস্থা কেন? বাইরে থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে আসা-যাওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ফলে চারপাশ থেকে অনেকভাবেই ক্যারিব্যাগ ঢুকছে শহরে। |