|
|
|
|
‘খুনি’র শাস্তির দাবি, বিক্ষোভ আদালতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
বধূ নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় শ’দুয়েক মহিলা। আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তদের আক্রমণের ঘটনাও ঘটল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পয়লা মে হুগলির শেওড়াফুলির চারাবাগান এলাকার প্রতিমা হাজরা (২৪) নামে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহাত্যা করেন। মেয়েটির বাবা গণেশ ধারা শ্রীরামপুর থানায় ওই দিনই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী অভিজিৎ হাজরা, তাঁর দাদু রবিরাম বাগ, দিদিমা আন্না বাগ, মামা অশোক বাগ এবং মামি দুর্গা বাগকে গ্রেফতার করে। ২ মে তাঁদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতের নিদেশ দেন। বুধবার অভিযুক্তদের ফের শ্রীরামপুর আদালতে তোলার সময় মৃতার বাপের বাড়ি এলাকার প্রায় শ’দুয়েক মহিলা ‘খুনি’ র শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকাডর্র্ নিয়ে আদালতে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযুক্তদের আদালতে তোলার সময় তাঁদের মারারও চেষ্টা করেন। বিক্ষোভের কারণে আগে থেকেই নিয়োগ থাকা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আদালতের নির্দেশ ঘোষণা অবধি বিক্ষোভকারীরা আদালত চত্বরেই ছিলেন। অভিযুক্তদের এসিজেএম রতন দাসের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তাঁদের আরো ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ডানকুনির মোল্লোবেড় এলাকার বাসিন্দা প্রতিমার সঙ্গে ২০১০ এর অগস্ট মাসে বিয়ে হয় হুগলির শেওড়াফুলির চারাবাগান এলাকার অভিজিতের। সিঙ্গুরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ চারাবাগান এলাকায় তার মামারবাড়িতে থাকত। প্রতিমার বাবা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে প্রতিমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত। গত পুজোর আগে প্রতিমা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িও চলে গিয়েছিল। সম্প্রতি ১ লক্ষ টাকা পণের দাবি করা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|