|
|
|
|
ব্যবসায়ীর খোঁজ নেই, ধন্দে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও কলকাতা |
আরও একটা দিন পেরিয়ে গেল। কিন্তু আসানসোলে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কলকাতার ব্যবসায়ী কৌশিক দাশগুপ্তের সন্ধান পেল না পুলিশ।
বুধবার আসানসোল-দুর্গাপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শীষরাম ঝাঝরিয়া জানান, কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নানা সূত্র ধরে কৌশিকবাবুর হদিস পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। সোমবার আসানসোলে গিয়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কৌশিকবাবুর স্ত্রী পিয়ালি দাশগুপ্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘মুক্তিপণ’ চেয়ে বা কোনও খবর নিয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে এ দিন তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গড়িয়া মিলন পার্কের বাসিন্দা কৌশিকবাবু ‘চেন মার্কেটিং’ জাতীয় ব্যবসায় যুক্ত। স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মা ছাড়াও বাড়িতে আছেন ইঞ্জিনিয়ারিং-পড়ুয়া মেয়ে। ঢাকুরিয়ায় মহারাজা টেগোর রোডে তাঁর অফিস। ব্যবসায় শুভব্রত দাশগুপ্ত নামে তাঁর এক সঙ্গী আছেন। বেশ কিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা ‘এজেন্ট’ নিয়োগ করছিলেন। গত ১০ মে তিনি আসানসোলে গিয়ে সেন র্যালে রোডে একটি হোটেলে ওঠেন। পরের দিন সকালে সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বাড়ির লোকজনের যোগাযোগ ছিল। তার পর থেকে তাঁর দু’টি মোবাইলই বন্ধ। ঘটনাচক্রে, যে দিন কৌশিকবাবু আসানসোলে পৌঁছন, সেই ভোরেই বার্নপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বামাপদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্পণ। পরের দিন সিপিএমের ডাকে বার্নপুর বন্ধ ছিল। একটি সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর এসেছে, অর্পণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কৌশিকবাবুর ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। মাসখানেক আগেও ব্যবসার ব্যাপারে দু’জনে বৈঠক করেছেন। এ বারও তাঁদের দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অর্পণবাবু খুন হয়ে যান। তবে মঙ্গলবারই আসানসোলের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওই খুন ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র তাঁরা পাননি। এ দিন ডিসিপি শীষরাম ঝাঝরিয়াও দু’টি ঘটনার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|