প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পথ চলা |
কোচবিহার-দিনহাটা রুটে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপিয়ে চলছে ওভারলোডেড যাত্রীবাহী গাড়ি। শুধু বেসরকারি বাসই নয়, এই বেআইনি ভূমিকায় দেখা যায় সরকারি যাত্রীবাহী বাসকেও। ছাদের ওপর ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিয়ে এরা নিশ্চিন্তে চলছে গন্তব্যে। এই দৃশ্য এই রুটে নিত্য দেখা যায়। ফলে প্রায়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনা এড়াতে ওভারলোড আইন থাকলেও কী এক অদ্ভুত জাদুতে প্রকাশ্যে ব্যাক ক্যারিয়ার এবং ছাদে মানুষ তুলে রুটের ছোট-বড় বাসগুলি চলছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। বাড়তি কিছু লাভের আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এমন যাত্রা। এমনিতেই রাস্তার খারাপ অবস্থার জন্য দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা প্রবল। ওভারলোডিং আমাদের নিত্য ভাবিয়ে তুলছে। কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি নিয়ে ভাববেন কি?
শুভাশিষ দাশ। দিনহাটা, কোচবিহার
|
বর্তমানে অনেক দেশই তীব্র জলসংকটে ভুগছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও কিছু দেশ শীঘ্রই এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে। লাগাতার লোকসংখ্যা বৃদ্ধিই এর মূল কারণ।লোকসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ভূগর্ভস্থ জলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। বাড়ির কুয়ো থেকে যত খুশি জল তোলা হচ্ছে। পৌরসভা এলাকার সারা দিন খোলা কল দিয়ে জল পড়ছে। শিল্পক্ষেত্রে প্রচুর জল ব্যবহার করায় জলের ভাণ্ডারে টান পড়ছে। শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দ্রব্য জলে মিশে গিয়ে মজুত জলকে দূষিত করছে। ফলে কেঁচো, ব্যাং, ইঁদুর মরে যাচ্ছে। মাটির উর্বরতা শক্তি কমছে। আর তৈলবাহী জাহাজ সমুদ্রপৃষ্ঠে ধ্বংস হলে তো তৎক্ষণাৎ তেল জলে মিশে সামুদ্রিক প্রাণী মেরে ফেলছে। জলসংকটে মাটি ফেটে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসে জলের অভাবে।নদীর জল, ভূগর্ভস্থ জল, বৃষ্টির জল এবং সমুদ্র জলের প্রধান উৎস। এত রকম উৎস থাকা সত্ত্বেও জলসংকট দেখা যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে আমাদের অচেতনতা। সমস্যা মেটাতে বৃষ্টির জলকে ব্যাপক ভাবে কাজে লাগানো দরকার। জলাধার তৈরি করে সেই জলকে ব্যবহার করা যায়। তাই জলাশয় ও জলাধারগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন। জল সরবরাহের পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েও জল অপচয় হয়।
এ সবই আমরা সবাই কম-বেশি জানি। অথচ প্রতি বছর বিশ্ব জলদিবস আসে আর চলে যায়। খাতায় কলমে কিছু লেখালেখি হয়। কিন্তু বাস্তবে কোনও রকম উদ্যোগ দেখা যায় না। আর আমরা নাগরিকরা সচেতন না হয়ে যে তিমিরে থাকি সেখানেই রয়ে যাই। চলতে থাকে অপচয়।
বিপ্লবকুমার সরখেল। রাজবাড়ি
হাউজিং কমপ্লেক্স, কোচবিহার
|
কয়েক বছর আগেকার মালদহ জেলার কালিয়াচকের কৃষিব্যবস্থার সঙ্গে বর্তমানের কৃষিব্যবস্থার তুলনা করলে বিরাট পার্থক্য লক্ষ করা যায়। বিঘা বিঘা পতিত জমি পড়ে থাকে। কোথাও শুধু আম বা লিচু বাগান। শাক-সব্জি বা শস্য চাষ দেখাই যায় না। অতীতে এখানে রেশম চাষের রমরমা ছিল। এখনও কিছু ব্যবসায়ী ক্ষতি সত্ত্বেও মালদহের গৌরবকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শেষমেষ এখানে কিছুই হয়ে উঠছে না দক্ষ শ্রমিকের অভাবে।
এ সবের কারণ হল অঞ্চলের বহু ছেলে, এমনকী কিশোররাও বেশি অর্থ উপার্জনের তাগিদে অন্য জেলা বা রাজ্যে শ্রমিক হিসেবে খাটতে যায়। একে বলে ‘দাদন প্রথা’। ফলে এখানে কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত শ্রমিক মেলে না।
বিগত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে মালদহে বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরাও উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। ফলে তাঁরাও বিকল্প হিসেবে ‘দাদন প্রথা’ বেছে নিচ্ছেন। এমনিতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অন্যান্য কারণের জন্য মালদহে ফল ব্যবসা মার খাচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারটিতে গুরুত্ব না দিলে এ রকম চলতেই থাকবে। মার খাবে এখানকার কৃষিব্যবস্থা।
উত্তমকুমার সরকার। কালিয়াচক, মালদহ
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি- ৭৩৪৪০১ |
|