টুকরো খবর
বিস্ফোরক-সহ পঞ্চায়েত সদস্য গ্রেফতার
প্রায় ৬ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক-সহ কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সুতির পুরাপাড়া কলোনির ঘটনা। ধৃতের নাম ফেরামিন শেখ। ২০০৮ সালে সিপিএমের প্রতীকে বাজিতপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হন তিনি। পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হন। এরপরে বামফ্রণ্টের আনা অনাস্থায় অপসারিতও হন। সুতির কংগ্রেস বিধায়ক ও ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইমানি বিশ্বাস বলেন, “আমরা এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছি। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাতে পুরাপাড়া কলোনিতে হানা দিয়ে দু’টি প্যাকেটে রাখা বিস্ফোরক-সহ ধরা হয় ফেরামিনকে। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। রবিবার সকালে তাঁর সমর্থনে কংগ্রেস সমর্থকেরা সুতি থানায় বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, ফেরামিন শেখকে জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হলে তাকে আপাতত জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ফের শুনানি হবে সোমবার।

কৃষ্ণনগরে কুপিয়ে খুন
দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন কুরবান মণ্ডল (৩২) নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি হাঁসখালির বড়চুপরিয়া গ্রামে। শনিবার রাতে বাড়ির উঠোনেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে কুরবান মণ্ডলের স্ত্রী জেসমিন মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেসমিন স্থানীয় বাসিন্দা মজিদ মণ্ডল ও বদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, টাকা পয়সার লেনদেনজনিত কোনও কারণে খুন করা হয়েছে কুরবানকে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। নিহত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সমাজবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগ আছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বাংলাদেশের বাসিন্দা কুরবান হাঁসখালিতে বসবাস শুরু করেন। চাষবাস করতেন তিনি। তার নামে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। এলাকারই বাসিন্দা রামনগর-বড়চুপরিয়া-১ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ইছাব অলি মণ্ডল বলেন, “নিহতের স্ত্রী যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের সঙ্গে কুরবান মণ্ডলের মেলামেশা ছিল।”

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আবদুল আজিজ শেখ (৫২) নামে এক ব্যক্তির। রবিবার দুপুরে বহরমপুরের শাহাজাদপুরের বাসিন্দা আবদুল ধান কেটে গরুর গাড়িতে তুলছিলেন। বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এলে আবদুলের মৃত্যু হয়। তাঁর ভাই রফিক শেখও গুরুতর জখম হন। তাঁকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শাহাজাদপুর পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের জগাই রায় বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ওই হাই-টেনশন বিদ্যুতের তার ঝুলে রয়েছে। এ দিন ওই ব্যক্তি গরুর গাড়িতে ধান বোঝাই করার পরে তা বেঁধে রাখার জন্য বাঁশ দেওয়া হয়। ওই বাঁশ বাঁধার সময়ে কোনও ভাবে বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তি মারা যান। সমস্ত ধানও পুড়ে গিয়েছে। দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন ভাই রফিক শেখও। তাঁকে বহরমপুরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” বিদ্যুৎ দফতরের কান্দি ডিভিশনের সহকারি বাস্তুকার মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “১ লক্ষ ৩২ হাজার ভোল্টের ওই বিদ্যুতের তার কোনও ভাবে ঝুলে পড়েছে। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বহরমপুরে অস্বাভাবিক মৃত্যু ছাত্রীর
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সোহিনী মৈত্র (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর। বাড়ি বহরমপুর লাগোয়া সুতির মাঠ। রবিবার সকালে জল খাওয়ার পর থেকেই সোহিনীর গলায় জ্বালা ও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তার মা। তাকে দ্রুত বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই সোহিনী মারা যায়। গীতারাম একাডেমীর ওই ছাত্রী মামার বাড়িতেই মা জয়া মৈত্র (চক্রবর্তী)-র সঙ্গেই থাকত। স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে মনোমালিন্য না হওয়ায় গত দেড় বছর ধরে জয়াদেবী বাবার বাড়িতেই রয়েছেন। সোহিনীর এক আত্মীয় অমিত আচার্য বলেন, “এ দিন সকালে জল খাওয়ার সময়ে সোহিনী গ্লাসের মধ্যে যে বিষাক্ত কাঠপিঁপড়ে ছিল তা দেখেনি। এর পরেই গলা জ্বালা করতে থাকে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছিল সোহিনী। মাঝে একবার বমিও করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জ্ঞানও হারায়। ” চিকিৎসক ওবাইদুর রহমান বলেন, “অচৈতন্য অবস্থায় ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অক্সিজেন-স্যালাইনও দেওয়া হয়। মেয়েটি জলের সঙ্গে পিঁপড়ে খেয়ে ফেলে বলে জানিয়েছেন বাড়ির লোকেরা। তবে গলায় পিঁপড়ে কামড়ানোয় এই বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে হয় না। এই ধরণের পিঁপড়ের কামড়ে কারও মৃত্যু হতে পারে না। জলের সঙ্গে ওই ছাত্রী সম্ভবত বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলেছিল। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।”

বাবাকে খুনে অভিযুক্ত ছেলে
পারিবারিক গণ্ডগোলের জেরে বাবাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করেছিল ছেলে। শনিবার রাতে রানিনগরের কাতলামারি গ্রামের এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় লাভু শেখকে (৪০) বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ডোমকলের এসডিপিও দেবর্ষী দত্ত বলেন, “বচসার সময়ে ছেলে সামিম শেখ লাভু শেখকে মারধর করে বলে সামিমের মা সেলিনা বিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সামিম পলাতক। তল্লাশি চলছে।” অস্বাভাবিক মৃত্যু। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক ব্যবসায়ীর। নাম বালুদেব পাত্র (৪৯)। বাড়ি কোতোয়ালির ইছাপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাল্য বিবাহ রুখতে শিবির
বাল্য বিবাহের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির হয়ে গেল ডোমকলে। শনিবার মানিক নগর মহম্মদ আবদুলবারি ল-কলেজ ও কটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডোমকলের ডেপুটি ম্যাজস্ট্রেট বিষ্ণুপদ নাথ, বিডিও রবীন্দ্রনাথ মিশ্র-সহ বিশিষ্টেরা। কলেজের সম্পাদক সামসুল আলম বলেন, “বাল্য বিবাহ বন্ধ না হলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

মহিলা দগ্ধ, স্বামী-ভাসুরকে ধরল পুলিশ
শনিবার রাতে হুগলির ভদ্রেশ্বরে এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আল্পনা চৌধুরী নামে ওই বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আত্মহত্যার চেষ্টায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভদ্রেশ্বরের কৃষ্ণপট্টি দাসপাড়ার ওই বধূ শনিবার রাত ১০টা নাগাদ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভ র্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার সকালে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই বধূর বাবা হীরালাল চৌধুরী মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাসিন্দা। এ দিন ভদ্রেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। হীরালালবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই আল্পনাদেবীর স্বামী বিজয় এবং ভাসুর মনোজ চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই বধূ আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।

বকেয়া ভাতা পেলেন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ
রাজ্য ক্রীড়া দফতরের তরফে সমর সিংহকে দেওয়া হয় বকেয়া ভাতা। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য ক্রীড়া দফতর গত এক বছরের বকেয়া মাসিক ভাতা তুলে দিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ মুর্শিদাবাদের সমর সিংহের হাতে। রাজ্য ক্রীড়া দফতরের তরফে রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের কোচ বলরাম হালদার রবিবার বহরমপুরের লালদিঘির বাড়িতে গিয়ে দুঃস্থ ওই ক্রীড়াবিদের হাতে ৩৬ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। বলরামবাবু বলেন, “রাজ্যের দুঃস্থ ১৪ জন ক্রীড়াবিদকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করে থাকে সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে ভাতা বন্ধ ছিল। ২০১১-র এপ্রিল থেকে ২০১২-র মার্চ পর্যন্ত ৩৬ হাজার টাকার চেক এ দিন ৮৭ বছরের ক্রীড়াবিদকে দেওয়া হয়।” সমরবাবু ১৯৮৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস (প্রবীণ)-এ ২০ কিমি হাঁটা প্রতিযোগিতায় সোনা জেতেন। বছর দুয়েক পরে জাপানে প্রবীণদের ওয়ার্ল্ড মিটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৫০ সালে জাতীয় গেমসে ৫ ও ১০ হাজার কিমি ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন সমরবাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.