পণের টাকা বাকি থাকায় নববধূকে অত্যাচারের অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নদিয়ার রানাঘাট শহরের নাসরাপাড়ায় শুক্রবার বৌভাতের রাতেই ওই মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ওই মহিলার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে রানাঘাট থানায়। রানাঘাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আজহার এ তৌসিফ বলেন, “বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ওই মহিলার স্বামী সমীর দে ও শ্বশুর প্রশান্ত দে’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাটের আইশতলার বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে পেশায় হোটেলকর্মী সমীরের বিয়ে হয় বুধবার। কথা ছিল বিয়েতে নগদ ১০ হাজার টাকা পণ দিতে হবে। ওই মহিলার দাদা পেশায় তাঁতশ্রমিক কাজল দাস বলেন, “আমরা খুবই গরিব। পণের ৬ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ৪ হাজার টাকা বাকি ছিল। বিয়ের দিন থেকেই তাই নিয়ে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন গণ্ডগোল করছিলেন। বোনের উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। শুক্রবার বৌভাতের রাতে আমাদের সামনেই বোনকে ঘর থেকে বার করে দরজা বন্ধ করে দেয় ওরা। তখন বাধ্য হয়েই বোনকে নিয়ে ফিরে এসেছি।” ওই মহিলা বা সমীর কেউই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডী পার হননি। রানাঘাটের মহকুমাশাসক সুমনকুমার ঘোষ বলেন, “পণ দেওয়া ও নেওয়া দুই-ই অপরাধ। আমরা এলাকার মানুষকে সচেতন করতে এই ব্যাপারে প্রচারে আরও জোর দেব।” |