বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে জীবিকাহীন সাপুড়েদের গ্রাম ঘুরলেন বিশেষজ্ঞ ও বন দফতরের কর্তারা। রবিবার ময়নাগুড়ির পানবাড়ি মান্তাপাড়ার বাসিন্দা সাপুড়ে পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাপারে কর্মশালাও হয়। সেখানে অংশ নেন বেঙ্গালুরুর রেজি মার্টিন এবং ইল্যাংন্ডের জন ডব্লিউ হিল। ওই কর্মশালায় সাপুড়েদের জন্য স্নেক পার্ক তৈরি এবং সাপের বিষ সংগ্রহ ও বিক্রির বিষয়ে আলোচনা হয়। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এই দিন সাপুড়ে পরিবারগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়।”
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শীলা মাঝি (১৫ )। বাড়ি বর্ধমানের অশ্বত্থগোড়িয়া গ্রামে। স্থানীয় রাপিুর কাশিয়াড়া স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে খবর, শনিবার মুরগি খুঁজতে গ্রামের ঝোপঝাড়ের দিকে গিয়েছিল সে। তখনই বিষাক্ত কিছু ছোবল দেয় তাকে। বিষয়টি তখন তেমন গুরুত্ব দেয়নি সে। পরে ধীরে ধীরে তার ডান হাত নীল হতে থাকে। বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বিকেলে মৃত্যু হয় তার। চিকিৎসকরা জানান, সাপের ছোবলেই মৃত্যু হয়েছে শীলার।
|
লোকালয়ে চলে আসা একটি চিতল হরিণ উদ্ধার করে সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দিলেন বনকর্মীরা। রবিবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে একটি চিতল হরিণ আলিপুরদুয়ার জংশন চেচাখাতা এলাকায় চলে আসে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও শেখর মজুমদার জানান, এদিন সকালে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতল হরিণ জঙ্গল থেকে বার হয়ে প্রথমে দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামে ও পরে আলিপুরদুয়ার জংশনের চেচাখাতা এলাকায় চলে আসে। পরে পূর্ব দমনপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা সেটি বক্সার জঙ্গলে ছেড়ে দেন।
|
এক নয়, দুই নয় নিজের পাঁচটি সাবকের পাশাপাশি মা হারা ১০ টি অনাথ সাবককে নিজের দুধ খাইয়ে বড় করে তুলে শ্রেষ্ঠ মায়ের সম্মান লাভ করল জলদাপাড়ার চম্পাকলি। রবিবার বিশ্ব মাতৃ দিবসে চম্পাকলিকে সাজিয়ে দিনটি পালন করল বন দফতর। বন দফতর সূত্রে খবর, আটের দশকে শোনপুর মেলা থেকে হাতিটি কিনে আনে বন দফতর। জঙ্গল পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি চম্পাকলির প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায় দলছুট মাতৃহারা হস্তি শাবকদের নিজের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে তোলা। কোচবিহারের ডি এফ ও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “নিজের শাবকদের পাশাপাশি অন্যের এত গুলি শাবককে দুধ খাইয়ে বড় করে তোলার নজির একমাত্র দেখাতে পেরেছে এই কুনকি।” ছবিটি তুলেছেন রাজকুমার মোদক।
|