সম্পাদক সমীপেষু... |
প্রসঙ্গ জাতীয় গ্রন্থাগার |
জাতীয় গ্রন্থাগার বিষয়ে প্রসূন আচার্যের লেখা সংবাদটি (২৯-৪) অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শ্রীআচার্য বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে আমার নাম ব্যবহার করে খবরটি প্রকাশ করেছেন। প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া তাদের ২১।১১।২০১১ তারিখের নথিতে (নঃ. ১৪/১৬৭-১৬৮/০৮-০৯-পি সি আই) উল্লেখ করেছে যে একটি সংবাদপত্রের কর্তব্য হল পাঠকদের কাছে কোনও সংবাদ, তথ্য বা বক্তব্য পক্ষপাতহীন এবং মর্যাদাপূর্ণ ভাবে তুলে ধরা। সেই নীতি এ ক্ষেত্রে একেবারেই মানা হয়নি। উক্ত খবরে শব্দের মাত্রা, ভঙ্গি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমার প্রবল আপত্তি রয়েছে, কারণ এর ফলে আমার ভাবমূর্তি ও খ্যাতি বিঘ্নিত হতে পারে। |
অশোককুমার নাথ। প্রাক্তন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন অফিসার (সায়েন্স অ্যান্ড টেক), ন্যাশনাল লাইব্রেরি, কলকাতা
|
প্রতিবেদকের জবাব: কোটি টাকা মূল্যের হাইব্রিড মাইক্রোফিল্ম ক্যামেরা কেনা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই অডিট রিপোর্ট আনন্দবাজার পত্রিকার হাতে রয়েছে। তার ভিত্তিতেই সংবাদ লেখা হয়েছে। প্রতিবেদনে কোথাও নাম করে বলা হয়নি অশোকবাবু এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তবুও তিনি প্রতিবাদ করছেন এবং তা করতে গিয়ে প্রেস কাউন্সিলের পুরানো নথি পেশ করেছেন। সবিনয়ে জানাতে চাই, অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত খবর একাধিক বার আনন্দবাজার ও দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অশোকবাবু প্রেস কাউন্সিলে গেলেও কাউন্সিল তাঁর পক্ষে রায় দেয়নি। কারণ, অতীতেও আনন্দবাজারের প্রতিনিধি নথি হাতে নিয়েই সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন।
|
ঘৃণ্য চক্রান্ত |
আপনাদের পত্রিকায় আমার বিধানসভা ক্ষেত্র ও আমার বিষয়ে একটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হয় (২৯-৪), যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমি। প্রকৃত ঘটনা হল, সালকিয়া চৌরাস্তার সন্নিকটে ওই বাড়িটি বয়সের ভারে জরাজীর্ণ এবং বহু শরিকের বাড়ি। যার নিম্নতলে মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামক একটি কারখানা বর্তমান। প্রায় দু’বছর আগে বাড়ির দরিদ্র মালিকেরা এবং কারখানার মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়ে এক ডেভেলাপারকে বাড়িটি প্রোমোট করার অনুমতি দেয়। এমনকী কারখানার মালিক এ জন্য প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকাও নেয়। কিন্তু এখন এ বিষয়ে অন্য রকম গুজব ছড়িয়ে আমার নাম জড়িয়ে ঘৃণ্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। যদিও উভয় পক্ষকে আমি ডেকে বিষয়টি আলোচনা করার চেষ্টা করি মাত্র, অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয়, বলা হল আমি নাকি বাইক বাহিনী পাঠিয়ে তুলে নিয়ে এসেছি। |
অশোক ঘোষ। বিধায়ক, উত্তর হাওড়া
|
প্রতিবেদকের বক্তব্য: উত্তর হাওড়ার বিধায়ক অশোক ঘোষের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট খবরেই গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। অশোকবাবুর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ, তা থানায় লিখিত ভাবে দায়ের করা হয়েছিল এবং ওই লিখিত অভিযোগের কপি আমাদের হাতে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট খবর তারই ভিত্তিতে লেখা।
|
কিরীটি তো বিবাহিত |
জাগরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যোমকেশের বউ নয়’ শীর্ষক যে প্রতিবেদনটি (২৩-৩) বেরিয়েছে, সে সম্পর্কে জানাই যে, নীহাররঞ্জন গুপ্ত সৃষ্ট গোয়েন্দাপ্রবর কিরীটি রায় অবশ্যই বিবাহিত ছিলেন। দ্রষ্টব্য, কিরীটি অমনিবাসের ৫ম খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ‘মনপবন’ গল্পটি। তাঁর স্ত্রীর নাম কৃষ্ণা এবং আরও অনেক গল্পে এঁর উল্লেখ আছে।
ওই প্রতিবেদনে গোয়েন্দা কাহিনি লেখিকা Ngaio Marsh-এর নামের যে উচ্চারণ লেখা হয়েছে (ন গাইও মার্শ) তা সম্ভবত ঠিক নয়। লেখিকার ‘Vintage Murder’ বইয়ের পেপারব্যাক সংস্করণের ভূমিকায় লেখিকার যে পরিচিতি আছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘the g is silent’। |
নীরেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী। কলকাতা-২৬
|
প্রতিবেদকের বক্তব্য: পত্রলেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। গোয়েন্দা কিরীটি বিয়ে করেছিল। অনবধানবশত প্রতিবেদনে তাকে অবিবাহিত লেখা হয়েছে। এই ত্রুটির জন্য দুঃখিত।
|
সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি |
|
ডাউহিল ট্রেকিং করে ক’দিন কার্সিয়ংয়ে ছিলাম। কার্সিয়ং শহর থেকে হিলকার্ট রোড ধরে মাত্র ২ কিমি দূরে প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী শরৎচন্দ্র বসুর বাড়িতে নেতাজি অন্তরিন ছিলেন। ভবনটি গিদ্দা পাহাড়ে টি এন রোডে অবস্থিত। ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে ভাষণ রচনা করেন তিনি এই বাড়িতে বসেই। অন্তরিন থাকাকালীন নেতাজি গিদ্দা পাহাড়ের অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করে গভীর প্রশান্তি লাভ করেন। নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত এহেন ভবনটি নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজ ও নেতাজি মিউজিয়াম তথা হিমালয়ের সমাজ ভাষা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র হিসাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। এই মিউজিয়ামটি খুব সুন্দর সাজানো-গোছানো। হিলকার্ট রোড থেকে বাঁ হাতের সরু অপ্রশস্ত টি এন রোডটুকু একদম ভাঙাচোরা বড় বড় গর্ত-সহ একটি দুরন্ত বাঁক আর প্রাণান্তকর চড়াই ও ছোট-বড় ভাঙা হাম্প নিয়ে কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে। তাই ছোট বা বড় গাড়ি এমনকী আধুনিক ছোট প্রাইভেট কার চলাচলও বন্ধ। একটু বয়স্ক প্রবীণ নাগরিক বিশেষত মা-বোনেদের এই চড়াই-উতরাই পথ অতিক্রম করে নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত ভবনে পৌঁছানো প্রায় দুঃসাধ্য। আমরা চাই, অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ টি এন রোডের উপযুক্ত সংস্কার সাধন করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তুলুক। |
সঞ্জীব রাহা। কৃষ্ণনগর, নদিয়া |
|