টুকরো খবর
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হানা, হত ৭
ছত্তীসগঢ়ে ফের মাওবাদী হামলা। রবিবার রাতে এই হামলায় কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) অন্তত ৬ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। মারা গিয়েছেন তাঁদের গাড়ির চালকও। সুকমার জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেনন মাওবাদীদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ক’দিন পরেই এই হামলা। দন্তেওয়াড়া জেলার কিরন্ডুলে ঘন জঙ্গল এলাকার মধ্যেই জাতীয় খনিজ উন্নয়ন নিগমের (এনএমডিসি) খনি এবং দফতর। ওই এলাকা জুড়ে মাওবাদীদের দাপটও বহু দিনের। দন্তেওয়াড়ার এসপি নরেন্দ্র খারে আনন্দবাজারকে জানান, ওই খনি এলাকার কাছেই একটি বোলেরো গাড়িতে টহল দিচ্ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ৬০-৭০ জন মাওবাদীর একটি দল এসে গুলি চালাতে শুরু করে। জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালান। কিন্তু মাওবাদীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় তাঁরা এঁটে উঠতে পারেননি। ঘটনাস্থল কিরন্ডুল থানা থেকে আড়াই-তিন কিমি দূরে। গুলির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় এসডিপিও বাহিনী নিয়ে এলাকায় যান। কিন্তু ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে মাওবাদীরা পালিয়ে যায়। তবে সিআইএসএফ জওয়ানদের সব অস্ত্রই তারা নিয়ে গিয়েছে।

গুলিতে হত ব্যবসায়ী
সাত সকালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিজের দোকানের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। রবিবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে অসমের ধুবুরির চকবাজারে। পুলিশ জানায়, নিহত ব্যবসায়ীর নাম ঝুমুরলাল জৈন (৫০)। তাঁর বাড়ি শহরের নুনিয়াপট্টি এলাকায়। সকালে তিনি দোকান খোলার সময়ে দুই দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। দোকানের কর্মচারীরা দুষ্কতীদের দোকানের ভিতরে আটকে রাখার চেষ্টা করলে এক দুষ্কৃতী নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি চালায়। গুলি ওই ব্যবসায়ীর গলা ও বুকে লাগে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাড়া করে এক দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে এবং মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ ইসলাম। তার বাড়ি রাজ্যে নগাঁও জেলার জুরিয়া থানা এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি নাইন এমএম পিস্তল আটক করেছে। শহরে ব্যবসায়ী খুনের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টা সাধারণ ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি ও অসম ভোজপুরী পরিষদ। জেলার পুলিশ সুপার প্রশান্ত দত্ত বলেন, “পলাতক দুষ্কৃতীর খোঁজা শুরু হয়েছে।” ধুবুরি ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম কর্মকর্তা সুশীল জৈন বলেন, “মঙ্গলবার থেকে শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা ধর্মঘট পালন করা হবে।” ব্যবসায়ীরা পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

চিঠি ফাঁসে চিহ্নিত মহিলা যুগ্মসচিব, অস্বীকার কেন্দ্রের
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেনাপ্রধানের গোপন চিঠিটি ফাঁস হওয়ার পরে ক্যাবিনেট সচিবালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের এক মহিলা অফিসারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি উচ্চ মহল সূত্রে আজ এ কথা জানা গিয়েছে বলে সংবাদসংস্থা দাবি করেছে। ওই মহিলা ইন্ডিয়ান ইকনমিক সার্ভিস ক্যাডারের। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-নথি আদানপ্রদানের কাজে যুক্ত ছিলেন। ফলে ওই যুগ্মসচিবই চিঠিটি ফাঁস করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবং আইবি তদন্তের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে অবশ্য খবরটিকে ভীত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। পিআইবি-র প্রিন্সিপ্যাল ডিরেক্টর জেনারেল নীলম কপূর বলেছেন, “খবরটা একেবারে ঠিক নয়।” চিঠি ফাঁস হওয়ার পিছনে সেনাপ্রধানেরও কোনও হাত নেই বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। সেনাবাহিনীর অস্ত্র সম্ভারের দুরবস্থার কথা জানাতেই ওই চিঠি লিখেছিলেন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ। ওই চিঠি ফাঁস হওয়ার পর সংসদের দু’টি কক্ষেই তুমুল হইচই হয়। এমনকী সেনাপ্রধান নিজেও বলেন, এই ঘটনাকে ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতা’ বলা যায়। যিনি এই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ জানান, সেনাবাহিনী জন্য নিচু মানের ট্রাক কিনতে তাঁকে ১৪ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্যের পরই ফাঁস হয় চিঠিটি। এই ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা বিভাগের হাতে।

টু-জি নিলামের ন্যূনতম দর নিয়ে অনড় ট্রাই
টু-জি স্পেকট্রাম নতুন করে নিলামের ন্যূনতম দাম নির্ধারণে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই তার নিজস্ব অবস্থানে অনড়ই রইল। জিএসএম পরিষেবার ক্ষেত্রে এই অবস্থান নিলেও সিডিএমএ পরিষেবায় কিছু ছাড়ের ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাই। সম্প্রতি ট্রাইয়ের সুপারিশ হল, নিলামের জন্য ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড (জিএসএম পরিষেবা) প্রতি কমপক্ষে ৩৬২২ কোটি টাকা দাম নেওয়া। এই দামকে চড়া অভিযোগ এনে টেলিকম শিল্পমহল তা ফিরে দেখার আর্জি জানালেও ট্রাই আজ জানিয়ে দিয়েছে, এর জেরে সংস্থাগুলির মুনাফায় টান পড়বে না। ট্রাইয়ের আরও দাবি, টেলিকম শিল্পে নতুন সংস্থার প্রবেশ এর ফলে আটকাবে না। বা গ্রাহকের মোবাইল ফোনের খরচ এর ফলে অত্যধিক বাড়বে না। কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দফতর (ডট) এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ট্রাইয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল। তার জবাবেই ট্রাই এ কথা জানিয়েছে। তবে ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সিডিএমএ পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাই। এ ক্ষেত্রে নিলামের ন্যূনতম দর আগে ৩৬,২০০ কোটি টাকায় বেঁধে দিলেও এখন তা ২৩,৫৩০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাই।

সন্তোষজনক ছিল না মোদীর ভূমিকা: সিট প্রধান
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা ‘সিট’-এর রিপোর্টে মোদীকে ক্লিন চিট দেওয়া হলেও তাঁর ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না বলে জানিয়েছেন সিট প্রধান আর কে রাঘবন। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিট। সেই রিপোর্টে মোদীকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাঘবন জানান, সেই রিপোর্টে কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেই দাঙ্গা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে মোদী যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেখানে তাঁর মন্তব্য যথাযথ ছিল না বলে জানিয়েছেন রাঘবন। তিনি আরও জানান, গোধরা-কাণ্ডে মোদী তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় ঘটনাস্থলে যেতে তাঁর সাত দিনেরও বেশি সময় লেগে গিয়েছিল। অথচ তিনি সে সময়ে শহরেই ছিলেন। কিন্তু আইনের কোনও ধারায় তাঁকে অভিযুক্ত করার মতো প্রমাণ ছিল না বলেই মোদীকে ক্লিন চিট দিতে সিট বাধ্য হয়েছিল বলে জানান রাঘবন।

সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণ অণ্ণার
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে এ বার সেনাপ্রধান ভি কে সিংহকে আমন্ত্রণ জানালেন অণ্ণা হজারে। অবসরের পরে সেনাপ্রধান তাঁর সঙ্গে যোগ দিন, এমনই ইচ্ছে অণ্ণার। তাঁর কথায়, “আমাদের লড়াইয়ে যোগ দিতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে অনুরোধ জানানোর পক্ষপাতী নই। কিন্তু সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন ভি কে সিংহ এবং আমি দু’টি লড়াই এক সঙ্গে করেছি। তার একটা পাকিস্তানের সঙ্গে। এ বার নিজেদের ভিতরের শত্রুর সঙ্গে আমাদের লড়াই।” এই লড়াইয়ের মানসিকতা রয়েছে, এমন মানুষদের স্বাগত জানাচ্ছেন অণ্ণা। ভি কে সিংহ যদি উৎসাহী হন, তা হলে অবসরের পরে তিনি আসতেই পারেন।

কৃষকদের পাশে বচ্চন
কৃষকদের ঋণের দায় থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন অমিতাভ বচ্চন। ওয়ার্ধার ৯০ জন কৃষককে ঋণশোধের জন্য চেক বিতরণ করেছেন তিনি। যার মোট পরিমাণ ৩০ লক্ষ। অমিতাভ কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চান শুনে ওয়ার্ধার ২০টি গ্রাম থেকে ঋণগ্রস্ত তিনশোরও বেশি কৃষককে খুঁজে বার করে একটি তালিকা তৈরি করে মুম্বই ও ওয়ার্ধার দু’টি ক্লাব। সেই তালিকা খতিয়ে দেখতে কৃষকদের দুরবস্থা সম্পর্কে ফের খোঁজখবর নেন অমিতাভের প্রতিনিধিরা। শেষমেশ তালিকায় রাখা হয় ১১৪ জনকে। এদের মধ্যে ৯০ জন ইতিমধ্যেই চেক পেয়ে গিয়েছেন। বাকি ২৪ জন দরিদ্র কৃষকের বাড়িতে চেক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ধুবুরিতে গুলিতে খুন ব্যবসায়ী
আজ সাতসকালে ধুবুরির চকবাজার এলাকায় দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হলেন ঝুমরমল জৈন নামে এক ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত পুলিশ অ্ফিসার দেবেন ডেকা জানান, এ দিন দোকান খুলতেই দুই যুবক ওই ব্যবসায়ীর কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে সামনে থেকেই গুলি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ঝুমরমলের। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামিকাল অল অসম ভোজপুরী পরিষদ কাল ধুবুরি বন্ধের ডাক দিয়েছে। এআইইউডিএফ এই বন্ধককে সমর্থন জানিয়েছে। পরে স্থানীয় জনতা মহম্মদ ইসলাম নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে উত্তমমধ্যম দেয়। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্য দুষ্কৃতী পালায়। ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে একটি পিস্তল। পুলিশ সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে।

ইঞ্জিনিয়ার খুনে সিআইডি তদন্ত
কৃষি বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার গদাপানি পাঠক খুনের ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। এই খুনের ঘটনায় তদন্তের গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন নিহতের কন্যা বর্ষা পাঠক। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সিআইডি জদন্তের কথা ঘোষণা করলেন। ৩ মে ধুবুরি থেকে গুয়াহাটি আসার পথে গদাপানি-সহ দু’জন অপহৃত হন। পরে বঙ্গাইগাঁও জেলার বৈঠামারিতে গদাপানির বুলেটবিদ্ধ দেহটি উদ্ধার হয়। আর এক ইঞ্জিনিয়ার ফয়জুল ইসলামকেও খেনও উদ্ধার করা যায়নি।

বজ্রাঘাতে মৃত্যু দুই কিশোরীর
বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। তিনসুকিয়া জেলার নাহারকাটিয়ায় আজ সকালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি ফেরার সময় ঝড়বৃষ্টি দেখে একটি গাছের তলায় দাঁড়িয়েছিল শান্তি শর্মা ও উমা ওরাং নামে দুই কিশোরী। আচমকা বাজ পড়ে ওই গাছের উপরেই। ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজনেই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.