বধূর মৃত্যুতে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
চেতলায় সদ্যবিবাহিত এক তরুণীর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। রবিবার দুপুরে শঙ্কর বোস রোডের বাড়িতে ওই তরুণীর দেহ পাওয়া যায়। এই মৃত্যুর পিছনে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম অনিন্দিতা দাস। তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পণ-যৌতুক নিয়ে বধূ-নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তাঁর মা। পুলিশ জানাচ্ছে, বেলা ২টো নাগাদ খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে দেখা যায়, মেয়েটির দেহ খাটে শোয়ানো। মৃতার গলায় দাগ ছিল। তদন্তকারীদের বক্তব্য, আত্মহত্যা না খুন, ময়না-তদন্তেই তা স্পষ্ট হবে। পুলিশি সূত্রের খবর, অনিন্দিতার বিয়ে হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। তাঁর স্বামী অমিতকুমার দাসের কম্পিউটার কোচিং সেন্টারের ব্যবসা আছে। বিয়ের পণ-যৌতুক নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অনিন্দিতাকে গঞ্জনা সইতে হত বলে তাঁর মা পুলিশের কাছে অভিযোগে করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অনিন্দিতার স্বামী ছাড়াও শ্বশুর মৃদুলকুমার দাস ও শাশুড়ি বন্দনা দাসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
মুক্তমঞ্চ নির্মাণ স্থগিত সল্টলেকে
|
মামলার জেরে বি-ই ব্লকের গ্রিনভার্জে মুক্তমঞ্চ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার কাজ আপাতত বন্ধ রাখল বিধাননগর পুরসভা। গ্রিনভার্জে মুক্তমঞ্চ তৈরির যে-সিদ্ধান্ত পুরসভা নিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে শান্তগোপাল ঘোষ নামে বি-ই ব্লকের এক বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে শুক্রবার মামলাটি ওঠে। পুরসভার আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী ও বিল্বধর ভট্টাচার্য বলেন, “মুক্তমঞ্চ নির্মাণের কাজ পুরসভা বন্ধ রাখছে বলে আদালতে জানানো হয়েছে। বি-ই ব্লকের বাসিন্দাদের দাবি মেনে পুরসভা ওই মঞ্চ গড়তে চেয়েছিল। ওই ব্লকেরই এক বাসিন্দা মামলা করেছেন।” |
দু’টি বাসের মধ্যে রেষারেষিতে জখম হলেন দুই বাসেরই কয়েক জন যাত্রী। ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুরে, সল্টলেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মহিষবাথান এলাকা থেকে বাসে চেপে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বৈশাখী আইল্যান্ডের সামনে পূর্ত ভবনের দিক থেকে ২০১ রুটের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ওই বাসটির পেটে ধাক্কা মারে। ২০১ বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালককেও। শনিবারই বিপজ্জনক গতির কারণে পাঁচ নম্বর সেক্টরে উল্টে যায় একটি মিনিবাস। উল্লেখ্য, ট্রাফিক আইন মেনে যান চলাচল হচ্ছে কি না দেখতে সল্টলেক পুলিশ প্রশাসন সম্প্রতি গ্রিন পুলিশ রাস্তায় নামিয়েছে। পরপর দু’দিনের দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে গ্রিন পুলিশের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজকর্ম নিয়ে। বিধাননগরের ডি সি (ট্রাফিক) ভরতলাল মিনা অবশ্য বলেন, “কোনও চালক বেপরোয়া
গাড়ি চালালে গ্রিন পুলিশের কিছু করার নেই। গ্রিন পুলিশ যখন দেখছে কোথাও ট্রাফিক আইন ভাঙা হচ্ছে তখন সেই মতো থানাকে জানিয়ে দিচ্ছে।” |
দমদম রেল স্টেশন ও দমদম রোডের ছাতাকলের কাছে একটি কারখানায় রবিবার তল্লাশি করে সন্দেহজনক কিছুই পেল না বম্ব স্কোয়াড। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে দমদমের ঘুঘুডাঙা ফাঁড়িতে একটি বেনামি চিঠি যায়। তাতে লেখা ছিল, রবিবার দমদমের ১১টি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ করা হবে। এর পরেই ঘুঘুডাঙা ফাঁড়িতে যান সিআইডি-র অফিসারেরা। ওই চিঠির ১১টি জায়গার মধ্যে দমদম স্টেশন ও ছাতাকলের কাছের ওই কারখানার উল্লেখ ছিল। রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ জেলার বম্ব স্কোয়াড দমদম রেল স্টেশন ও মেট্রো স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম-সহ আশপাশের এলাকায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায়। তার পরে ছাতাকলের কারখানায় প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চলে। কিন্তু দু’টি জায়গাতেই সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলে দমদমের সুরের মাঠে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি সভা থাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা নেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। |