শনিবার এক ছাত্র ও এক ঠিকাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতেরা হলেন সাঁইথিয়া আমোদপুরের স্কুল বাগান পাড়ার শুভাশিস দাস (১৭) এবং বোলপুরের বিবেকানন্দ পল্লির পার্থ চট্টোপাধ্যায় (৩৬)। শুভাশিস আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুল থেকে এ বারই সে মাধ্যমিক দিয়েছে। ওই দিন আমোদপুরের মণ্ডলপাড়ায় ঠাকুমার কাছে গিয়েছিল শুভাশিস। রাতে ঠাকুমা তার দরজা ধাক্কা দিতে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেওয়া হলে তারা দরজা ভেঙে শুভাশিসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদ জনিত কারণে শুভাশিস আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। অন্য দিকে, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ বোলপুরের নেতাজি বাজার চত্বর এলাকার একটি নির্মিয়মাণ বাড়িতে এলাকার কয়েক জন ঠিকাদার পার্থবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেনার দায়ে আত্মহত্যার কথা লেখা রয়েছে। তবে ওই নোটটি পার্থবাবুর লেখা কি না পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহটির ময়না-তদন্ত হয়। পুলিশ দু’টি ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
|
মালগাড়িতে বোঝাই করার পরে ইয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা কয়লা ও কয়লা গুঁড়োর ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল কাঁকরতলার সাহাপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল ও শনিবার সকালে ব্যাপক বোমাবাজিতে দু’জন জখম হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ছয় জনকে গ্রেফতার করে রবিবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক ধৃতদের ২৪ মে পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি কয়লা উত্তলোনকারী সংস্থা তাদের খয়রাশোলের বড়জোরের খোলামুখ কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন করে প্রথমে হজরতপুরে নিয়ে আসে এবং সেখান খেকে পুলিশি পাহারায় মালগাড়িতে বোঝাই করা হয়। শুক্রবার দুপুরে কয়লা মালগাড়িতে বোঝাই করার পরে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। পড়ে থাকা কয়লার ভাগকে কেন্দ্র করেই ঝামেলা শুরু হয়।
|
মহম্মদবাজার কেওঠ পাড়ার কালীমন্দিরের কাছে দু’দিনের এক সদ্যোজাত শিশু উদ্ধার হয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন প্লাস্টিক ও কাপড়ে মোড়া ওই শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মানুষজন শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমায়। পরে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে মহম্মদবাজারের প্যাটেল নগরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে সিউড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
|
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি মাটির বাড়ি। রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানা এলাকার পন্ডিতপুর গ্রামে। দমকলকে খবর দেওয়ার আগেই গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাঁচানো যায়নি বাড়িটিকে। তবে কী ভাবে আগুন লেগেছে সেটা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হারাধন গড়াই ও নারায়ণ গড়াই-দুই ভাইয়ের বাড়িটিকে টকে জ্বলতে দেখে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। হারাধনবাবুরা জানান, সব কিছু পুড়ে গিয়েছে। |