নজরদার

শালিকের বিস্কুট খাওয়া
আমাদের বাড়ির বাগানের আমগাছে দুটো শালিক পাখি বাসা করেছে। প্রথম প্রথম মা যখন তাদেরকে বিস্কুটের টুকরো বা মুড়ি খেতে দিত, তখন তারা ভয়ে পালিয়ে যেত এবং অন্য পাখিরা এসে খেয়ে যেত। এই ভাবে মা বেশ কয়েকদিন দেওয়ার পর যখন ওরা বুঝল, মা ওদের জন্যই খাবার ছড়ায়, তখন ওরা আর ভয়ে পালায় না। বরং রোজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দু’তিন বার এসে ওদের নিজেদের ভাষায় মাকে ডাকতে থাকে। মা তখন বুঝতে পারে যে, ওই দুটো পাখি এসে ডাকছে। তখন মা কয়েকটা বিস্কুটের টুকরো ফেলে দিলে ওরা ভাগ করে খায়।

বিড়ালের কান্না
আমাদের রান্নাঘরের ছোট জানলা দিয়ে প্রতিদিন সন্ধে হলেই একটা সাদা বিড়াল আসত এবং ফ্রিজের মাথায় স্টেবিলাইজারের উপর শুয়ে থাকত সারা রাত। আবার সকাল হতেই নিজে থেকেই চলে যেত। বিড়ালটা কারও বাড়ির পোষা নয় কিন্তু। এক দিন আমার মা ওর শোবার জায়গাতে একটা বিস্কুটের কৌটো রেখে দিয়েছিল। সে দিন ওই বিড়ালটার ‘ম্যাও ম্যাও’ করে কী কান্না। পরে মা ওই কৌটোটা সরিয়ে নিলে ওর জায়গায় শুয়ে পড়ল।

কুমিরের রোদ পোহানো
সুন্দরবন দ্বীপে বাস করি। কাছেই নদীর তীরে একটি বড় চর আছে। চরটির গাছপালায় নানা রকমের পাখিরা বাসা বাঁধে। শীতকালে ওই চরে কুমিরেরা এসে চিৎ হয়ে শুয়ে রোদ পোহায়। তার চারটি পা এবং ছুঁচালো মুখ। লেজটা যেন করাতের মতো। কুমিরেরা দেখতে ঠিক গোসাপের মতো।

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.