|
|
|
|
পুরভোটে জোট হল না ধূপগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হল না ধূপগুড়ি পুর নির্বাচনে। শুক্রবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। পুরসভার মোট ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল সবকটি আসনে একক ভাবে লড়াই করছে। কংগ্রেস ১১টি আসনে লড়বে। বিজেপি ও বামফ্রন্ট সবক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ও ১৩ নম্বরের দুই জন নির্দল প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। সবমিলিয়ে মোট ৬২ জন প্রার্থী একবার পুর ভোটে লড়বেন। এদের মধ্যে তিনজন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। গত বার তৃণমূল-কংগ্রেস ও বিজেপি কে নিয়ে মহাজোট করে পুরভোটে সিপিএম এর বিরুদ্ধে লড়াই করে মোট পাঁচটি আসনে জয়ী হয়। তার মধ্যে তৃণমূল একক ভাবে তিনটি আসনে জয়ী হয়। বাকি দু’দল একটি করে আসন পায়। এ বার ভোটের অনেক আগে থেকে তৃণমূল-কংগ্রেস দল বিজেপিকে জোটের বাইরে রেখে হিসেব কষা শুরু করে। সে অনুযায়ী এবার কংগ্রেসের জন্য মোট চারটি আসন ছেড়ে বাকি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে সেই তালিকায় নিজের নাম না থাকায় তৃণমূল নেতা বিকাশ মুস্তাফি কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে দল ছাড়েন। গত ৭ মে ধূপগুড়ির এক হোটেলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু জোটের আলোচনায় বসেন। ওই সভায় তৃণমূলের ছাড়া চারটি আসনের মধ্যে অদল বদল করে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী পদ পাওয়া বিকাশ বাবুর নির্দিষ্ট আসন দাবি করেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের প্রার্থী পদ মেলা বিকাশ বাবুর জন্য ওই আসন ছাড়া তাদের দলের নীতি বিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু। এর পর জোট ভেস্তে যায়। তবে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও জোট হতে পারে এই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন দু’দলের কর্মী -সমর্থকরা। তবে এ দিন বিকালে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময় পেরোলে সে আশা মেটেনি। গতবার ধূপগুড়ি নির্বাচনে দ্বিমূখী লড়াই হলেও এবার তা হচ্ছে না তবে সিপিএম-এর হাতে থাকা পুরসভা নির্বাচনে এ বার মূলত চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। তৃণমূল নেতা গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “নতুন করে জোটের আলোচনা হয়নি। নীতিগত ভাবে আমরা জোট করতে রাজি হইনি। তবে এবার আমাদের জয় নিশ্চিত।” কংগ্রেস নেতা রঞ্জন দে বলেন, “আমাদের একটি দাবি মানলে জোট হত। তবে আমরা সবক’টি আসন পাব। বিজেপি ও বাম জোটের নেতারাও জয়লাভ করবে বলে দাবি করেছেন।”
স্কুলে বিক্ষোভ। সঠিক সময়ে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে রাজগঞ্জের দক্ষিণ শান্তিনগর প্রাথমিক স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সকাল সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে রাজগঞ্জ সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক রাজীব চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” |
|
|
|
|
|