নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রায় দু’মাস কেটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর ছাপা পাঠ্যবই বাজারে পাচ্ছে না সিবিএসই স্কুলগুলির পড়ুয়ারা। বইয়ের অভাবে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, সমস্যাটা শুধু চলতি বছরের নয়। প্রায় প্রতি বছরই ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ার পরে তিন-চার মাস কেটে গেলেও বাজারে এনসিইআরটি-র বই পাওয়া যায় না। ওই সব বই-ই সিবিএসই-র পড়ুয়াদের মূল পাঠ্য। বই না-থাকায় ফি-বছরই পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটে।
মহাদেবী বিড়লা গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষা মালিনী ভগত শুক্রবার জানান, বইয়ের অভাবে বেশি সমস্যা হচ্ছে নবম থেকে উঁচু শ্রেণিতে। তিনি বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্যা কম। কারণ ওই সব শ্রেণিতে এনসিইআরটি-র বই ছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশকের বই পড়ানো হয়। কিন্তু সমস্যা বাড়ে নবম শ্রেণি থেকে।” তিনি জানান, নবম-দশমের জন্য একটিই পাঠ্যবই পড়ানো হয় বিভিন্ন বিষয়ে। একাদশ-দ্বাদশেও তা-ই। ফলে বই না-পাওয়ায় সব থেকে বেশি বিপাকে পড়ে নবম ও একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। মালিনীদেবী বলেন, “একাদশ শ্রেণির প্রায় সব বই আর নবম শ্রেণির ইংরেজি ও সমাজবিজ্ঞানের বইয়ের অভাব সব থেকে বেশি।”
পাঠ্যবই নিয়ে যে সমস্যা আছে, এনসিইআরটি-র তরফেও তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এ সপ্তাহেই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছেন সংস্থার রাজ্য দফতরের বাণিজ্য আধিকারিক দেবকুমার ভট্টাচার্য। এ দিন তিনি বলেন, “ছাপাখানা থেকে দিল্লির অফিসে বই পৌঁছেছে দেরিতে। তাই আমাদের কাছে যত বই আসার কথা ছিল, এখনও পর্যন্ত তা আসেনি। তবে বাকি বই দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে। দু’-এক দিনের মধ্যে আমাদের এজেন্টরা সেই সব বই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেবেন বলেই আশা করছি।” |