আলু নিয়ে কেলেঙ্কারির তদন্তে এ বার সিআইডি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চারশ কোটি টাকার আলু কেলেঙ্কারি নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্দেশের পরে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ শুক্রবারেই সংশ্লিষ্ট ফাইলটি সিআইডি-র কাছে পাঠিয়ে দেন। দু’বছর আগে, বাম আমলে মরসুমের সময় আলুর দাম বেশি মাত্রায় কমে যাওয়ায় সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনার জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। সেই টাকা দেওয়া হয় কয়েকটি সরকারি সংস্থা ও সমবায় সমিতিকে। বিভিন্ন মহল থেকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাছে অভিযোগ আসে, বহু ভুয়ো চাষির নামে আলু কেনা হয়েছে। আলুর দাম নিয়েও গরমিলের অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে এক শ্রেণির সরকারি অফিসার, কিছু নেতা ও ব্যবসায়ীর দিকে। আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্তের তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করা হয়। কিন্তু দলের চাপে ফাইলপত্র ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সরকার বদলের পরে কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সিআইডি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিলেন। |
ভূকম্পে আতঙ্ক উত্তরে, কাঁপল মহানগরীও
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তীব্র নয়। তবে সামান্য হলেও শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে কেঁপে ওঠে কলকাতা। বহুতলের উপরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই কম্পন টের পেয়েছেন। তবে অধিকাংশ মহানগরবাসীই তা বুঝতে পারেননি। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সব শহর এবং গোটা উত্তরবঙ্গে এ দিনের ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতেও। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এটি মাঝারি মানের ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.৩। শিলিগুড়িতে তার মাত্রা ছিল চার। কলকাতায় তিন, নয়াদিল্লিতে এক। কম্পনের উৎসস্থল গুয়াহাটির ১১৩ কিলোমিটার পূর্বে। এত কম তীব্রতার ভূমিকম্প দিল্লিতেও অনুভূত হল কী ভাবে? খড়্গপুর আইআইটি-র ভূবিদ্যার অধ্যাপক শঙ্করকুমার নাথ বলেন, ভূমিকম্প হয়েছে মাটির মাত্র ১১ কিলোমিটার নীচে। কম গভীরতার জন্যই এতটা ব্যাপ্তি। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিট নাগাদ কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। |