অভিযুক্ত যুবক পলাতক
সম্পত্তির ভাগ নিয়েই ৩ খুন কোটশিলায়
ম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় মামা-মামি ও তাঁদের শিশু সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে ভাগ্নে। কোটশিলার আমড়া গ্রামের খুনের ঘটনায় শুক্রবার পুলিশের কাছে নিজের নাতির বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ করেছেন নিহত অরুণ মাহাতোর বাবা প্রহ্লাদ মাহাতো।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বাড়িতে খুন হন অরুণ মাহাতো (৩৫), তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীমণি মাহাতো (৩০) ও তাঁদের দেড় বছরের ছেলে সোমনাথ মাহাতো। প্রহ্লাদবাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ের ছেলে সুভাষ মাহাতো খুন করেছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “অভিযুক্ত পলাতক। খোঁজ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ভোজালি উদ্ধার হয়েছে।”
নিহত অরুণ মাহাতো, তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীমণি মাহাতো ও ছেলে সোমনাথ মাহাতো।
উদ্ধার হওয়া ভোজালি (নীচে)। ছবি: সুজিত মাহাতো।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুভাষ মাহাতো প্রহ্লাদবাবুর অরুনবাবুর ভাগ্নে। মামারবাড়িতেই সে ছেলেবেলা কাটিয়েছে। বছর তিনেক আগে এখান থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পরে সে কাজের খোঁজে ঝাড়খণ্ডে চলে যায়। মাঝে মাঝে মামারবাড়িতে আসত। প্রহ্লাদবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে সুভাষ এসে মামার কাছে কিছু টাকা চায়। মামা তা দিতে অস্বীকার করায় এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতান্তরও হয়। এমনকী সে মামারবাড়ির সম্পত্তির ভাগও দাবি করে বলে প্রহ্লাদবাবু পুলিশের কাছে দাবি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুভাষ ফের মামারবাড়িতে আসেন। দাদু প্রহ্লাদবাবুর কাছে সে মামার খোঁজ করে। সেই সময় অরুণবাবু ঘরের ভিতরে কাজ করছিলেন। সুভাষ তাঁর কাছে ফের কিছু টাকা দাবি করে। অরুণবাবু তা দিতে না চাওয়ায় ফের তাদের মামা-ভাগ্নের মধ্যে ঝগড়া বাধে। প্রহ্লাদবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, গণ্ডগোলের মধ্যেই সুভাষ একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মামার উপর চড়াও হয়ে কোপ মারে। অরুণবাবুর ছেলে ও স্ত্রীকে একই ভাবে খুন করে। লক্ষীমণি প্রতিরোধের সুযোগই পাননি। তিনি তখন বিড়ি বাঁধার কাজ করছিলেন। এর পরেই সে অন্ধকারের মধ্যে চম্পট দেয়। পড়শিরা চিৎকার শুনে এসে দেখেন, বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত দেহ পড়ে। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.