ফের গঠিত হল পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, গত দুই বছরে ওই সমিতির আওতায় থাকা ৯টি স্থায়ী সমিতির ৬টিতেই ২ জন করে সদস্য সংখ্যা কমেছে। শুক্রবার কালনার মহকুমাশাসকের তরফে ওই পদগুলি পূরণ করে পুনরায় স্থায়ী সমিতি গঠন করার জন্য বিডিও কার্যালয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৌমেন বসুর উপস্থিতিতে শূন্য পদগুলি পূরণ করা হয়। মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “যে দু’টি কর্মাধ্যক্ষের পদ খালি রয়েছে, ১৮ মে তা পূরণ করা হবে।”
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯টি স্থায়ী সমিতির প্রতিটিতেই ৭ জন করে সদস্য রয়েছেন। বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া, কোনও সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণ বা অন্যান্য কারণে গত দু’বছরে ৯টি স্থায়ী সমিতির ৬টিতেই ২ জন করে মোট ১২ জন সদস্য কমে গিয়েছে। ওই ১২ জনের মধ্যে দুটি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষের পদও ছিল। যেমন, বছর দেড়েক আগে মৃত্যু হয় বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ প্রণব রায়ের। অন্য দিকে, পূর্বস্থলী (দক্ষিণ) কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন পূর্ত দফতরে কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত তপন চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, স্থায়ী সমিতির সদস্য দুই কর্মাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। সমিতির বর্তমান সভাপতি মানসী দাস বলেন, “স্থায়ী সমিতির পর দুই কর্মাধ্যক্ষের শূন্যপদ পূরণ হলে পঞ্চায়েত সমিতি আরও শক্তিশালী হবে।”
তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, তপনবাবুর জায়গায় পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সভাপতি বিশ্বনাথ হাজারি এবং বন ও ভূমি দফতরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন হামিদপুর থেকে নির্বাচিত খুশিনাথ হালদার। |