নার্সিংহোম থেকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালে। বাড়ির লোকেদের না জানিয়ে ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। মৃত শিশুর বাবা খোকন ঘোষ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন। স্থানীয় নাগরিক কমিটির সম্পাদক অরিজিৎ মোহান্ত বলেন, “খুবই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে শিশুটিকে নার্সিংহোম থেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছু সময় পরই শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালে শিশুদের অত্যাধুনিক সিক নিওবর্ন কেয়ার ইউনিট রয়েছে। অথচ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নার্সিংহোমে রোগীদের ভর্তি করানোর জন্য বাসিন্দাদের প্রভাবিত করেন। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” হাসপাতালে বিক্ষোভও হয়। জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমীর সরকার ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে উত্তেজনা কমে। বালুরঘাট থানার আইসি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “শিশুটির বাড়ির লোকদের স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে করা অভিযোগক্রমে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।” নার্সিংহোমের কর্ণধার স্বপন মজুমদার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “শিশুটি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ায় সময় নষ্ট না করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো জরুরি ছিল। তার পরে বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শও নেওয়া হয়।” বালুরঘাটের বড়কাশীপুর এলাকার শিক্ষক খোকনবাবুর স্ত্রী সুনিতাদেবী গত ৭ এপ্রিল কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। খোকনবাবু বলেন, “নার্সিংহোম থেকে হঠাৎ খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। ততক্ষণে মেয়ে মারা গিয়েছে। নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।” শিশু চিকিৎসক অচিন্ত্য বিশ্বাস মন্তব্য করতে চাননি। |