|
|
|
|
জাল নোট সমেত ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি |
প্রচুর জাল নোট রাখার অভিযোগে দার্জিলিংয়ের ডিএসপি (টাউন)-এর নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দার্জিলিং থানা এলাকার একটি রেঁস্তোরায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মহম্মদ মুস্তফা। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। তার কাছ থেকে ১১ হাজার টাকার ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তার কোয়ার্টারে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৩৭ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি আনন্দ কুমার বলেন, “জাল টাকা সহ ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল জানান, নিরাপত্তারক্ষীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “একটি সূত্রের খবর পেয়ে মহম্মদ মুস্তাফাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জানা যায়, সে পুলিশ কর্মী। তাঁর সঙ্গে জাল নোট কারবারীদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” দার্জিলিংয়ের ডিএসপি টাউন পূর্ণিমা শেরপা জানান, তিনি এক মাস হল ডিএসপির ভার নিয়েছেন। ওই নিরাপত্তারক্ষী সম্পর্কে বিশদে কিছু জানেন না। তিনি বলেন, “এক মাস ধরে তিনি আমার নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। আমরা ওই ঘটনা খতিয়ে দেখছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে দার্জিলিংয়ে কর্তব্যরত ছিলেন মহম্মদ মুস্তফা। সেই সময় তিনি দার্জিলিং ডিএসপি টাউনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ নিযুক্ত হন। মাঝে বেশ কিছুদিন তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক শীর্ষ নেতার দেহরক্ষী হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সদর ডিএসপির নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা দফতর সন্দেহ করে, জাল টাকার কারবারের সঙ্গে মুস্তফা জড়িত। সেই মতো নজরদারিও শুরু করেন তাঁরা। এদিন ওই রেঁস্তোরায় জাল টাকা নিয়ে তিনি ঢুকেছেন বলে জানতে পারে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে তল্লাশি করে তাঁরা। তার পকেট থেকে ১১ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর কোয়ার্টার থেকে আরও ৩৭ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। ৪৮ হাজার টাকার জাল নোট সহ বিকালে দার্জিলিং পুলিশের হাতে মহম্মদ মুস্তাফাকে তুলে দেন গোয়েন্দা কর্মীরা। |
|
|
|
|
|