উন্নয়নে ব্যর্থ পুর কর্তৃপক্ষ,অভিযোগ ডেপুটি মেয়রের
ংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে পুরসভার ক্ষমতায় রয়েছেন তাঁরা। অথচ শহরের উন্নয়ন কাজে পুর কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। বুধবার পুরসভায় নিজের দফতরে বসে সংবাদ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। মেয়র চেষ্টা করলেও শহরবাসীর উন্নয়নে কিছু করতে পারেননি বলেও তিনি এ দিন অভিযোগ তুলেছেন। জানিয়েছেন, দলেরই নেতা কৃষ্ণ পালের অধীনে থাকা পূর্ত বিভাগ উন্নয়ন কাজে সবচেয়ে পিছিয়ে। দলের অপর মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তীর অধীনে থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে আইপিপি-৮ প্রকল্পে বাসিন্দারা পরিষেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাঁর। এ নিয়ে মেয়র তো বটেই দলের কাউন্সিলরদের একাংশও ‘অস্বস্তি’তে পড়েছেন। তাঁদের কয়েকজন বিষয়টি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকেও জানিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ‘অস্বস্তি’তে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব নিজেও। তিনি অবশ্য বলেছেন, “এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলছি না। তবে দলের কোনও মেয়র পারিষদ অন্য কোনও মেয়র পারিষদের বিভাগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক বা দল সম্পর্কিত কোনও ব্যাপারে গৌতমবাবুর অনুপস্থিতিতে কৃষ্ণ পাল বিবৃতি দেবেন। প্রশাসনিক বিষয়ে কিছু বলার থাকলে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য কথা বলবেন। কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ক্ষমতায় থাকা শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রঞ্জনবাবুর এমন বিবৃতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছেন পুরসভার বিভিন্ন মহলে। রঞ্জনবাবু এ দিন বলেন, “জোট করে আমরা ক্ষমতায় থাকলেও বলতে দ্বিধা নেই এই পুর কর্তৃপক্ষ শহরের উন্নয়নে কোনও কাজ করতে পারছে না। পুরসভার আয় বাড়েনি। খরচ বেড়েছে। ম্যান্ডেজ-এ খুশি মতো বিভিন্ন বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। দুর্নীতি হচ্ছে বিল্ডিং বিভাগের কাজে। অবৈধ বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে না। অবৈধ নির্মাণ হলেও টাকার বিনিময়ে সেই কাজে বাধা দিচ্ছেন না কাউন্সিলরদের একাংশ। তাঁরা অনেকেই টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। শহরের উন্নয়নে ব্যর্থতার দায় আমার উপরেও বর্তাবে।” শুধু তাই নয় বাসিন্দারা পুর নির্বাচনে জোটকে জিতিয়ে ক্ষমতায় এনে যে ভুল করেছেন সেটাও তাঁরা বুঝতে পারছেন বলে মনে করেন রঞ্জনবাবু। রঞ্জনবাবু বলেন, “কাদের ভোট দিয়ে মানুষ ক্ষমতায় এনেছেন এবং নিজেদের সর্বনাশ করেছেন তা তাঁরা জানতেন না। এ বার টের পাচ্ছেন।” স্বাভাবিক ভাবেই রঞ্জনবাবুর এমন বক্তব্যে ‘বিব্রত’ মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “রঞ্জনবাবু যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। আমরা পুরসভায় ক্ষমতায় এসে অনেক কাজ করছি। শহরের উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা নেওয়াও হয়েছে। যদিও আরও অনেক কাজ আমাদের করতে হবে। তাই বলে আমরা কিছুই করিনি যদি কেউ বলে থাকেন তা ঠিক বলছেন না।” মেয়রের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বরো কমিটির চেয়ারম্যান সমীরণ সূত্রধর। রঞ্জনবাবুর বিবৃতি নিয়ে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশও ক্ষুব্ধ। পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “রঞ্জনবাবু যদি ব্যর্থতার দায় মেনেই নেন তবে তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন না কেন?” রঞ্জনবাবুর জবাব, “ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। মুখে পুরসভার উন্নয়নে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার কথা বললেও বামেরা সেটুকুও পারছেন না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.