অটোরিকশা চালকের মেয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরে স্বপ্ন দেখছেন অলিম্পিক পদকের। রাঁচি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের গ্রাম রাতুচাটি। সেখানকার দীপিকা কুমারীই স্বপ্নের চিত্রনাট্যের নায়িকা। বাবা শিবনারায়ণ মাহাতো অটো চালানো ছেড়ে গাড়ির ব্যবসা করেন। মা গীতা রাঁচি মেডিক্যাল কলেজের নার্স।
মেরি কম এবং সাইনা নেহওয়ালের পরে সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে সফল মেয়ে ক্রীড়াবিদ কলকাতায় ফিরে বললেন, “আশা করি একটা না একটা পদক অলিম্পিক থেকে আনব। খালি হাতে না ফেরাই হচ্ছে প্রথম লক্ষ্য।” একটা দিক থেকে নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে মুখের অসম্ভব মিল তিরন্দাজ দীপিকার। কথাবার্তায় আত্মবিশ্বাস ঠিকরে বেরোচ্ছে। পাশাপাশি বাস্তববাদীও। টাটা তিরন্দাজ অ্যাকাডেমির মেয়েটি বললেন, “নিয়ম বদলের পরে এখন তিরন্দাজি অনেক কঠিন। কী হবে কেউ জানে না। ৬৪ নম্বরও এক নম্বরকে হারাতে পারে।” |
বিশ্বকাপে যাঁদের হারিয়েছেন, তাঁরাই অলিম্পিকে থাকবেন। তাঁর কথায়, “কোরিয়ান, চিনারাই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।”
লন্ডনে ক্রিকেটের বিখ্যাত লর্ডসে হবে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা। ওখানেই বোঝা যাবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্যের মেয়ে অলিম্পিক পদক জিততে পারবেন কি না। আপাতত কোচ পূর্ণিমা মাহাতোর সঙ্গে তাঁরা চললেন গ্যাংটকে। পূর্ণিমা জানালেন, লন্ডনে ওই সময় ঠান্ডা থাকবে বলে অলিম্পিক শিবির হবে গ্যাংটকে।
২০০৮ সালে দীপিকা প্রথম সোনা জেতেন জাতীয় জুনিয়র গেমসে। চার বছরের মধ্যেই উত্তরণ টাটা অ্যাকাডেমিতে এসে। অতীতে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি অজস্র ফুটবলার দিয়েছে ভারতকে। এ বার টাটা তিরন্দাজ অ্যাকাডেমি সেই দায়িত্ব নিয়েছে। দীপিকার আগে এখান থেকে বিশ্বকাপে সোনা জেতেন দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়ন্ত তালুকদার। দীপিকা ২০০৯ এশিয়ান তিরন্দাজিতে সোনা জেতেন দলগত বিভাগে। তার পর বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপ, সাফ গেমস, কমনওয়েলথে সোনা জেতেন। তাঁর কোচ, জাতীয় দলের প্রাক্তন পূর্ণিমা বললেন, “টিএএতে যোগ দেওয়াই ওর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। আর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল ফিনিশিং।” |