টুকরো খবর |
সুবনসিরি প্রকল্পে ছাড়পত্র ছাড়াই কাজের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
তাদের বিজ্ঞাপনী প্রচারে সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সব ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত পাওয়ার দাবি করলেও আসলে ছবিটি অন্য রকম। এমএইচপিসি-র দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে এনএইচপিসি-ই। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে জনৈক এন খাতানিয়ার এই ছাড়পত্রের বিষয়ে বিশদে জানতে চেয়েছিলেন এনএইচপিসি-র কাছে। উত্তরে তারা জানিয়েছে, চারটি দফতরের ছাড়পত্র তারা পেয়েছে। সেগুলি হল: কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ পর্ষৎ, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক ও অসম সরকার।
খাতানিয়ার সব সরকারি তথ্য-সহ আজ সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার খাতানিয়ার বলেন, “ব্রহ্মপুত্র বোর্ড সাফ জানিয়েছে, তারা নামনি সুবনসিরি বাঁধ নির্মাণের আগে এনএইচপিসিকে বাঁধ সংক্রান্ত কোনও ছাড়পত্র দেয়নি।” বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে আবার জানানো হয়েছে, তাদের শিলং অফিসের নিয়মিত বাঁধ নির্মাণের কাজ তদারক করার কথা থাকলেও গত তিন বছরের কোনও তদারক রিপোর্ট তারা দেয়নি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ পর্ষৎ আবার শর্তসাপেক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় জল নিগম ও ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের অনুমতি পেলে তবে তাদের ছাড়পত্র কার্যকর হবে। অথচ ব্রহ্মপুত্র বোর্ড এনএইচপিসিকে কোনও ছাড়পত্র দেয়নি। ফলে বিদ্যুৎ পর্ষদের ছাড়পত্রটিও বৈধ নয়। এ দিকে, অসম সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে শর্ত ছিল রাজ্যের জলসম্পদ বিভাগের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারকে প্রকল্প তদারক কমিটির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাস্তবে অসম সরকার খাতানিয়ারকে জানায়, মুখ্য ইঞ্জিনিয়রকে ওই কমিটিতে কখনও আহ্বান জানানো হয়নি। খাতানিয়রের অভিযোগ, উচ্চ ভূকম্পপ্রবণ এই এলাকায় নিয়ম ভেঙে, বৈধ ছাড়পত্র না নিয়ে জনতাকে ভ্রান্ত বিজ্ঞাপনে প্রতারিত করছে এনএইচপিসি।
|
বিহারে দু’টি পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দশ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহারে দ্বারভাঙা ও নালন্দা জেলায় দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় দশজনের জনের মৃত্যু ঘটেছে। জখম হয়েছেন তিনজন। মৃতদের মধ্যে আটজন একই পরিবারের। তাঁরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। পুলিশ জানায়, কাল রাতে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দ্বারভাঙা জেলার মনিগাছি থানার অধীন রাজে গ্রামের কাছে। মধুবনি জেলার বেহাত গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে একই পরিবারের জনা বারো লোক একটি জিপে চেপে ফিরছিলেন দ্বারভাঙার পান্ডৌল গ্রামে। কাল গভীর রাতে ৫৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসার সময় একটি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে জিপটির। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। বাকিরা হাসপাতালে। গুরুতর ভাবে জখম একজন পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নালন্দা জেলায় মহানন্দপুর গ্রামের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, আজ সকালে মাল বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে পথের ধারে একটি গাছে। তার আগে দুই পথচারীকে পিষে দেয় ট্রাকটি। অখিলেশ শর্মা ও রাজু যাদব নামে দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ট্রাকচালক-সহ দু’জন গুরুতর ভাবে আহত হন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় অধিবাসীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দানের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
|
জমি ঘিরে সংঘর্ষে হত ২, জখম ৭ |
সংবাদসংস্থা • রৌরকেলা |
|
পারিবারিক বিবাদে অস্ত্রাঘাতে জখম হয়ে রৌরকেলার এক হাসপাতালে এই বালকও। ছবি: উত্তমকুমার পাল। |
জমির অধিকার নিয়ে পরিবারে শরিকি বিবাদের জেরে বাধল সংঘর্ষ। কাল রাতে দু’ তরফের মধ্যে এই সংঘর্ষের সময় অবাধে ব্যবহৃত হয় তিরধনুক, লাঠিসোঁটা, ছোরাছুরি ও তরোয়াল। এ ঘটনায় মৃত্যু ঘটেছে দু’জনের, গুরুতর আঘাত নিয়ে অন্তত সাতজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় বোনাই থানার অধীন নায়েকসাতকুটার গ্রামে কাল রাত এগারোটা নাগাদ ঘটে এই ঘটনা। গ্রামটি রৌরকেলা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র। এলাকার অবস্থা আজও ছিল থমথমে। ওই গ্রামে শান্তিরক্ষায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে ঘনা নায়েক ও নবীন নায়েকের মধ্যে বিবাদের জেরেই ঘটে ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। জমি নিয়ে পরিবারে বিরোধ বেশ কিছু দিনের। কাল রাতে সংঘর্ষে মৃত্যু ঘটেছে ঘনা নায়েক (৫৫) ও কুমার নায়েকের (৩৫)। রৌরকেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে নকুল কিষান, সুরেশ নায়েক, অধি নায়েক, সুনীল নায়েক, অরূপ নায়েক, সঞ্জীব নায়েক ও রবিবারি নায়েকের।
|
মেয়ে পালালে খুন করতাম, পুলিশকর্তার মন্তব্যে বিতর্ক |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মেয়ে নিখোঁজ। তাই অভিযোগ জানাতে থানায় এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কাসেরওয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌকিন মহম্মদ। প্রতিকারের আশ্বাস তো মিললই না। উল্টে সাহারানপুর রেঞ্জের ডিআইজি সতীশ কুমার মাথুর মুখের উপরে বলে দিলেন, “বাড়ির মেয়ে এ ভাবে পালালে তাকে খুন করে ফেলা উচিত!” সংবাদমাধ্যমের সামনেই এর পর ওই অফিসার বলেন, “আমার মেয়ে-বোন পালালে হয় তাঁকে খুন করতাম, নয়তো আত্মহত্যা করতাম!” ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রবুদ্ধনগর জেলায়। সম্মানরক্ষায় খুন যে রাজ্যে প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা, সেখানে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের এই মন্তব্য ইন্ধন জোগাবে বলেই আশঙ্কা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা জানান, সতীশকে সাসপেন্ড করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে তিনি আর্জি জানাবেন। কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “এই সব অফিসারকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।” সতীশের মন্তব্য যে ‘বেআইনি’, তা স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এডিজি জগন্মোহন যাদবও। সতীশের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানান তিনি।
|
মৃত্যুদণ্ড ক্ষমা নিয়ে চিদম্বরমের তোপ এনডিএ-কে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের এক জনেরও ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন সম্পর্কে এনডিএ আমলে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বুধবার সংসদের বাইরে আফজল গুরু সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চিদম্বরম দাবি করেন, প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়টি নিয়ে ইউপিএ সরকার এনডিএ জমানার চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। চিদম্বরম বলেন, “লালকৃষ্ণ আডবাণী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়ে ১৪টি আবেদনের মধ্যে একটিরও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবরাজ পাটিল সেই ১৪টি-সহ মোট ২৮টি আবেদন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের কাছে পাঠিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দু’টি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। অথচ মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমার পাঠানো ওই পুরনো আবেদনগুলি-সহ মোট ৩১টি আবেদনের মধ্যে ১৬টির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল।” ইউপিএ সরকারের আমলে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন বিচারের কাজ এগোচ্ছে না বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ করেছে, তা এই যুক্তিতেই খণ্ডন করেন চিদম্বরম।
|
বিহারে জঙ্গি-পুলিশ সংঘর্ষ, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র |
নিজস্ব সংবদদাতা • পটনা |
ভোর থেকে বাঁকা জেলার বাঘভাওয়া জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালিয়ে আজ মাওবাদীদের ডেরা থেকে পুলিশ বেশ কিছু গোলা বারুদ-সহ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই বাহিনী বাঘভাওয়া জঙ্গলে অভিযান চালায়। যৌথ বাহিনী ঢুকতে গেলে জঙ্গলের ভিতর থেকে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পুলিশের কাছে নেই। তবে জঙ্গলের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে পুলিশের ছিনতাই হওয়া দু’টি রাইফেল, ৫০টি কার্তুজ, ১৪টি গ্রেনেড, ২০টি ডিটোনেটর, ১২টি জিলেটিন স্টিক, ৩টি ক্যান বোমা, কিছু পোষ্টার এবং কাগজপত্র। সিআরপিএফের কম্যাডান্ট বিধানচন্দ্র পাত্র বলেন, “অভিযান চলবে। রক্তের দাগ থেকে মনে করা হচ্ছে ওদের গুলি লেগেছে। তবে আমরা এখনও পর্যন্ত কাউকে খুঁজে পাইনি।”
|
পশ্চিম গারো পাহাড়ে কার্ফু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গোষ্ঠী সংঘর্ষ এড়াতে পশ্চিম গারো পাহাড়ে কার্ফু জারি করা হল। গতকাল থেকে অসম ও মেঘালয় সীমানায় গারো ও অ-গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। জিএনএলএ-র ডাকা বন্ধের সূত্রেই এই অশান্তি। এসপি মুকেশকুমার সিংহ জানান, গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ ৩০০ ঘণ্টার বন্ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও রাজাবালা এলাকার অ-গারো জনগোষ্ঠী জিএনএলএ-র বন্ধ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সব দোকানপাট বন্ধ রাখে। গারোরা প্রতিবাদ জানালে বিবাদ বাধে। বিক্ষিপ্ত হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। জেলাশাসক প্রবীণ বক্সি জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।
|
মেয়েদের ‘ভব্য’ পোশাক নিয়ে ফতোয়া জারি |
সংবাদসংস্থা • চণ্ডীগড় |
ভদ্র পোশাক পরে অফিসে আসুন। অর্থাৎ ওড়না-সহ সালোয়ার কামিজ এবং শাড়ি। এমনই নির্দেশ জারি করেছে হরিয়ানার নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর। ওই নির্দেশ অনুযায়ী জিন্স এবং টি শার্ট হল অশালীন পোশাক। তাই মেয়েদের আসতে হবে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরেই। নির্দেশ না মেনে দফতরে এলে কড়া শাস্তির হুমকিও দেওয়া হয়েছে। মজার ঘটনা হল, হরিয়ানার নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী, সচিব অধিকর্তা এঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু মহিলা। পোশাক-ফতোয়া থেকে বাদ পড়েননি পুরুষ কর্মীরাও। তাঁদেরও টি শার্ট জিন্সের বদলে শার্ট-প্যান্ট পরে আসার কথা বলা হয়েছে।
|
আরুষি মামলার বিচার শুরু কাল |
সংবাদসংস্থা • গাজিয়াবাদ |
আরুষি-হেমরাজ জোড়া হত্যা মামলার বিচার শুরু ১১ মে, শুক্রবার। আরুষির বাবা রাজেশ তলোয়ার ও মা নূপুর তলোয়ারই এই হত্যা মামলার মূল দুই অভিযুক্ত। বিশেষ বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতি সিংহ আজ জানান জেলা দায়রা আদালতে এই মামলার বিচার হবে। কারণ, তাঁর আদালতের খুনের মামলা বিচারের এক্তিয়ার নেই। এর আগে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া পিছোনোর আবেদন জানিয়ে তলোয়ার দম্পতি যুক্তি দেন, সিবিআইয়ের কাছ থেকে তাঁরা এখনও পর্যন্ত মামলা সংক্রান্ত সব তথ্য পাননি। কিন্তু প্রীতি সিংহ আজ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
|
মায়ার বাড়ি সংস্কারে ৮৬ কোটি |
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লখনউয়ে নিজের বাড়ির সংস্কারের জন্য ৮৬ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন মায়াবতী। তথ্য জানার অধিকার আইনে এই ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবপাল যাদব। তখনই এই তথ্য সামনে আসে। এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সপা সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পটিকে দীর্ঘ দিন ধরে ছাড়পত্র না দেওয়ার কারণেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
|
ঈশ্বরেও ভরসা নেই মন্ত্রীর |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
স্বয়ং ঈশ্বরও উত্তরপ্রদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না বলে হতাশা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী দুর্গাপ্রসাদ যাদব। সোমবার দিনেদুপুরে গোরক্ষপুরের এক বাজারে স্থানীয় নেতা পাপ্পু নিষাদের উপর হামলা চালায় ছয় সশস্ত্র দুষ্কৃতী। দু’টি মোটরবাইকে করে এসে তারা গুলি চালায়। জখম হন আট বছরের এক বালক-সহ চার জন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই দুর্গাপ্রসাদ বলেন, “রাজ্যে অপরাধ বেড়েই চলেছে। এমনকী ঈশ্বরও তা বন্ধ করতে পারবেন না। এর জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
|
জাল ভোটার কার্ড, ধৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিহারে পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট, ভুয়ো রেশন কার্ডের কারবার নিয়ে অভিযোগ ছিল। এ বার উঠল জাল ভোটার কার্ড নিয়ে। এমন জাল ভোটার কার্ড তৈরির একটি চক্রও ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। নালন্দা জেলার বিহারশরিফে এই ঘটনায় জড়িত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নালন্দা-সহ অন্য কয়েকটি জেলার ৩৯টি বিভিন্ন সরকারি অফিসের স্ট্যাম্প, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু জাল ভোটার কার্ড। নালন্দার পুলিশ সুপার নিশান্ত তিওয়ারি বলেন, “ব্রজেশ এবং সঞ্জয় নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
|
ব্রাহ্মণীতে ডুবে মৃত্যু ২ তরুণের |
সংবাদসংস্থা • রৌরকেলা |
|
নদীতে চলছে উদ্ধার কাজ। ছবি: উত্তমকুমার পাল |
সুন্দরগড় জেলার বেদব্যাস এলাকায় কাল স্নান করতে গিয়ে ভেসে যায় ছয় তরুণ। তাদের মধ্যে চারজন পরে কোনও রকমে পাড়ে এসে ওঠে। কিন্তু প্রকাশ সাহু (২২) ও সাপ্পু বর্মা ওরফে প্রমোদ (১৯) নামে দুই তরুণের সন্ধান মেলেনি। চলতি মরসুমে এ ধরনের দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে। ওড়িশা পুলিশ ও দমকলের উদ্ধারকারী দল নিরন্তর তল্লাশি চালিয়ে আজ দুই তরুণের নিষ্প্রাণ দেহ দু’টি উদ্ধার করেছে।
|
টোল ট্যাক্স নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জনগণের জন্য ভাল রাস্তা তৈরি করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্র। অথচ নিয়মিত তাঁদের থেকে টোল ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আজ কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি কে জৈন ও অনিল আর দাভের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা বলেন, রাস্তার দুরবস্থার ফলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তা সত্ত্বেও তাঁরা কেন টোল ট্যাক্স দেবেন? রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সরকার কী নীতি অনুসরণ করে তা জানাতে বলেন তাঁরা।
|
মুঙ্গেরে খুন দুই ব্যক্তি |
নিজস্ব সংবদদাতা • পটনা |
দু’ঘণ্টার ব্যবধানে মুঙ্গেরে দু’জন খুন হলেন। কাল রাতে কাসিমবাজার এবং কোতোয়ালি থানা এলাকায় খুন দু’টি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায় নিহতের নাম নিয়ামত (২২)। নিহত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম লাল্লু শর্মা (৪৫)।
|
পিটিয়ে হত্যা |
বাড়ির মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হল। যে পরিবারের লোকজন যুবকটিকে মেরেছে, তাদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কাল রাত একটা নাগাদ কাটিহারের সয়াহক থানার শরিফগঞ্জ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মহম্মদ রাজা (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, রাজা নামে এই যুবক তাঁদের মেয়েকে নানা ভাবে উত্যক্ত করত। মোবাইলে ফোন করত। মেয়েটিকে নিয়ে সে একবার পালিয়েও গিয়েছিল। অন্য দিকে, নিহতের বাড়ির লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পরিবারের লোকেরা মারধর করে। মারের পর রাজা অচেতন হয়ে পড়লে প্রহারকারীরা পালায়। রাজাকে ভোরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। |
|