|
|
|
|
নুনিসা গোষ্ঠীর বন্ধে ব্রডগেজের কাজ স্তব্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ডিএইচডি-র দিলীপ নুনিসা গোষ্ঠীর বন্ধে দু’দিন ধরে কোনও কাজ হয়নি লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ ও পূর্ব-পশ্চিম করিডর প্রকল্পে। কপিলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে উৎপাদন ব্যাহত না হলেও বন্ধ রয়েছে সমস্ত রকমের প্রশাসনিক কাজকর্ম। কাজ হয়নি পাওয়ার গ্রিডেরও। ডিমারাজি তথা ডিমাসাদের জন্য পৃথক রাজ্যর দাবিতে কাল সকাল থেকে এই সব প্রকল্পে ৩৬ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিল সংঘর্ষবিরতি মেনে-চলা জঙ্গি সংগঠনটি। পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধ ঘিরে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
দিলীপ নুনিসার কথায়, এক দশক আগে আত্মসমর্পণ করলেও সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয়। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সম্প্রসারণের বাইরে এত দিনে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এ ধরনের আন্দোলন ছাড়া তাঁদের সামনে অন্য কোনও রাস্তা নেই। ক’দিনের মধ্যে ডিমারাজি নিয়ে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এও জানিয়ে দেন, সংঘর্ষবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে ডিএইচডি-র সাতশো ক্যাডার সরকার নির্মিত বিশেষ শিবিরে (ডেজিগনেটেড ক্যাম্প) দিন কাটাচ্ছে। হতাশ হয়ে তারা যদি একদিন ফের জঙ্গলের পথ ধরে, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন চেহারা নেবে।
এ দিকে, অল বরাক ইয়ুথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (অবিসা) অভিযোগ, পরিবহণ লবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ডিএইচডি নতুন করে বন্ধের খেলায় নেমেছে। ব্রডগেজ, করিডর প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হলে তাদের ‘মুনাফা লোটার’ দিন ফুরিয়ে যাবে। তাই ওই লবিটিই দিলীপ গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়েছে। নইলে দাবি আদায়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বহু রাস্তা খোলা রয়েছে, সে সবে না গিয়ে এরা প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিতে চাইছে কেন? |
|
|
|
|
|