খানাখন্দে ভরে গিয়েছে বাঁকাদহ থেকে যাওয়ার রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বার বার আর্জি জানিয়েও রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করানো যায়নি। ফলে ভাঙাচোরা রাস্তায় প্রাণ হাতে করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে প্রশাসনের তরফে রাস্তাটি শীঘ্রই সংস্কার করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই রাস্তাটি এলাকার বাসিন্দাদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তায় পড়ে বাঁকাদহ, মাগুরা, বৈতল, রামডিহা ইত্যাদি গ্রাম। ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা অনেকেই এই রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তাঁদের অভিযোগ, “রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর ধরে মেরামত না করায় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। একে রাস্তায় গুটিকয়েক বাস চলে। তার উপর দুর্ঘটনা এড়াতে চালক বাসের গতি বাড়াতে চান না। এর ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ সময় লেগে যায়।” |
এলাকার পড়ুয়ারা বাসে চড়ে এই রাস্তা দিয়ে কামারপুকুর কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করে। রামডিহা মোড়ে এমনই কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষোভ, “খারাপ রাস্তার জন্য বাস এত আস্তে চলে যে সময়মতো কলেজে পৌঁছনো যায় না। ফলে কিছু ক্লাস করা যায় না।” এই রাস্তা সারানোর দাবিতে আগে পথ অবরোধও হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সাড়া মেলেনি বলে তাঁদের ক্ষোভ। বাঁকুড়া জেলা মোটর মজদুর সঙ্ঘের সম্পাদক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনার ঝুঁকি ছাড়াও খানাখন্দে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। তাই চালকরা ইচ্ছা করলেও গাড়ির গতি থুব বাড়াতে পারেন না।” তাঁর অভিযোগ, ওই রাস্তার ছাড়াও জেলার বহু রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। এই রাস্তাগুলি মেরামতির দাবি বার বার প্রশাসনের কাছে জানালেও কাজ হয়নি। একই রকম ক্ষোভ নিত্যযাত্রী নির্মল মাঝি, মবিনুল হকের। তাঁরা বলেন, “ব্যবসার কাজে রোজই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু খানাখন্দের জন্য খুব ধকল হয়।” তাঁরা জানান, এই রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছে জেলা পরিষদ। সেখানে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি।
সমস্যার কথা স্বীকার করে বাঁকুড়া জ়েলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত দণ্ডপাট বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অর্থ দফতরের কাছে ১ কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা জমা দিয়েছি। আপাতত বরাদ্দ ১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।” কোতুলপুরের কংগ্রেস বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ বলেন, “ওই রাস্তাটির অবস্থা সত্যিই খুব উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। শীঘ্রই রাস্তাটি সংস্কার করার কাজ শুরু করা হবে। |