কামারপাড়া হাইস্কুল |
প্রতিষ্ঠা ১৯৫৯। ছাত্র সংখ্যা ১০৬২।
মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৬ জন। অশিক্ষক কর্মচারী ৩ জন।
পার্শ্বশিক্ষিকা ১ জন। গ্রন্থাগারিক ১ জন। ২০১১ সালে
মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৮৯ জন। উত্তীর্ণ ৮৯ জন। |
|
গ্রন্থাগারের সমস্যা এখনও ভোগাচ্ছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের |
|
অশোক গঙ্গোপাধ্যায়
প্রধান শিক্ষক |
|
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পোড়খাওয়া এক সৈনিক ডাক্তার শচীন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহীপালপুর, শিখিরা, পাঁচদেউলি, দাসপুর, নোনাডাঙা, সালালপুর, দহিয়া, মালঞ্চ, গদপাড়া, ভালকী প্রভৃতি গ্রামের মানুষের ‘মূঢ় ম্লান মুখে’ ভাষা দেয়ার সুতীব্র বাসনায় কামারপাড়া গ্রামের বাবলা বন কেটে ১৯৫৬ সালে স্থাপিত হল প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকার মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছায়, নিরলস উদ্যোগে প্রথমে নিম্ন বুনিয়াদি, পরে উচ্চ বুনিয়াদি অবশেষে ১৯৫৯ সালে উচ্চ বিদ্যালয় রূপে এই বিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশ। তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী পরবর্তী কালের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন ১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। ১৯৫৯ সালের ১৬ জুন নীহাররঞ্জন রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বৃন্দাবনজিউ পল্লি উন্নয়ন সমিতির তত্ত্বাবধানে নতুন ভাবে গড়ে ওঠা এই এলাকার নাম হল বৃন্দাবনপুর। ২০০৬ সালে এই বিদ্যালয় উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক বৃত্তিমূলক বিভাগের পঠন-পাঠনও এ বৎসর শুরু হয়। শিক্ষক-সংখ্যা অপ্রতুল হলেও পঠন-পাঠন কার্যে সকলেই যত্নবান। ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে প্রায় ২৫০ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। নিজস্ব ভেষজ উদ্যানে নানাবিধ সহজলভ্য ভেষজ উদ্ভিদ আছে। জনসাধারণ ও অভিভাবকদের ভেষজ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন গাছ-গাছড়ার উপর পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দ্বারা বিভিন্ন প্রজাতির ধানের সংরক্ষণ করা হয়েছে। |
টিভি ও ডিভিডি প্লেয়ারের মাধ্যমে নানা বিনোদন ও শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক সৌম্যজিৎ বোসের নামে ভূগোল বীক্ষণাগার, বিজ্ঞান বীক্ষণাগারও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে। বৃত্তিমূলক বিভাগের সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাবরেটরিও আছে। এত কিছু থাকলেও না-পাওয়ার তালিকাটাও কম নয়। প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশ কম। খেলার মাঠটির আশু সংস্কার প্রয়োজন। প্রয়োজন বিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের। সব ছাত্রছাত্রীর জন্য কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়নি। প্রয়োজন পাঠাগারের জন্য আরও বই। অভাবী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনুদান তহবিল গঠনও জরুরি। প্রয়োজন এক জন মহিলা শিক্ষাকর্মীর। ছাত্রছাত্রীদের কমনরুম দরকার। চাই একটি জেনারেটরে। বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি তপসিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রদের জন্য ছাত্রাবাস আছে। সেখানে সব ছাত্রের স্থান সংকুলান হয় না। |
আমার চোখে
লাবণী গুঁই
ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল |
|
|
আমাদের কাছে এই বিদ্যালয় একটি পরিবারের মতো। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের প্রতি সহমর্মী। তাঁরা শ্রেণিকক্ষের বাইরেও আমাদের পাঠদানের ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। পাশের বিদ্যালয়ের ধ্রুবপদ কুণ্ডু স্যার অবসর নেবার পরেও আমাদের বিদ্যালয়ে রোজ আসেন। আমরা যাতে ভাল ভাবে অঙ্ক শিখি তার জন্য তিনি আমাদের সময় দেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। বিদ্যালয়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। নানা ‘দিবস’ যেমন বিশ্ব জল দিবস, স্বাস্থ্য দিবস, বসুন্থরা দিবস, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দিবস প্রভৃতি পালন করা হয়। এই উপলক্ষে বসে আঁকো, ক্যুইজ, পোস্টার লেখা প্রভৃতি প্রতিযোগিতা হয়। বিদ্যালয়কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত নানা কর্মসূচি পালন করি। আমাদের গ্রন্থাগার আমাদের বড় প্রিয়। কিন্তু আমাদের আরও বই চাই। মিড-ডে-মিলের খাবার জন্য বড় শেড চাই। বর্ষাকালে বড় অসুবিধা হয়। আমাদের বড় সাইকেল শেড চাই। |