|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৯ এপ্রিল - ৫ মে |
|
অ্যাবটাবাদ বেজিং কাঠমান্ডু ইসলামাবাদ তেল আভিভ |
• ওসামা বিন লাদেন-নিধনের এক বছর পূর্ণ হল। অ্যাবটাবাদের সেই বাড়ি ভেঙে ফেলেছে পাক প্রশাসন। ২ তারিখ সেখানেই ট্যুরিস্টের ভিড় জমল। ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত সবাই। (ছবি) সে দিনই আফগানিস্তানের বাগরাম এয়ারবেসে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা জানালেন, ইরাকের মতো আফগানিস্তান থেকেও সরে যাবে মার্কিন সেনা। ২০১৪ সালের মধ্যে। ‘নতুন দিন’ আসছে। তাঁর লক্ষ্য শুধু আল-কায়দাকে ধ্বংস করা। প্রেসিডেন্টের অভীষ্ট শ্রোতা যে নির্বাচনের মুখোমুখি মার্কিন জনতা, সন্দেহ নেই।
• নেপালের সব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন নতুন সংবিধানের দাবিতে। প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই বিপন্ন। তিনিও পদত্যাগ করুন, এই ছিল মন্ত্রীদের দাবি। তিনি তা না করায় মন্ত্রীরাই সরে গেলেন।
•এ বার বয়সে কিশোর আত্মঘাতী জঙ্গি। পাকিস্তানের জনজাতি-অধ্যুষিত অঞ্চলে খর নামক শহরে বিস্ফোরণে উড়ে গেল ১৬টি প্রাণ। এই ১৬ জনের অধিকাংশ স্থানীয় পুলিশ, যাঁরা তালিবান দমনে পাক প্রশাসনকে সাহায্য করেছিলেন। বার্তা পরিষ্কার।
•প্রাক্তন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিনের হত্যাকারীর ভাইকে জেলে পোরা হয়েছিল ১৬ বছরেরও বেশি আগে। আজ এত দিন পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল। ইজরায়েল রেডিয়োকে বললেন সদ্য-মু্ক্তিপ্রাপ্ত: ‘যা করেছি, তার জন্য গর্বিত।’
|
• হিলারি ক্লিন্টন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম কঠিন পরিস্থিতিটির সম্মুখীন। তাঁর বেজিং সফরের আগেই চেন গুয়াংচেং-এর ঘটনায় মার্কিন দূতাবাসের জড়িয়ে যাওয়ায় পূর্বনির্ধারিত আলোচ্যসূচি এখন মাথায় উঠেছে। পাকেচক্রে ঘটনার সময় অকুস্থলে উপস্থিত বিদেশ সচিব। চিনকে বেশি চটালেও চলবে না, আবার চাপও আলগা করা যাবে না অত্যন্ত সরু দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটছেন তিনি। |
|
চিনের পলাতক গৃহবন্দি চেন গুয়াংচেং-এর সন্ধান পাওয়া গেল। তিনি বেজিং-এর মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চেন প্রথমে জানালেন, তিনি চিনেই থাকতে চান। বেজিং-এর এক হাসপাতালে তাঁর স্ত্রীকে এনে রেখেছিল প্রশাসন। স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মত পাল্টালেন চেন। জানালেন, ইতিমধ্যেই মারাত্মক সব হুমকি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ফলে, নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আশ্রয় চাইলেন চেন। এ দিকে, বেজিং-এর পুলিশ মার্কিন দূতাবাসের কাউকেই আর চেন-এর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছিল না। কিন্তু, হিলারি ক্লিন্টনের আসন্ন সফরের আগে বেজিং-ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্নায়ুর লড়াইয়ে যেতে চাইল না। চিনা কর্তৃপক্ষ জানাল, চেন যদি বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাতে আপত্তি নেই।
|
প্রেসিডেন্সি তো গিয়েছেই। এ বার কি রাজনৈতিক কেরিয়ারও জলাঞ্জলি? রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ-এর সামনে এখন এটাই বিলিয়ন-ডলার প্রশ্ন। সুকৌশলে তাঁকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন এত দিন ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১২-র মার্চে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আবার জিতে আবার, তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট পুতিনই। কিন্তু বেচারা মেদভেদেভ? তাঁর জায়গা হবে কোথায়? গত চার বছরের ক্ষমতাসীন থাকার পর্বে যে পুতিনের ‘সাইডকিক’ বা পার্শ্বচর ছাড়া আর কোনও পরিচয় নিজের জন্য জোটাতে পারেননি! সুতরাং পুতিনেরই মুখপানে তাকিয়ে থাকা ছাড়া গতি নেই।
|
এই রবিবারই ডুয়েল অর্থাৎ দ্বৈরথ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব। এক দিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি, অন্য দিকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফ্রাঁসোয়া অল্যান্দ। কিন্তু তার দুই দিন আগে আর একটা ডুয়েল দেখা গেল যে! টেলিভিশন চ্যানেলে দুই জন একসঙ্গে অবতীর্ণ দ্বৈরথে। এবং স্পষ্টতই এগিয়ে রইলেন অল্যান্দ। তিন ঘণ্টার এই শো দেখলেন প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ ফরাসি। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতার দিকেই আপাতত হাওয়া জোর। ফ্রান্সে গত পঞ্চাশ বছরে নাকি সারকোজির মতো এমন অবাঞ্ছিত প্রেসিডেন্ট আর দেখা যায়নি। টিভি শো-এ অল্যান্দ-ও তাই সোজাসুজি বলে দিলেন, “নিজেকে ‘ভিকটিম’ হিসেবে দাঁড় করাতে কিন্তু খুবই কষ্ট হচ্ছে আপনার!”
|
কাণ্ডই বটে! এক বছর পূর্ণ হল। আর টুইটার ভরে গেল ‘ফতোয়া ফ্রম হেল’ বার্তায়। ওসামা বিন লাদেন না কি ‘হেল’ থেকে ‘টুইট’ করে ফতোয়া পাঠাচ্ছেন। এই সব টুইটের উদ্দেশ্য কেবলই মজা: যার যা পছন্দ নয়, সেই সব কাজকম্ম বন্ধ করার প্রয়াস। বিন লাদেন যে গোটা বিশ্ব জুড়ে কত বড় আইকন, আবারও প্রমাণ হল সেই দিন, ২ মে।
|
প্রেম ভেঙে যায় ১৯৮৫ সালে। প্রায় তিন দশক কেটে গিয়েছে। কিন্তু, সময় কি আর পুরনো প্রেমিকাকে মুছে ফেলতে পারে? অতএব, ফিরে এলেন বারাক ওবামার প্রাক্তন অস্ট্রেলিয় বান্ধবী জেনেভিয়েভ কুক। বই লেখা হচ্ছে তাঁর ডায়রি থেকে। অনেক কথাই বলেছেন তিনি যৌনতা, আঘাত, শীতলতা। কিন্তু, সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত মন্তব্যটি হল বারাক নাকি নিজের আত্মপরিচয় নিয়ে দ্বিধায় ভুগতেন। মনে করতেন, কালো মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করার পক্ষে তিনি বড্ড বেশি ফরসা। নির্বাচনের ঠিক আগেই এই সব কথা! (হিতোপদেশ: বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলার সময়, সাবধান!) |