টুকরো খবর
চিকিৎসককে ‘হুমকি’,তদন্তে এলেন অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সোমালী রায় ও আগের সুপার নিমাই মণ্ডলকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার দুপুরে রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (অপথ্যালমোলজি) কমলাকান্ত পতি তমলুকে এসে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা, সোমালীদেবী ও বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) নিমাই মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযুক্তদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নেন তিনি। যদিও অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গত ২০১১ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা হাসপাতালে কাজে যোগ দেন রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক সোমালী রায়। ওই দিন হাসপাতাল চত্বরেই সোমালীদেবীকে জেলা হাসপাতালেরই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সত্যরঞ্জন সাহু প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে সোমালীদেবী তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও তিনি অভিযোগ জানান। অন্য দিকে গত বছরই ২৬ অগস্ট জেলা হাসপাতালের তৎকালীন সুপার নিমাই মণ্ডলকে হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক পি কে ভুঁইয়া ও কে ডি সাহা অন্যত্র বদলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। নিমাইবাবু ওই হুমকির বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সোমালীদেবী নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে কর্মস্থলে আর আসেননি। নিমাইবাবু চলতি বছর মার্চ মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) পদে যোগ দিয়েছেন। জেলা হাসপাতালের সুপার ও চিকিৎসকদের অভিযোগ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেন। সেই সূত্রেই বুধবার রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা তমলুকে আসেন।

কর্মবিরতি, ভোগান্তি
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চূড়ান্ত হয়রানি হল রোগীদের। বুধবার, পানিহাটির মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথি কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে। ভাতা বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে এ দিন কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এ দিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগীরা অভিযোগ করেন, দুপুরের চড়া রোদে ডাক্তার দেখাতে এসে তাঁদের ফিরে যেতে হয়েছে। দেবজ্যোতি দে নামে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “রোগীরা ফিরে গিয়েছেন এটা আমাদেরও খারাপ লেগেছে। কিন্তু যে টাকা আমাদের ভাতা বাবদ দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত কম। হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। এগুলির দাবিতেই কর্মবিরতি ডাকা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে আচমকা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত না নেন, সে বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।

প্রতীক্ষা
দুর্গাপুরের পথে শিশু। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র
প্রায় এক মাসের প্রতীক্ষা শেষ হল। বীরভূমের মল্লারপুর থেকে বাবাকে ডেকে এনে হৃদ্রোগী শিশুকে দুর্গাপুরের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে গেল প্রশাসন। গত ১৭ মার্চ মাতৃহারা শিশুটিকে বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তার বাবা, মল্লারপুরের বিনোদ পান্ডে। অস্ত্রোপচার না হলে শিশুটি বাঁচবে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে বিনোদবাবু বর্ধমানে আসছিলেন না। বর্ধমান ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে এনে শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্ধমানের হাসপাতালটি চিকিৎসার খরচের একটা বড় অংশ ছেড়ে দিয়েছে, পরবর্তী চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার নিয়েছে দুর্গাপুরের হাসপাতাল। বুধবার অস্ত্রোপচারের জন্য রক্ত জোগাড় দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.