হৃদরোগের ভাল চিকিৎসা প্রয়োজন
চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে হৃদরোগের সুচিকিৎসার তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। রোগের অবস্থা গুরুতর হলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কল্যাণী কিংবা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু গত এক বছরে পোলবা-দাদপুর ব্লক-সহ কয়েকটি ব্লক থেকে আসা রোগীদের কল্যাণী হাসপাতালে পাঠানো হলেও মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কয়েক জন। অধিকাংশেরই সময় মতো চিকিৎসা হয়নি, বা সঠিক পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ। ফলে, এই এলাকার মানুষের মধ্যে আশঙ্কা জন্মেছে, কল্যাণীতে পাঠালে রোগী ভাল হওয়ার নয়। চুঁচুড়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন, এই হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা থাকলে মুমূর্ষু রোগীকে অন্যত্র পাঠানোর দরকার পড়ত না। এমনিতেই স্ট্রোক বা সেরিব্রাল অ্যাটাকের রোগীকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই হাসপাতালে আনতে আনতেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অন্যত্র পাঠানো হলে আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় যায়। এই টানা-হেঁচড়ার মধ্যে পড়ে অনেকেই প্রাণ হারান বলে অভিযোগ। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে হৃদরোগের উপযুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এই খামতি পূরণ করা খুবই জরুরি।


রাস্তায় বড় বড় গর্ত, সংস্কার চাই
বাগনান থানার অন্তর্গত মুরালিবাড় থেকে লাইব্রেরি মোড় রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেও জল জমে যেন ছোটখাট পুকুরের চেহারা নেয়! বেশ কয়েকটি রুটের বাস, ট্রেকার, অটো এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এক জনের মৃত্যুর পরে রাস্তা সারানো হয়েছিল। কয়েক বছর আগে ওই সংস্কারটুকুর পরে অবস্থা এখন ফের আগের মতোই। পুজোর আগে গর্তগুলিতে ইট ফেলে সাময়িক জোড়াতাপ্পির কাজ হয়েছিল। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন এত ভারি গাড়ি চলাচল করে, সেটির পাকাপাকি সংস্কার হবে না কেন?


বাঁকড়ার হাল ফেরানো হোক
হাওড়া জেলার বাঁকড়া কাপড়ের ব্যবসা ও সেলাই শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বাঁকড়া এবং পাশেই বালিটিকুরি এলাকায় কলকারখানাও বেড়েছে। হাওড়া-আমতা রোডের দু’পাশে বিপুল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, বসতি বেড়েছে। কিন্তু প্রচুর বাড়ি-ঘর তৈরি হলেও নিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর নেই কারও। এ ছাড়া, শলপ মোড় থেকে মুন্সিডাঙা মোড়, কবরপাড়া থেকে দোতলা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। এই রাস্তায় বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে বাঁকড়ার নাগরিক পরিষেবা আরও উন্নত করার দিকে নজর দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


রাস্তার পাশ থেকে সরানো হোক গাড়ি
স্টেশন রোড থেকে ভদ্রেশ্বর স্টেশনের টিকিট ঘর পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটির দু’ধারে মোটরবাইক, সাইকেল রাখা থাকে। ফলে, রাস্তাটি যথেষ্ট চওড়া হওয়া সত্ত্বেও হাঁটাচলার মতো জায়গা থাকে না। এতে রেলযাত্রীদের খুবই অসুব্ধিার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু তা-ই নয়, রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকে রিকশা। তাতে জায়গার অভাব বাড়ে আরও। রেলের কাছে আবেদন, এই রাস্তায় যাতে গাড়িঘোড়া দাঁড়িয়ে না থাকে, সে ব্যাপারটি দেখা হোক। তাতে বহু নিত্যযাত্রী উপকৃত হবেন।

পুকুর সংস্কার দরকার
হাওড়ার এক দর্শনীয় স্থান হল দেলী মেলাইচণ্ডী মাতার মন্দির। আমতা বাজারের কাছে এটি অবস্থিত। মন্দির সংলগ্ন পুকুরটি আয়তনে প্রায় তিন বিঘা। ‘মেলাই পুকুর’ নামে পরিচিত এই পুকুরে নিয়মিত বহু মানুষ স্নান করেন। পুণ্য লাভের আশায় দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন স্নান সারতে। কিন্তু পুকুরটি নানা আবর্জনায় ভরা। প্রতিদিন মাছের বাজারের নোংরা জল, পচা সব্জি, প্লাস্টিক ফেলা হয় জলে। সব মিলিয়ে শ্রী হারাতে বসেছে পুকুরটি। এর সংস্কার

ট্রেনের সংখ্যা বাড়ুক
ডানকুনি-শিয়ালদহ লাইনের যাত্রীদের দুর্ভোগের কারণ, রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। ডানকুনি থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে শিয়ালদহ যাতায়াত করেন। কিন্তু যাত্রী-সংখ্যা বেড়ে চললেও ট্রেনের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়েনি। কয়েক জোড়ে বাড়তি ট্রেন এই লাইনে চালানো খুবই জরুরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.