খেলার টুকরো খবর
|
|
প্রীতি ক্রিকেটে অঞ্জনাভ |
বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব ১৬ প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেল সিউড়ির ডাঙালপাড়ার অঞ্জনাভ সাহা। এ বারই সে সিউড়ির চন্দ্রগতি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। বাংলা দলের হয়ে খেলার জন্য যাদবপুরে আন্তঃজেলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বীরভূমের ৫ জন যোগ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে অঞ্জনাভ নির্বাচিত হয়েছে। সে বর্তমানে জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার প্রবাল ঘোষের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। |
|
অঞ্জনাভর বাবা শম্ভুনাথবাবু রাজনগরের করমকাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শারীর শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক। পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেকে খেলার বিষয়েও উৎসাহিত করেন। স্বভাবতই ছেলের এহেন সাফল্যে খুশি শম্ভুনাথবাবু। তিনি বলেন, “আমি চাই ছেলে জেলার সম্মান বৃদ্ধি করুক।” বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ৬ মে ওই প্রীতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলা দলের হয়ে খেলবে আর এক ক্রিকেটার সাঁইথিয়ার শুভ্রজিৎ দাসও। গত বছরই বাংলা দলে জায়গা করে নেয় শুভ্রজিৎ। তারা দু’জনেই বলে, “জেলার সুনামের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” এ দিকে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওদের উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করি।”
|
লোকপাড়ায় ক্রিকেট |
লোকপাড়া ধর্মরাজ সঙ্ঘ পরিচালিত ২৪ দলীয় এক রাতের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল মুর্শিদাবাদের রাইহাট চণ্ডীমাতা ক্লাব। গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় হাটতলা সংলগ্ন মাঠে ওই খেলা হয়। ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মুর্শিদাবাদের মুহুরাকান্দি দাদাভাই সঙ্ঘ ৬ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯ রান করে। জবাবে রাইহাট ৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং বেস্ট প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন রাইহাটের রাহুল প্রামাণিক এবং তাপস প্রামাণিক। মহুরাকান্দির বলরাম দাস ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়েছেন।
সংক্ষেপে: আগামী ৮ মে সিউড়িতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে আইএফএ আয়োজিত এবং বীরভূম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ‘সি লাইসেন্স ফুটবল কোচেস’ কোচিং ক্যাম্প। রাজ্যের কোচেরা সেই শিবিরে যোগ দেবেন। মোহনবাগানের কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সব কোচেদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
|
লংজাম্পে প্রথম রুব্বান |
|
ছোট বেলায় বাবা মারা গিয়েছে। দাদারা তার পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন। এই সমস্যায় বিধবা মাকে নিয়ে দিনমজুরি করে সংসার চালায় ১৬ বছরের কিশোর রুব্বান খান। এই প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও রাজ্য কোচ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অ্যাথলিট প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৮ লংজাম্প বিভাগে প্রথম হয়েছে সিমলাপাল থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুব্বান সে। শুধু তাই নয় নিজের চেষ্টায় সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষাও দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট রুব্বান। বিধবা মাকে নিয়ে কোনও রকমে দিনমজুরি করে সংসার চালায় সে। দারিদ্র অবশ্য তাকে দমাতে পারেনি। কষ্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি রুব্বান চালিয়ে যাচ্ছে খেলাধূলা এই সাফল্যে তাই খুশি হাইস্কুলের শিক্ষকেরাও। আর রুব্বানের কথায়, “সংসার চালানোর জন্য আমাকে নানা রকম কাজ করতে হয়। তাই প্রতিদিন ঠিকমতো অনুশীলনও করতে পারি না। বাঁকুড়ার অ্যাথলেটিক কোচ সেন্টারের মাধ্যমে ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলাম। আমি ওদের কাছে ঋণী।” সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুলের শিক্ষক সৌমেন রক্ষিত বলেন, “বহু কষ্ট করে রুব্বান পড়াশোনা করছে। খেলাধূলাতেও ভাল। ওর এই সাফল্যে আমরা সবাই গর্বিত। কয়েক দিনের মধ্যে স্কুলের তরফে ওকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।”
ছেলের সাফল্যে খুশি রুব্বানের মা মঞ্জুরা বিবি। তিনি বললেন, “আমি তো ওকে কোনও কিছু দিতে পারিনি। তবু রুব্বান পড়াশোনা করছে, দৌড়ঝাঁপ করে বড় হওয়ার খুব ইচ্ছে ওর। কেউ সাহায্য করলে একদিন ছেলে দেশের নাম করবে।”
|
মিস্টার ইন্ডিয়া |
পঞ্চম সিনিয়র বডি বিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ (সিনিয়র মিস্টার ইন্ডিয়া ২০১২) জিতে ‘মিস্টার ইন্ডিয়ার’ খেতাব পেলেন আদ্রা ডিভিশনের রেল কর্মী শ্যাম শর্মা।. সম্প্রতি কর্নাটক স্টেট বডি বিল্ডিং অ্যান্ড ফিটনেস অ্যসোসিয়েশন জাতীয় স্তরের ওই দেহসৌষ্ঠব্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যোগ দিয়েছিলেন সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৪২ জন প্রতিযোগী। ১০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আদ্রার ডিভিশনের বিদ্যুৎ বিভাগের ওই রেল কর্মী। .৩৬ বছরের বয়সের ওই রেল কর্মীর বাড়ি মনিপুরের ইম্ফলে। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ হিসাবেই তিনি দক্ষিণ-পূর্ব রেলে চাকরি পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কর্মসূত্রে আদ্রা রয়েছে। তাই তাঁর এই কৃতিত্ব গর্বিত আদ্রার বাসিন্দারাও। এর আগেও তিনি ‘মিস্টার ইন্ডিয়ার’ খেতাব পেয়েছেন।
এ বার ঝাড়খণ্ডের হয়ে তিনি ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। আদ্রায় ফিরে শ্যামবাবু বলেন “সিনিয়র মিস্টার ইন্ডিয়ার খেতাব জেতার অনুভূতিই আলাদা। প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে রেলের তরফে অনেক সাহায্য পেয়েছি,” আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার বলেন, “একজন রেলকর্মীর জাতীয় স্তরের ওই সম্মান পাওয়ার ঘটনায় আমরা গর্বিত।’’
|
টি ২০ ক্রিকেট |
মিলন কালিন্দ ভজহরি স্মৃতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় জয়ী হল বর্ধমানের বার্নপুর স্কুল অব ক্রিকেট। রবিবার চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় তারা উখড়া ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছে। গত ২২এপ্রিল আদ্রায় বিজয় সংঘ ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের পরিচালনায় শুরু হয়েছিল ওই টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যোগ দিয়েছিল পুরুলিয়া, বর্ধমান ও ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেট দল। টসে জিতে উখড়াকে ব্যাট করতে পাঠায় বার্নপুর। ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে উখড়া করে ১২৪ রান। পরে ১৮.৪ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বার্নপুর। |
|