আই সি বি এম অধিকারী দেশগুলির তালিকায় এবার ভারতও
প্রযুক্তি দক্ষতায় ফের ভারত বিশ্বকে জানিয়ে দিল তার অবস্থান। জানিয়ে দিল, তাকে গুরুত্ব দিতে হবে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন কিংবা ইজরায়েল-এর মতো। কেন? জবাব: ওই দেশগুলোর মতো ভারত পারে বহু দূরে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে। পরমাণু বোমা বা হাইড্রোজেন বোমা বানানো কঠিন কাজ। কিন্তু সে একটা ধাপ। বোমা তো বানালে চলে না, তা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুড়ে মারা সম্ভবত আরও কঠিন কাজ। হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে যে-দুটো বোমা ফেলেছিল আমেরিকা, সেগুলো বিমানে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর ওই দুই শহরের আকাশে পৌঁছে বিমান থেকে ফেলা হয়েছিল বোমাগুলো। ৬০-৬৫ বছর পরে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। দেশে-দেশে যুদ্ধ বাধলে এখন আর কেউ ভাবতে পারবে না বোমা ফেলার ওই পদ্ধতি। কারণ, লক্ষ্যে পৌঁছোনোর আগেই বোমা-বহনকারী বিমান ধ্বংস হবে শত্রু-দেশের আক্রমণে। বোমা ফেলতে হলে এখন তা পাঠাতে হবে অনেক দূর থেকে। মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের (মূলত যা রকেট) ঘাড়ে বসিয়ে ছুড়তে হবে বোমা। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি একটা বিরাট ব্যাপার, যা আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ওই দেশগুলোর আছে। গত ১৯ এপ্রিল এক সফল পরীক্ষার ফলে ভারত বুঝিয়ে দিল, এ দেশও ওদের চেয়ে ‘কম নেহি’।
ওড়িশার উপকূলের কাছে হুইলার দ্বীপ থেকে ওদিন ছোড়া হল অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র। ভারত মহাসাগরে ৫,০০০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব-নির্দিষ্ট নিশানায় ২০ মিনিট পরে গিয়ে আছড়ে পড়ল সেটি। এটা পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। আসল বোমার বদলে ওই ক্ষেপণাস্ত্র বয়ে নিয়ে গিয়েছিল একটা ‘ডামি’। তা হোক, যে ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ টন, তা যে উৎক্ষেপণ থেকে লক্ষ্য পর্যন্ত গেল একেবারে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো, সেটা একটা বিরাট সাফল্য। এ জন্য অগ্নি-৫-এর নির্মাতা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন (ডি আর ডি ও)-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি।
গোত্রবিচারে অগ্নি-৫ হল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। বহু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। সত্যিই অগ্নি-৫ পারে অনেক দূরে নির্ভুল নিশানায় পৌঁছোতে। ইরানের রাজধানী তেহরান তো তুচ্ছ, অগ্নি-৫ চাইলে পৌঁছোতে পারে চিনের বেজিং, সাংহাই এমনকী রাশিয়ার মস্কো পর্যন্ত। আসলে, অগ্নি একটা সিরিজ। এর আগে অগ্নি-৩ পাড়ি দিয়েছিল ৩,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব। অগ্নি-৪ পৌঁছেছিল ৩,৫০০ কিলোমিটার দূরে।
আইসিবিএম প্রযুক্তি আয়ত্ত করা কঠিন নানা কারণে। এই ক্ষেপণাস্ত্র হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় উপবৃত্তাকার পথে। উৎক্ষেপণের পর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চলে যায় মহাশূন্যে। ওখানে অনেকটা পথ অতিক্রম করে লক্ষ্যে পৌঁছোনোর জন্য ফের ঢোকে বায়ুমণ্ডলে। এই তৃতীয় পর্ব মারাত্মক। বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ক্ষেপণাস্ত্রের তাপমাত্রা পৌঁছোতে পারে ২৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই অবস্থায় নিজের গতিপথ ঠিক রেখে চলা কঠিন ব্যাপার। গতিপথ ঠিক রাখে ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে বসানো যে-সব মিনি কম্পিউটার, তাদের কাজ ঠিকমতো চালু থাকা জরুরি। অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ প্রমাণ করল ডি আর ডি ও-র বিজ্ঞানীরা তেমন মিনি কম্পিউটার বানাতেও দক্ষ। ডি আর ডি ও-র বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অগ্নি-৫-এর প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ওঁরা এ বার এগোবেন বড়সড় লক্ষ্যে। ভবিষ্যতে শত্রু-দেশ ভারত লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে তাকে আকাশেই ধ্বংস করার কাজে।
ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হল ২২ এপ্রিল। দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত পর্ব আগামী রবিবার, ৬ মে। যে পদ্ধতিতে সে দেশে এই নির্বাচন হয়, তার নাম ‘টু রাউন্ড সিস্টেম’। কোনও প্রার্থী যদি প্রথম পর্বেই অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে যান, তা হলে আর দ্বিতীয় রাউন্ডের দরকার হয় না। কিন্তু সচরাচর তেমন হয় না, যেমন এ বারেও হয়নি। তখন প্রথম রাউন্ডের ভোটে যাঁরা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন, সেই দু’জন প্রার্থীকে দ্বিতীয় পর্বে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, বাকিরা বাদ চলে যান। এ বার যেমন মুখোমুখি লড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এবং সোশালিস্ট পার্টির ফ্রঁসোয়া অলাঁদ। প্রথম রাউন্ডে সারকোজি পেয়েছেন ২৭.২ শতাংশ ভোট, অলাঁদ-এর ঝুলিতে ২৮.৬।
পার্বত্য দার্জিলিঙের তিন মহকুমা ছাড়াও তরাই ও ডুয়ার্সের সাড়ে তিনশো মৌজাকে নিয়ে নতুন করে স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের সীমানা নির্ধারণই জিটিএ বা গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসনের চুক্তির সার কথা। অতিরিক্ত এই মৌজাগুলির জনবিন্যাসের চরিত্র নির্ণয়ে জনগণনার পরিসংখ্যান শিরোধার্য করা হবে, এটাই ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুঙ্গদের দাবি। কিন্তু ২০০১ সালের অর্থাৎ বিগত জনগণনার হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি জেলার ৮টি ব্লকের ১৯৯টি মৌজায় গরিষ্ঠতা দূরস্থান, গোর্খারা এমনকী এক-তৃতীয়াংশেরও কম। সব কটি মৌজাতেই হয় বাঙালিরা, নয়তো আদিবাসীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর এই আটটি ব্লক নিয়েই ডুয়ার্স। এখানেই উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ চা-বাগান এবং সংরক্ষিত অঞ্চল। এই মৌজাগুলি হাতছাড়া হওয়ার অর্থ বিপুল রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা নষ্ট হওয়া। স্বভাবতই মোর্চা নেতৃত্ব আদিবাসী পরিষদের বিক্ষুব্ধ অংশ জন বার্লার অনুগামীদের নিয়ে এই মৌজাগুলির উপর দখল কায়েম করতে আগ্রহী।
সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানাল, দেশের সব বেসরকারি স্কুলে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। এই সংরক্ষিত আসনে যারা ভর্তি হবে, তাদের জন্য কোনও পৃথক ব্যবস্থা করা চলবে না বাকি ৭৫ শতাংশ ছাত্রের জন্য যা ব্যবস্থা, এই ২৫ শতাংশের জন্যও সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশটি শিক্ষার অধিকার আইনকে আরও মজবুত করল।
এই যে বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা, পরিভাষায় একে ‘অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন’ বলা হয়। এর পিছনে যুক্তি সরল ঐতিহাসিক ভাবে বৈষম্যের কারণে কোনও একটি গোষ্ঠী যদি পিছিয়ে পড়ে, রাষ্ট্র তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ করে। সংরক্ষণই অবশ্য একমাত্র অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন নয়।
ভারতীয় সংবিধানে সংরক্ষণ স্বীকৃত। সংবিধানের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী বা তফসিলি জাতি/ জনজাতিভুক্ত মানুষদের উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যে কোনও ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা করতে পারে। ১৬ ধারা বলছে, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সরকার প্রয়োজন বোধ করলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
ভূমিকম্প
• ১১ এপ্রিল দু’টি প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া সহ ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৮.৬ এবং ৮.২। ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৮টি দেশে সুনামি সতর্কবার্তা জারি করা হয়। এর মধ্যে তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতে জারি করা হয় চূড়ান্ত সতর্কবার্তা। ভূগর্ভে ভারতীয় প্লেট এবং সুন্দা প্লেট-এর মধ্যে পাশাপাশি ঘর্ষণের ফলেই এই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা।

সংরক্ষণ
• শিক্ষার অধিকার আইনের সাংবিধানিক স্বীকৃতি বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ১২ এপ্রিল থেকেই এই আইনের আওতায় দেশের সমস্ত বেসরকারি বিদ্যালয়ে ২৫ শতাংশ আসন গরিব পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত করা হল।

টাইটানিক
• সাউথহ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল অতলান্তিক মহাসাগরে তলিয়ে গিয়েছিল টাইটানিক। গত ১৫ এপ্রিল সেই সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার একশো বছর পূর্ণ হল।

অগ্নি-৫
• ১৯ এপ্রিল ওড়িশা উপকূলের হুইলার দ্বীপ থেকে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডি আর ডি ও) তত্ত্বাবধানে উৎক্ষেপণ করা হল ভারতের প্রথম ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) ‘অগ্নি-৫’। পরমাণু অস্ত্র বয়ে ৫০০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্বে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। আফ্রিকা ও ইয়োরোপের একাংশ সহ গোটা এশিয়াই চলে আসছে এর পাল্লায়। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্সেরই আইসিবিএম ছিল। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল ভারতও।

পুরস্কার
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ববোধের নামে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

জিম ইয়ং কিম
• বিশ্ব ব্যাঙ্কের নতুন কর্ণধার হলেন মার্কিন স্বাস্থ্যবিদ জিম ইয়ং কিম।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.