থানায় না-জানিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে নিষেধ
জঙ্গলমহলে বিডিওদের সতর্ক করল প্রশাসন
ত্তীসগড়ে জেলাশাসক অপহরণের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকায় কর্মরত বিডিওদের নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিওদের থানায় না-জানিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই জেলা গোয়েন্দা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ পেয়েই কাজ শুরু করেছে ওই দফতর। কোন এলাকার কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা দফতরের এক সূত্রে খবর, কয়েক জন বিডিও’র নিরাপত্তা বাড়ানোর সুপারিশ করা হতে পারে রিপোর্টে। জেলা পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে বিডিওদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যা যা পদক্ষেপ করার তাই করা হবে।”
জেলার জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি অবশ্য আগের মতো বিপজ্জনক নেই। মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পর নাশকতা কমেছে। বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে সেই চাপা উত্তেজনা, উদ্বেগও দূর হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত বলে মনে করছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। তাই প্রত্যন্ত এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বিডিওদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, কোথাও যেতে হলে সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়ে যেতে হবে। এ জেলার জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ শুরুর পর থেকেই বিডিওদের সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। আগে লালগড়, বেলপাহাড়ির মতো এলাকার বিডিওদের ২ জন করে রক্ষী দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৪ জন করা হয়। অন্য দিকে, শালবনি, মেদিনীপুরের (সদর) মতো এলাকার বিডিওদের শুরু থেকেই ২ জন করে রক্ষী দেওয়া হয়েছে। যদিও মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও অয়ন নাথ রক্ষী নেননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মেদিনীপুর সদরে ধেড়ুয়া, চাঁদড়ার মতো এলাকা রয়েছে। যেখানে এক সময় বহু নাশকতা হয়েছে। এখন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে মাঝেমধ্যেই ওই সব এলাকায় যান বিডিও। এ ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রক্ষী থাকা প্রয়োজন বলেই মনে করছে গোয়েন্দা দফতর।
এখন ওড়িশা-ছত্তীসগড়ে যা পরিস্থিতি, এক সময় জেলার জঙ্গলমহলেও তাই ছিল। বিডিও, আইসি, ওসি’রা উদ্বেগে থাকতেন। ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর সাঁকরাইল থানায় হামলা চালায় মাওবাদীদের একটি দল। ২ জন পুলিশ কর্মীকে খুন করে অস্ত্রশস্ত্র লুঠ করে। অপহৃত হন ওসি অতীন্দ্রনাথ দত্ত। ৫৪ ঘন্টা ‘যুদ্ধবন্দি’ থাকার পর তাঁর মুক্তি মেলে। ওই বছরের ৮ নভেম্বর গিধনি বাজারে হামলা চালায় মাওবাদীদের একটি দল। খুন হন ৪ জন ইএফআর জওয়ান। সন্ধের মুখে জামবনি ব্লক অফিসের অদূরে এই ঘটনা ঘটে। তবে রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি বদলেছে। মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পর এখন অনেকটাই ‘শান্ত’ জঙ্গলমহল। তা সত্ত্বেও সতর্ক হয়ে চলা উচিত বলে মনে করছে জেলা পুলিশ।
জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়ি, নয়াগ্রামের মতো এলাকায় ফের মাওবাদীরা প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে গোয়েন্দা দফতর। ‘উপদ্রুত’ এলাকায় কড়া নজরদারি থাকে। ছত্তীসগড়ে জেলাশাসক অপহরণের পর সেই নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময় সতর্ক হয়ে চলাই জরুরি। তাই শুধু বিডিও’ই নয়, সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিককে সতর্কতা অবলম্বন করে চলার কথা বলা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.