প্রতিবন্ধী এক যুবককে খুন করে পুকুরের জলে ভাসিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার রাজনগর গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই যুবকের উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম জয়নাল আবেদিন (২৩)। বাড়ি স্থানীয় ঝুরুলি গ্রামে। শুক্রবার রাত থেকে জয়নাল নিখোঁজ ছিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ জয়নালের স্ত্রী আজমিরাকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত ভাবে আজমিরা ও নুরুজ্জামান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পরিকল্পনা করে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার বলেন, “একটি খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে জয়নালের বিয়ে হয় সুলতানপুরের আজমিরার। শ্বশুরবাড়িতে দরজির কাজ করলেও সপ্তাহে এক দিন বাড়িতে আসত জয়নাল। শুক্রবার জয়নালের বাবা সিদ্দিক মণ্ডলের বাড়িতে কয়েক জন এসেছিল। তাঁদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল জয়নাল-আজমিরা। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আজমিরা জানায়, পায়ের একটি নুপুর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তা জানতে পেরে খোঁজ শুরু করে জয়নাল। সাতটা নাগাদ আজমিরা জানায় বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়েছিল একবার। এর পরে টর্চ নিয়ে জয়নাল সেখানে খুঁজতে যায়। আগে থেকেই সেখানে দু’টি মোটর বাইকে চার জন অপেক্ষা করছিল। তারাই জয়নালকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
|
এক বালিকার মৃত্যুতে শনিবার সন্ধ্যায় বাসন্তীর চুনাখালির একটি নার্সিংহোম এবং সংলগ্ন দু’টি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বর্ষা হালদার (১২) নামে চুনাখালির ওই বালিকাকে গত বুধবার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন তাকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করানো হচ্ছিল। পথেই সে মারা যান। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চুনাখালির ওই নার্সিংহোমটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন এলাকার লোকজন। সেটির মালিক এক হাতুড়ে চিকিৎসক। শনিবার তিনি নার্সিংহোম খুলতে গেলে ওই হামলা হয়। হাতুড়ে চিকিৎসক পালান। হামলা রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, হাতুড়ে চিকিৎসক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।
|
নাতিকে মারধরের প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেগঙ্গা থানার হাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসিনা বিবি (৪৮) নামে ওই মহিলাকে জখম অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, তাঁর বড় ছেলে রজব আলির অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত ছোট ছেলে খইরুল ইসলাম এবং শনিবার সকালে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুরা বিবিকে গ্রেফতার করা হয়। দুষ্টুমি করায় বৃহস্পতিবার ছেলেকে মারধর করছিলেন মঞ্জুরা। তারই প্রতিবাদ করেন হাসিনা বিবি। তার পরেই ওই ঘটনা। শনিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
|
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঁধী কলোনিতে দু’পক্ষের ৮ জন জখম হলেন। তাঁদের ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে যায়। |