এত দিনে লড়াই শেষ হল মান সহিসের। কেন্দা থানার পাণিপাথর গ্রামের ওই তরুণীকে স্ত্রী’র মর্যাদা দিলেন তাঁর প্রেমিক উত্তম রুইদাস। শনিবার সাড়ে চার মাসের ছেলে মিঠুনকে কোলে নিয়েই বিয়ের সারলেন মান।
পুরুলিয়া জেলা সংশোধানগারে শনিবার এই বিয়ের আসর বসেছিল। প্রেমিকা মানের অভিযোগেই উত্তম বিচারাধীন বন্দি হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এখানেই রয়েছেন। ২৩ ডিসেম্বর অন্তঃসত্ত্বা মান পুলিশের কাছে উত্তমের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে পরে বিয়েতে রাজি না হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী পঙ্কজ গোস্বামী জানান, মান স্ত্রী’র মর্যাদা চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। |
অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরে উত্তম তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে তাঁর প্রেমিকা মানকে বিয়ে করতে চেয়ে আবেদন করেন। পুরুলিয়ার জেলা ও দায়রা বিচারক সমরেশপ্রসাদ চৌধুরী তাঁদের বিয়ের অনুমতি দেন।. সেই নির্দেশই এ দিন তাঁদের বিয়ে হল। সংশোধনাগারের সুপার বিদ্যুৎ রায় বলেন, “বিচারকের কাছে বিয়ে সংক্রান্ত নথি পাঠিয়ে দেব।”
সন্তানকে কোলে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বিয়ে করতে এসেছিলেন মান। বিয়ের পরে স্বামীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, “পুরনো কথা ভুলতে চাই। এ বার ওঁকে এখান থেকে নিয়ে আমি শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাই।” ছেলেকে কোলে তুলে আদর করে উত্তম বলেন, “নতুন করে জীবন শুরু করব।” মানের মা বিলাসী সহিস জানান, “মেয়ে উত্তমকেই বিয়ে করতে চেয়েছিল। ওর এতদিনের লড়াই এ দিন সফল হল।” মানের শ্বশুর-শাশুড়ি মটর রুইদাস ও কর্পূরা রুইদাসরাও জানান, বৌমাকে তাঁরা মর্যাদা দিয়েই ঘরে নিয়ে যাবেন। |