নদিয়ার মাদ্রাসা দখল-কাণ্ড মেটাতে ময়দানে নামতে হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওই মাদ্রাসার পদচ্যুত সভাপতি তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মাদ্রাসা দখল সমস্যার সমাধানে তৃণমূল ও সরকারের ‘আশ্বাস’ পাওয়ার পরে সিদ্দিকুল্লা আরও কিছুটা ধৈর্য্য ধরার সিদ্ধান্ত নেন। এখনই এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে সরকারকে কিছুটা সময় দিতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
গত রবিবার তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একদল লোক নদিয়ার ওই মাদ্রাসা দখল করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। সিদ্দিকুল্লাকেও দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। এর প্রতিবাদে মিছিল করেন সিদ্দিকুল্লা। তৃণমূলের বিরোধিতাও করেন। ‘ক্ষতে প্রলেপ’ দিতে এ দিন সকালে ফোন করে সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তিনি সিদ্দিকুল্লাকে বলেন, মাদ্রাসা দখল-কাণ্ড নিয়ে তিনি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। ধৈর্য্য ধরতে সিদ্দিকুল্লাকে অনুরোধ করেন এবং রাতেই নিজাম প্যালেসে মুকুলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বলেন। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ঘেরাও অবস্থায় পরিত্রাণের জন্য মুকুলকেও ফোন করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা।
বৈঠকে মুকুলের কাছে সিদ্দিকুল্লা অভিযোগ করেন, নদিয়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাদ্রাসা দখল করেছে স্থানীয় তৃণমূল। দলের একদল ‘উচ্ছৃঙ্খল’ লোক এই সব করছে বলে তাঁর অভিযোগ। ওই ‘উচ্ছৃঙ্খল’দের অবিলম্বে সংযত করার অনুরোধও করেন সিদ্দিকুল্লা। সিদ্দিকুল্লার দাবি, অনুরোধ ‘গুরুত্ব’ দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে মুকুল তাঁকে জানিয়েছেন, বাদল অধিবেশনে অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বিলটি বিধানসভায় আনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
এই আশ্বাসের ভিত্তিতে সিদ্দিকুল্লা ঘনিষ্ঠমহলে পরে জানান, দেওবন্দের নীতিতে মাদ্রাসা চলে। মাদ্রাসা-দখল কাণ্ডের প্রতিবাদে দেওবন্দের ফতোয়া এখনই আনতে চান না তাঁরা। বরং অপেক্ষা করতে চান প্রধান শাসক দল ও রাজ্য সরকারের ‘তৎপরতা’র উপরে।
|
বাড়ির লাগোয়া বাঁশবাগানে এক ছাত্রের দগ্ধ দেহ মিলল শনিবার সকালে। আনারুল হক (২৩) নামে ওই ছাত্র কল্যাণীর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হয়েছেন আনারুল। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির দাইড়পাড়ায় তাঁর বাড়ির কাছেই একটি বাঁশবাগানে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা। পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্র। মহকুমা পুলিশ অফিসার (ডোমকল) দেবর্ষি দত্ত বলেন, “আনারুল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান।” |