হোসে র্যামিরেজ ব্যারেটোর বিদায়-সংবর্ধনায় তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্লাবের প্রতীক রুপোর পালতোলা নৌকো। দেওয়া হবে ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ। যে সম্মান এর আগে কোনও বিদেশি ফুটবলারকে দেয়নি শতবর্ষ পেরনো মোহনবাগান। চেষ্টা চলছে সোনার বল কিংবা বুট দেওয়ারও। ৬ মে আই লিগের শেষ ম্যাচে যুবভারতীতে হবে সবুজ-মেরুনের সবুজ তোতা-কে বিদায়-সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
গোষ্ঠ পাল, চুনী গোস্বামী, সুব্রত ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যারেটোও গত ১১ বছরে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন মোহনবাগানের সঙ্গে। ক্লাবের হয়ে দু’শোর বেশি গোল করেছেন। যার মধ্যে এমন বহু গোল আছে যা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতিয়েছে। বহু ট্রফি এনে দিয়েছে। এক বার ক্লাবের প্রশাসনিক ঝামেলায় মোহনবাগান ছেড়ে দু’বছরের জন্য চলে গেলেও আবার ফিরেছেন মোহনবাগানেই। ফলে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের বিদায়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবুজ-মেরুনের কর্তারা। দু’সপ্তাহ আগে সচিব অঞ্জন মিত্র জানিয়েছিলেন, পুণে এফ সি-র বিরুদ্ধে আই লিগের শেষ ম্যাচে ব্যারেটোকে বিদায়-সংবর্ধনা জানানো হবে। তাঁর সঙ্গে আলোচনাও চলছে। কিন্তু কী ভাবে সংবর্ধনা জানানো হবে তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন ক্লাব কর্তারা। শনিবার শান্তনিকেতন থেকে ফোনে মোহন-সচিব বললেন, “আমরা ওকে রুপোর নৌকো তো দেবই। ব্যারেটোর অবদানের কথা মনে রেখে তাকে দেওয়া হবে ক্লাবের আজীবন সদস্যপদও। এর আগে কোনও বিদেশি ফুটবলারকে আমরা যা দিইনি। কর্মসমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সোনার বল বা বুট দেওয়া যায় কি না সেটা নিয়েও আলোচনা করব।”
এখন পর্যন্ত ঠিক আছে পুণে ম্যাচ শুরুর আগে ব্যারেটোর হাতে তুলে দেওয়া হবে উপহার। কলকাতার একমাত্র ক্লাব হিসাবে এ বার নিজেদের আই লিগ ম্যাচ পরিচালনা করছে মোহনবাগান, তাই খেলার শুরুতে অনুষ্ঠান করতে সমস্যা নেই। অঞ্জন বললেন, “ব্যারেটোকে মোহনবাগানের বাইরেও বহু লোক পছন্দ করে। সে জন্য আমরা ঠিক করেছি ওই দিনের ম্যাচের কোনও টিকিট আমরা বিক্রি করব না। আমরা চাই ব্যারেটোকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা সবাই সে দিন মাঠে আসুন।” ব্যারেটো অবশ্য মোহনবাগানের জার্সিতে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবেন শিলিগুড়িতে ১৪ মে কলকাতা লিগে, প্রয়াগ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। শনিবার ছিল ব্যারেটোর ছেলের জন্মদিন। সন্ধ্যায় উৎসবপালনের ফাঁকে তিনি বলছিলেন, “ক্লাবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সামনের সপ্তাহের গোড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করব। সেখানেই সব বিস্তারিত জানাব।” |