টুকরো খবর
প্রয়াত শিলু চট্টোপাধ্যায়
প্রয়াত হলেন শিলু চট্টোপাধ্যায়। শনিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। বিপণন বিশেষজ্ঞ ‘সংখ্যা -পুরুষ’ হিসেবে তিনি ছিলেন এক অতি পরিচিত নাম। বিপণন গবেষণা সংস্থা ‘জিএফকে -মোড’-এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালের ২৫ মে কলকাতায় জন্ম শিলু চট্টোপাধ্যায়ের। বাবা চন্দ্রভূষণ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক। বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং আইআইএম কলকাতার প্রাক্তনী শিলুবাবুর কর্মজীবন শুরু মুম্বইয়ে। কলকাতায় ফিরে এসে যোগ দেন ‘ইন্ডিয়ান মার্কেট রিসার্চ ব্যুরো’য়। অচিরে তিনিই হন সংস্থার কলকাতা অফিসের প্রধান। ১৯৮১ -তে শুরু করেন নিজস্ব সংস্থা ‘মোড’। ২০০৭ - আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিপণন গবেষণা সংস্থা ‘জিএফকে’-র সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর সেই সংস্থারই নাম হয় ‘জিএফকে -মোড’। ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি ফর ওপিনিয়ন অ্যান্ড মার্কেটিং রিসার্চ’-এ দু’দফায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শিলুবাবু। ছিলেন সুলেখকও। আনন্দবাজার পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ - প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বিভিন্ন লেখা।

বিশিষ্ট ব্যক্তির দেহ দাহ করাতে বিশেষ অনুমতি
কেওড়াতলা মহাশ্মশানে বিশিষ্ট কোনও ব্যক্তি (ভিআইপি )- মৃতদেহ দাহ করাতে বার থেকে পুরসভা অনুমোদিত পাঁচ পদাধিকারীর কোনও এক জনের অনুমতি লাগবে। শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে কংগ্রেস কাউন্সিলর মালা রায়ের তোলা প্রস্তাবের জবাবে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য ) অতীন ঘোষ কথা জানান। পুরসভা সূত্রের খবর, অতীনবাবু ছাড়া বাকি চার পদাধিকারীরা হলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুর কমিশনার এবং পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এ দিন অতীনবাবু বলেন, “দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পাঁচ জন ছাড়া আর কারও অনুমোদনে যাতে শ্মশানে বিশেষ সুযোগ যাতে না পায়, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” অধিবেশনে মালাদেবীর প্রস্তাব ছিল, দাহ করতে আসা মরদেহের মধ্যে কোনও বিভাজন করা উচিত নয়। ক্ষেত্রে ভিআইপি প্রথা তুলে দেওয়া দরকার। অতীনবাবু বলেন, “কেওড়াতলায় ওই প্রথা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে।”

হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ রোগীর
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এক রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নাম অনিল মণ্ডল (৬৮ ) পুলিশ হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন নিউটাউন থানা এলাকার তারুলিয়ার বাসিন্দা অনিলবাবু। হাসপাতালে ভর্তি হন গত ২৪ এপ্রিল। ভর্তি ছিলেন তিনতলার মেল ওয়ার্ডে। মেরামতির কাজ চলছে বলে ছাদের দরজা খোলা ছিল। তবে হাসপাতালের কর্মীদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে তিনি ছাদে উঠে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কলকাতায় বেড়াতে এসে নিখোঁজ প্রৌঢ়
ছেলের বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হলেন আন্দামানের এক বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজের নাম গুন্না রাও (৬৫ ) শুক্রবার কলকাতায় আসেন তিনি। তাঁর ছেলের বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকার কে ডি মুখার্জি রোডে। গুন্নার ছেলে ইরুতু প্রসাদ পর্ণশ্রী থানায় ডায়েরি করে জানিয়েছেন, দুপুরের খাওয়া সেরে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বাবা পান কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকে আর তাঁর হদিস নেই। পুলিশ জানায়, গুন্না আন্দামানে সরকারি গাড়ি চালাতেন। বছর পাঁচেক আগে অবসর নেন।

ফের সাসপেন্ড সেই কনস্টেবল
যুবককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনিবার ফের সাসপেন্ড করা হল। বৃহস্পতিবার রাতে তারক দাস নামে ওই কনস্টেবল তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাঘা যতীন স্টেশনের কাছে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তারকবাবু যাদবপুরে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে সাসপেন্ড হন। সাসপেনশন অর্ডার ওঠার পর বৃহস্পতিবারই ফের মেটিয়াবুরুজ থানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মহাকরণ সূত্রে খবর। তবে দিন রাত পর্যন্ত তারককে ধরা যায়নি।

দীপু মণি আজ কলকাতায়
মাদার টেরেসার নামে একটি পুরস্কার নিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি আজ, রবিবার কলকাতা আসছেন। সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ‘মাদার টেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার কমিটি’ এ বার তাঁকে এই পুরস্কার দিচ্ছেন। পুরস্কার প্রদানের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল শনিবার। কিন্তু কাজ থাকায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দিন কলকাতায় আসতে পারছেন না। তাই রবিবার বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রীর সফর ব্যক্তিগত। তিনি ঢাকা ফিরবেন মে। সফরে সরকারি কর্মসূচি নেই।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.