আন্দোলনে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি
সরকারের নির্দেশে ক্ষোভ
প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের নির্দেশকে কেন্দ্র করে মালদহে শিক্ষক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সরকারি ওই নির্দেশে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষককে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দুই বছরের শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। সোমবার এবিপিটিএর জেলা সভাপতি সাধন মন্ডল সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “সরকার যে সাকুর্লার জারি করেছে তা বাস্তবায়িত করা অসম্ভব। জেলার সাড়ে ৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে ৬ হাজার শিক্ষকের দুই বছরের প্রশিক্ষণ নেই। জেলা মাত্র দুটি বেসরকারি প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে। কীভাবে ৩ বছরে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক প্রশিক্ষন নেবেন?” তাঁর ক্ষোভ, বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার এই সাকুর্লার জারি করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এর প্রতিবাদ করেছিলেন। বর্তমান সরকার সমস্যা না-বুঝে ওই সার্কুলার জারি করেছে। তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সম্পাদক দীপক সেনও মনে করেন, তিন বছরের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত সরকারি চিটার্স ট্রেনিং স্কুল খুলতে বলা হয়েছে। নইলে তিন বছরে সমস্ত শিক্ষক ২ বছরের বাধ্যতামূলক টিচার্স ট্রেনিংয়ের প্রশিক্ষন সম্পূর্ণ করতে পারবেন না।” ১০ এপ্রিল ওয়েষ্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশনের সচিব আর সি বাগচির সার্কুলার আসার পরেই মালদহের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসসদের চেয়ারম্যান ওই সাকুর্লার কাযর্কর করার জন্যে জেলার সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষকদের কাছে পাঠাতে শুরু করেছেন। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাকুর্লারে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধ্যে যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তাঁদের উচ্চ মাধ্যমিক ও তার সমতুল যোগ্যতা এবং কমপক্ষে ২ বছরের টিচার্স ট্রেনিং থাকতে হবে। ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সমস্ত শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন তাদের উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমতুল পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। তার সঙ্গে কমপক্ষে ২ বছরের টিচার্স ট্রেনিং থাকতে হবে। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০১০ সালের ২২ অগষ্টের মধ্যে যে সমস্ত শিক্ষক প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর ও ২ বছরের টিচার্স ট্রেনিং। ওই সরকারি সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বছরে যে সমস্ত শিক্ষকরা চাকরিতে ঢুকেছেন, তাদের যদি সার্কলার নির্দিষ্ট যোগ্যাতা না থেকে থাকে তবে সেই সমস্ত শিক্ষকদের ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এনসিটিই স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে যোগতা অর্জন করতে হবে। বেশ কিছু শিক্ষকের অভিযোগ, ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যামিক পাশ করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সে পাস করার পরেও কোথাও চাকরি না পেয়ে প্রাথমিক স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। এখন আবার ৪৫ শতাংশ নম্বরের জন্য ফের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। এক শিক্ষক বলেন, “আমি ৪৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলাম। এখন আমাকে এক শতাংশের নম্বরের জন্য আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে হবে?”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.