বদলি রোধে বিক্ষোভ সিউড়িতে |
তাঁদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না। স্বাস্থ্য দফতর এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে সোমবার সিউড়ি সদর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন অন্য নার্স ও কর্মীরা। পরে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে সিউড়ি হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সুব্রত সরকারকে দার্জিলিং এবং শিশু চিকিৎসক হেরেসতুল্লাকে রায়গঞ্জে বদলি করার নির্দেশ এসেছে। এই নির্দেশ আসায় শুধুমাত্র নার্স বা কর্মীরা নয়, শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ওই দুই চিকিৎসক তাঁদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন। গরিব মানুষদের খুব সাহায্য করেন। হাসপাতাল সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “দু’জনেই খুবই ভাল চিকিৎসক। স্মারকলিপি যথাস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” |
এ দিকে, সুব্রতবাবু সিপিএমের চিকিৎসক সংগঠনের জেলা সম্পাদক এবং হেরেসতুল্লা ওই সংগঠনের সিউড়ি শাখার সম্পাদক পদে রয়েছেন। তা সত্বেও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত সিউড়ির পুরপ্রধান তথা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রোগীদের স্বার্থে ওই দুই চিকিৎসককে বদলি করা যাবে না। ফ্যাক্স মারফত স্বাস্থ্যভবনে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আর কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় অধিকারী জানান, বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার তাঁরা শহরে মিছিল করবেন। বীরভূম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিস মল্লিক বলেন, “মৌখিক ভাবে ওই দুই চিকিৎসকের বদলির কথা শুনেছি। তবে সরকারি ভাবে আমি কোনও চিঠি পাইনি।”
|
তিন সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। এক চিকিৎসক-সহ তিন নার্সকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর মৃত্যুর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে আত্মীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান, চিকিৎসক ও নার্সদের ‘নিগ্রহ’ করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অশান্তি এড়াতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়। তিন শিশুকে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছিল। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
স্কুলের মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার আসন্দা শিক্ষানিকেতনে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ের ৪৭ জন ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিল খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ১৭ জনকে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে। বেলদার বিএমওএইচ আশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। |