|
|
|
|
অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি ধর্ষিতাকে |
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মহিলার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাড়োয়া |
গণধর্ষিতা এক বধূকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য দেওয়া হলেও অভিযুক্ত গ্রেফতার করতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ওই বধূ ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনা রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, মহিলা কমিশন এবং জেলার পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকার। কর্মসূত্রে ওই বধূর স্বামী বাইরে থাকেন। মাঝেমধ্যে তিনি বাড়ি আসেন। ওই দম্পতির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে দু’জন দেগঙ্গায় মামার বাড়িতে এবং একজন (বড় মেয়ে) মায়ের সঙ্গে থাকে। পরিবারটি হতদরিদ্র। গত বছরের ৩০ অক্টোবর বড় মেয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। ঘরে মহিলা একাই ছিলেন। অভিযোগ, রাত ১২টা নাগাদ চার দুষ্কৃতী ঘরের বাঁশের দরজা ভেঙে ঢুকে মহিলার মুখ চেপে ধরে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁর উপরে অত্যাচার চালায়। মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর গোঙানি শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাড়োয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে মহিলার শারীরিক অবস্থার অবমতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ৩১ অক্টেোবর ওই মহিলার দাদা তাঁর বোনকে গণধষর্ণ করা হয়েছে বলে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ এও বলা হয় যে, শুধু ধষর্ণ নয়, দুষ্কৃতীরা তাঁর বোনকে খুনের চেষ্টাও করেছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু মহিলা এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে পুলিশ তাঁর কাছ থেকে এই ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে কোনও তথ্য জানতে পারেনি। বেশ কিছুদিন পরে মহিলা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেপুলিশ তাঁকে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বসিরহাট আদালতের বিচারকের কাছে পাঠায়। পুলিশকে মহিলা জানান, তাঁকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাঁর নিকট আত্মীয়েরা। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় সুরত মণ্ডল, এরকান মণ্ডল, হামিদুল মণ্ডল ও সাহাবুদ্দিন মণ্ডল নামে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের তিনজন মহিলার দেওর ও একজন ভাসুরের ছেলে। জমিজমা মিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল তার জেরেই এই ঘটনা। মহিলার অভিযোগ, তাঁকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করতেই তাঁর উপরে এই অত্যাচার করা হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল মহিলা হাড়োয়া থানায় ফের অভিযোগ করেন যে, তিনি ঘরে ফেরার পর থেকেই অভিযুক্তেরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। |
|
|
|
|
|