|
|
|
|
চন্দ্রকোনায় অভিযুক্ত তৃণমূল |
সিপিএমের একাধিক অফিসে হামলা, মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
বন্ধ থাকা দলীয় অফিস খুলে পতাকা তোলার ‘অপরাধে’ একাধিক সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন সিপিএম সদস্যেদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলে যোগ না দিলে আগামী দিনে ফের এমনটা হবে বলে ‘ফতোয়া’ও দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে চন্দ্রকোনা শহরের এই ঘটনায় সিপিএমের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “তৃণমূলের যা সংস্কৃতি, তাই করেছে। চন্দ্রকোনা শহরের মানুষ তা দেখেছেন। আমরা প্রশাসনকে সব জানিয়েছি।” চন্দ্রকোনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অশোক পালধীর পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজন আগে আমাদের দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালায়। তার জেরেই এই ঘটনা।” তবে দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বন্ধ দোকান খোলার ব্যাপারেও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
রবিবার ভি আই লেনিনের ১৪৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা চন্দ্রকোনা শহরের মুণ্ডুমালা, দক্ষিণ বাজার, বোনা-সহ সিপিএমের বেশ কয়েকটি শাখা কার্যালয় খোলা হয়। উত্তোলন করা হয় দলীয় পতাকা। সিপিএমের আভিযোগ, সন্ধে নাগাদ দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অফিস বন্ধ করে চলে যেতেই তৃণমূলের লোকজন তাণ্ডব শুরু করে। দলীয় পতাকা ছিড়ে দেয়। পার্টি অফিসগুলির টিনের ছাউনি, দেওয়ালে চলে ভাঙচুর। সোমবার সকালে শহরে সিপিএমের একাধিক কর্মী ও সদস্যদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চা দোকানের মালিক বংশী মণ্ডল, সেলুন মালিক অশোক সন্ন্যাসী, লেদ কারখানার মালিক উজ্জ্বল মণ্ডলরা দোকান খুলতে এসে দেখেন, তালা ঝুলছে। এরপরই সিপিএমের তরফে চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সিপিএমের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্তের কথায়, “আমাদের একাধিক দলীয় অফিসে ভাঙচুর ও সদস্যদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। দেবদূত মণ্ডল নামে জোনাল কমিটির এক সদস্যকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।” |
|
|
|
|
|