|
|
|
|
|
|
রাস্তাটাকে বাড়ির উঠোন ভাববি না বনশ্রী সেনগুপ্ত |
|
আমাদের ছিল গানবাজনার বাড়ি। বাবা পেশায় কবিরাজ হলেও তাঁর নেশা ছিল গান। উনি ছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্র। আমার পিসিমা ইন্দ্রপ্রভা দেবী গান লিখতেন। আর কাকা বৈদ্যনাথ রায় সেই গানের সুর করতেন। পঞ্চাশের দশকে কলকাতার কিছু শিল্পী সে সব গান গেয়েও ছিলেন। আমার গান শেখা শুরু বাবার কাছে।
আমাদের ছিল একান্নবর্তী পরিবার। আমরা পাঁচ-ছ’বোন এক স্কুলে পড়তাম। স্কুলে যাওয়া-আসাও ছিল একসঙ্গে। বাড়ির গাড়ি করে। তবে রোববারে স্কুলের পাট থাকত না। ওই দিনটা বাবা ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে তুলে দিতেন। চোখমুখ ধুয়ে চিলেকোঠার ঘরে গিয়ে বসে যেতাম হারমোনিয়াম নিয়ে। পাশে বাবা। ঘণ্টাখানেক রেওয়াজ। তার পর চা খেয়ে পড়তে বসা। কখনও কখনও রেওয়াজের ফাঁকেই একটু চা খেয়ে নিতাম। আমি অঙ্কে কাঁচা ছিলাম। তাই বাবা অঙ্কের জন্য এক মাস্টারমশাইকে রেখেছিলেন। তিনি রোববার করে সকাল ১০টা নাগাদ আসতেন। ঘণ্টাখানেক কাটত তাঁর কাছে। তবে মাসের তিনটে রোববারের জন্য ছিল এই রুটিন। একটা রোববার ছিল ব্যতিক্রম। সেই রোববার যেতাম রাজেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গান শিখতে। কখনও কখনও ওঁকে গাড়ি করে নিয়েও আসা হত।
রোববার করে বাবা বাজার যেতেন। বাবা বাজার থেকে আর যা-ই আনুন না কেন, ইলিশ আর চিংড়ি থাকতই। তিনখানা বড় বড় উনুনে আমাদের রান্না হত। আগে সব নিরামিষ পদ। ঠাকুমার জন্য। তার পর মাছের আইটেম। রোববার করে আমরা বারো জন ভাইবোন দুপুরে একসঙ্গে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসতাম। খাওয়া হত কাঁসার থালা-বাটি-গেলাসে। মেনুতে ভাত, ডাল, ঝিরঝিরে আলুভাজা (বাবার পছন্দের), বেগুনভাজা, ছেঁচড়া, ইলিশ, চিংড়ি।
আমাদের ডাইনিং টেবিলের কাছে ছিল রেডিয়ো। রোববার দুপুর ১টা থেকে দেড়টা অবধি হত অনুরোধের আসর। খাওয়াদাওয়ার শেষে বাড়ির সবাই মিলে সেই গান শুনতাম। আমরা দুপুরে ঘুমোতাম না। বোনেরা খুনসুটি করতাম। হঠাৎ করে চলে আসত বড়দা। আর বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম কাটাকুটি খেলা, লুডো, চু-কিত-কিত। কখনও কখনও আবার পুতুল নিয়ে বসে যেতাম। ও দিকে দাদারা ক্যারম খেলত। আর শীতকালে ছিল ব্যাডমিন্টন। সন্ধেতে দাদাদের অবশ্য বই নিয়ে বসতে হত। আমি সব ভাইবোনকে ভালবাসলেও বড়দার প্রতি একটা আলাদা শ্রদ্ধা ছিল। ওকে না পেলে আমার শৈশব, কৈশোরের দিনগুলো এত আনন্দমুখর হত কি না জানি না।
বিয়ের আগে আমি বাড়ির বাইরে কোনও মঞ্চে কোথাও গান গাইনি। আমার বাবা ছিলেন রক্ষণশীল। তিনি এটা পছন্দ করতেন না। তবে রোববার বা বিভিন্ন ছুটির দিনে কখনও কখনও বাবা আমায় তাঁর বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যেতেন। সেখানে ঘরোয়া আসরে গান গাইতাম। এ ছাড়া ঝুলন আর দোলের দিন আমাদের ঠাকুর ঘরে বসত গানের আসর। আমিও গাইতাম। স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসে একটু আধটু গান শুনিয়েছি। |
|
মঞ্চে আমার প্রথম গান গাওয়া বিয়ের পর। বকুলবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। কুনাল দত্তগুপ্ত আমাকে সুযোগ দেন। আমি প্রতিমাদি, সন্ধ্যাদি, হেমন্তদা, শ্যামলদার চারটে গান গেয়েছিলাম।
আমহার্স্ট স্ট্রিটের কেষ্টোবাবুর কালীপুজোয় সেখানে আমি গাইতে যেতাম। ভাইফোঁটার দিন হত। এখানকার শিল্পীরা তো থাকতেনই, মুম্বই থেকেও অনেকে গাইতে আসতেন। চুঁচুড়াতে আমাদের বাড়িতে ভাইফোঁটা সেরে আমি সন্ধেবেলায় চলে আসতাম ওই অনুষ্ঠানে। কেষ্টোদাকে এক বার বলেছিলাম, ‘দাদা, ভাইফোঁটার দিন গান গাইতে আসি। কিছু দেন না কেন?’ উনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কী চাই। বলেছিলাম বেনারসি শাড়ি। সেই থেকে প্রতি বছর ফাংশনের আগেই আমার বাড়িতে একটা বেনারসি পৌঁছে যেত।
১৯৬৬ সালের কোনও এক দিন, সোনারপুরে একটা ফাংশনে গাইতে যাই। গিয়ে দেখি ওখানে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। আমি গান শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতেই উনি আমাকে বললেন, এইচ এম ভি-তে সন্তোষ সেনগুপ্তর সঙ্গে দেখা করতে। একটা চিঠি লিখে দিলেন। পরদিনই আমি সেটা নিয়ে সন্তোষবাবুর কাছে যাই। ওঁর সামনে দাঁড়িয়ে একটা গানের চার লাইন গাইলাম। বলতে গেলে ওটাই আমার অডিশন। এবং তাতে পাশ। এর পর ভয়েস টেস্ট হয়। ১৯৬৭-তে ওখান থেকে বেরোয় আমার প্রথম রেকর্ড লক্ষ্মীকান্ত রায়ের কথা ও হিমাংশু বিশ্বাসের সুরে। |
আমার প্রিয়
গীতিকার: শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীকান্ত রায় সুরকার: জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুধীন দাশগুপ্ত, সলিল চৌধুরী,
প্রবীর মজুমদার, নচিকেতা ঘোষ, হিমাংশু বিশ্বাস গায়ক/গায়িকা: হেমন্ত, শ্যামল মিত্র, মান্না দে, কিশোরকুমার,
মহম্মদ রফি, মুকেশ, লতা, আশা, সন্ধ্যা, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
১৯৬৮ সালের এক রোববারের কথা। ২৩ পল্লির পুজো যেখানে হত, তখন আমরা সেখানেই থাকি। সকাল ৬টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠে রোজকার মতো বাড়ির দরজার সিঁড়িতে মোড়ায় বসে আছি। একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়াল আমার সামনে। এক ভদ্রলোক ওখান থেকে নেমে একটা ছোট চিরকুট ধরালেন আমার হাতে। তাতে লেখা, আমি তবলার জন্য দশ টাকা, ট্যাক্সি ফেয়ার বাবদ চোদ্দো টাকা আর তোর এক সপ্তাহের বাজার পাঠালাম। এইগুলো নিয়ে খেয়েদেয়ে সন্ধে ৬টায় ক্রিক রো-এ গান গাইতে আসিস জহর রায়। কাঁচা আনাজের সঙ্গে উনি মাছও পাঠিয়েছিলেন। ওই দিন ওঁর কথা মতো আমি নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
১৯৭২ সালে এক দিন দুর্গাপুরে একটা অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি। ওখানে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ও গাইবেন। হোল নাইট ফাংশন। পরের দিন সকালে হেমন্তদার মুম্বই যাওয়ার তাড়া থাকায় উনি আমায় বলে রেখেছিলেন যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি যেতে। আগে উনি গাইবেন। তার পর আমি। এ দিকে বি টি রোড ধরে আমরা যখন যাচ্ছি হঠাৎই এক জায়গায় আমার গাড়ির তিনটে টায়ার পাংচার হয়ে যায়। ভাগ্যিস সামনেই পেট্রল পাম্প ছিল। তাই যা রক্ষে। নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই গিয়ে পৌঁছই ওই অনুষ্ঠানে। হেমন্তদার গানের সময় ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে। তবু উনি গেয়ে চলেছেন। আমি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উনি মঞ্চ থেকে নেমে আমায় বকলেন রাস্তাটাকে বাড়ির উঠোন ভাববি না। সেই কথা আমি আজও মনে রেখেছি। ওই দিনটা ছিল রোববার।
এখন রবিবারে কেমন ঢিলেঢালা, আপন ছন্দে চলে, কোনও তাড়া নেই।
|
সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ কর
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• যাকে বলে, দিদির ‘টাইম’ ভাল যাচ্ছে। সচিন তেন্ডুলকরের শততম শতরানের পর তিনিও শত তারকার তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। সি পি এম-এর সূর্যকান্ত কিন্তু শুধু দলের তালিকাতেই মধ্যগগনে!
রমা দে। কালীঘাট
• আরে! আরে! আঁকবি নাকি? দাঁড়া, একটা পুলিশ ডাকি।
টিনটিন। বেলজিয়াম-৯
• ক: আপনি কী করেন?
খ: আমি কার্টুন সংগ্রহ করি। আপনি কী করেন?
ক: যারা আমাকে নিয়ে কার্টুন আঁকে, আমি তাদের সংগ্রহ করি।
সুমন। বর্ধমান
•
নতুন বছরের শপথ: ১) লিস্টে না থাকা কাগজ পড়ব না;
২) কার্টুন আঁকব না; ৩) পুলিশকে না জানিয়ে হাসব না। বিশ্ব রায়।
• পুজোয় রাজস্থান বেড়াতে যাচ্ছেন? কোনও অবস্থাতেই জয়সালমিরের দিকে যাবেন না। আর গেলেও, ভুলক্রমে যদি ছেলেকে বলেছেন, ‘দেখতে পাচ্ছো, সো-না-র কে-ল্লা’, তবে আর এই রাজ্যে ফিরবেন না। ওখানেই সেটল করে যান!
স্পেশাল কুণ্ডু। হাওড়া সাইডিং
• আগে কোনও বাচ্চা বাড়ি ফিরে কারও সম্পর্কে ‘বদমাশ লোক’ বললে বড়রা বলত, ছিঃ, বলো দুষ্টু লোক। এখন ঘটনাটায় পরিবর্তন এসেছে। ছেলে কাউকে দুষ্টু লোক বললেই বাবা তার মুখ চেপে ধরছে। নয়তো পুলিশে ধরবে।
ভাল লোক। যাদবপুর
• মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকার নাকি একশোয় একশো পেয়েছে। নিজের পরীক্ষার খাতা নিজে দেখার এই ব্যবস্থা রাজ্যের স্কুল কলেজেও চালু হোক। হেডমাস্টার। পশ্চিমবঙ্গ
• ইউসুফ পাঠান কি এ বার পেমেন্টের বদলে ডিউ স্লিপ পেয়েছেন, তাই খেলার বদলেও ডিউ স্লিপ দিয়েই চলেছেন? রন্টু শিকদার। রাখাল আঢ্য রোড
• @iamsrk নাইট রাইডার্সের চিয়ারলিডারদের নতুন পোশাক যিনি তৈরি করে দিয়েছেন, তাঁর থেকে সাবধান। ওই পোশাক দেখে চোখে টিয়ার, মনে ফিয়ার। হায় ডিয়ার। #ipl অমিতাভ দাশগুপ্ত। জুবিলি পার্ক
• ক্রিস গেইল ব্যাট করলে হেলমেট পরে স্টেডিয়ামে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হবে। ভাড়া চাইলে যোগাযোগ করুন। মুণ্ডু বাঁচাও এজেন্সি। বেঙ্গালুরু
|
|
|
|
জেতা খেলা একা হাতে দিলে তুমি হারিয়ে।
সৌরভ তিওয়ারিকে দিয়ে ছয় মারিয়ে!
টুর্নামেন্টটি জুড়ে ব্যাট খাঁ খাঁ ময়দান।
বৃথাই সে রান খুঁজে হচ্ছিল হয়রান।
তার ঝুলি ভরলে, মার খেয়ে মরলে!
দাদার সঙ্গে শেষে দুষমনি গেহরা?
ঘুঁটেমালা নাও তুমি শ্রীআশিস নেহরা |
|
|
|
অনিতা অগ্নিহোত্রী |
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রণতিকে বলেছিলেন, এক পাতা টিপ এনে দিয়ো তো! কপালটা খালি। অচেনা কোনও অসুখে মুখ দিয়ে খাবার যাচ্ছে না, সবে রাইল্স টিউব খোলা হয়েছে, এমন সময় টিপের পাতা! কপালে আঙুল বুলিয়ে মা বললেন, টিপটা নেই তো, তাই বাবু আমার দিকে তাকাচ্ছে না।
বাবু, মানে, সন্তানদের বাবা চলে গিয়েছেন আট বছর আগে, ছাপান্ন বছরের নিবিড় দাম্পত্যের পর। মা রঙিন পাড়ের শাড়ি পরেন, কপালে টিপ দেন, বাবার ছবির সঙ্গে কথা বলেন। চোদ্দো বছর বয়সে যাকে ভালবেসে বিয়ে করে স্কুল থেকে বহিষ্কার আর বাড়ি থেকে গঞ্জনা পেয়েছেন, প্রতাপাদিত্য
রোডের সেই নিলুদা আজও মায়ের শয়নে-স্বপনে।
বিগত বাবার মনশ্ছবির সঙ্গে লড়াইয়ে ছেলেমেয়েরা হেরে গিয়েছে কবেই। কে না জানে, বাবা আমাদের চেয়ে অনেক ভাল চিনত জামরুল, আর লাফানো ট্যাংরা মাছ। ব্যাঙ্কের চেক লিখতে গিয়ে কাটাকুটি হলেই শুনব নষ্ট করলি তো একখানা পাতা! ছিল সে এক জন, লিখতে ভুল করত না, লেখাও বাঁধিয়ে রাখার মতো! গত কয়েক বছর কেবল আঁচল দিয়ে ছবি মুছত, আর বাড়ি ঢুকলেই বলত, ধূপ আনিসনি? মালা কই? নতুন বই বেরোলে ছবির সামনে রাখত নিয়ে। এ সবই নাকি
বিষাদজনিত ইলিউশন, মনের অসুখ, ডাক্তার-বন্ধু বললেন।
হঠাৎই ফাল্গুনের এক সন্ধেবেলা ঘন কালো রক্তের ফোয়ারা উঠে এসে ঢেকে দিল মায়ের শ্বাসযন্ত্র, অক্সিজেন না পেয়ে ঘুমে চলে গেল মস্তিষ্ক, কেবল হৃৎপিণ্ড জেগে রইল। একটানা তিন দিন। বাতাসের জন্য ব্যাকুল শরীরের কষ্ট দেখে আমরা কেঁদেছি। কিন্তু দুই পৃথিবীর সীমানায় দাঁড়িয়ে মা কি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছিলেন? ডাক্তারের জ্ঞান আর কতটুকু?
কিশোরী-মা সে ক’দিন দাঁড়িয়ে থাকত বিকেল বেলার বাস স্টপে, স্কুলের পোশাকে, কখন নিলুদা ফিরবে, এনে দেবে নতুন একটি লাল গোলাপ! |
|
|
পশ্চিমবঙ্গের সরকার ৯০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে,
শুধু তোমরা Zানতি পারোনি
পরশুরাম, ভবানীপুর |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
উত্তরবঙ্গের এক প্রত্যন্ত গ্রামে গরিব কৃষকের ঘরে আমরা পাঁচ ভাই সুখে-দুঃখে বড় হয়েছি। বাবা সামর্থ্য অনুযায়ী কেবল বড়দাকেই সংসারের প্রায় সমস্ত সঞ্চিত রসদ ঢেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছিলেন। দাদা বড় চাকরি পেলেন, খুব ধুমধাম করে বিয়েশাদিও হল। আর এ দিকে মা-বাবা আমরা ভাইরা দরিদ্র থেকে আরও হতদরিদ্র হয়ে গেলাম। এক দিন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবা প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। আমরা বাবার পরলৌকিক কাজের জন্য অধীর আগ্রহে বড়দার অপেক্ষা করছি, তিনি বউদিকে সঙ্গে নিয়ে এলেনও, এসেই বউদি মাকে বললেন, ‘আপনি আপনার কোন ছেলেকে নিয়ে কাজ করবেন করুন, আমরা এ সব করতে পারব না।’ আজ আমরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, আমাদের মাও আজ নেই। কিন্তু সেই দিনের সেই সদ্য স্বামীহারা মায়ের চোখের জলের কথা মনে পড়লে বুকের ভেতরটা এখনও মোচড় দিয়ে ওঠে।
সুধাংশু লাহা,
নতুন দিল্লি |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।
২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|