সংস্কৃতি যেখানে যেমন

নাট্য-দিবস
ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
গত ২৭ মার্চ উদযাপিত হল বিশ্ব নাট্য দিবস। ১৯৬১ সালে ভিয়েনায় ‘ইন্টার ন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট’ বা আইটিআইয়ের নবম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২১ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব নাট্য দিবস হিসেবে পালন করা হবে। একটা ছোট্ট জায়গা থেকে রাজ্য, দেশ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে থিয়েটার মেলবন্ধনে সাহায্য করে। নাট্যকর্মী শুধু নয়, নাটক, নাট্যকর্মী এবং দর্শকদের মধ্যে ভাব বিনিময়, ঐক্য গড়ে তোলা এটাও বিশ্ব নাট্যদিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশ্ব নাট্য দিবসের আন্তর্জাতিক বার্তা পাঠ করার জন্য প্রত্যেক বছর কোনও না কোনও বিশ্ববিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০০২ সালে ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা গিরিশ কারনাড আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। এ বছর এই বার্তা পাঠ করার জন্য আমন্ত্রিত হন আন্তর্জাতিক নাট্য ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা, নির্দেশক জন গেভিন মালগোভিচ। নিয়ম অনুসারে এই বাণী বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়ে প্রচারিত হয়। এই বার্তার মধ্যে দিয়ে তিনি সেই অমূল্য প্রশ্নকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন ‘আমরা কী ভাবে বাঁচতে পারি’-এর সঙ্গেই যেন অন্তর্নিহিত সেই চিরন্তন সত্য লুকিয়ে আছে। বেঁচে থাকার এই যে লড়াই যুগ থেকে যুগান্তরের নাট্যশ্রেণির মধ্যে দিয়ে বিকাশ করার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন প্রতিনিয়ত। কখনও রঙ্গমঞ্চে নাটক উত্থাপিত হয়েছে দৈনন্দিন সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরতে, কখনও বা সংগ্রামী মানুষের ইতিহাসকে তুলে ধরতে, কখনও নির্যাতিতের ইতিহাসকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। পথ নাটিকা থেকে শুরু করে লোক সংস্কৃতিকে লোকজীবনের কথা নিয়েও বহু নাটক ইতিহাস রচনা হয়েছে। এবার শিলিগুড়িতে রামকিঙ্কর হলে বিশ্ব নাট্য দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন আলোচনা সভাতেও নাট্যকর্মীদের দেখা যায়। দেশের সীমা অতিক্রম করে সংস্কৃতির বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মেলবন্ধনে থিয়েটারের ক্ষমতা আলোচিত হয়। পরবর্তী প্রজন্ম সীমাহীন প্রজন্ম হবে কি না এ প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া থিয়েটার কমিউনেকেশন গ্রুপ সমস্ত থিয়েটার নির্মাতাদের কাছে আশা করে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে থিয়েটারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা, প্রদর্শনী হয়। এই ভাবনাই প্রতিফলিত হয় যে, থিয়েটার উন্নতির জন্য কলা ও কারবারের মিলিত প্রয়াস নিরন্তর চলবে। থিয়েটারের ভাষা শান্তি ও মিলনের বার্তা প্রেরণ করতে সাহায্যও করে যাবে। ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরে কবিগুরুর দুটি মূর্তি বসাতে উদ্যোগী হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। ২৫ বৈশাখ কবির জন্মদিনে জেলা পরিষদ দফতর চত্বর এবং ময়নাগুড়ি রবিতীর্থ ভবন প্রাঙ্গণে ওই মূর্তি দুটি বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। জেলা পরিষদের বাস্তুকার অরিন্দম ভট্টাচার্য জানান, জলপাইগুড়ি শহরের এক শিল্পীকে দিয়ে ৮ ফুট উঁচু ফাইবারের ওই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে মূর্তি দুটি বসানোর কথা আছে।”

গুরুকুলের সন্ধ্যা
৬ এপ্রিল দীনবন্ধু মঞ্চে গুরুকুল আয়োজন করেছিল এক মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল ভারতীয় ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে তুলে ধরা। অভিমান রায়ের শ্যামকল্যাণ রাগে খেয়াল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন দীপক কর্মকার। এসন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল ট্রাকো পাখোয়াজ বাদন। শিল্পীরা হলেন মৃদঙ্গাচার্য গুরুদাস ঘোষ এবং তাঁর দুই ছাত্র জার্মালির হলগার ড্যানিয়েল এবং বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র সঞ্জয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সারেঙ্গীতে ছিলেন বারাণসীর ধ্রুব সহায়। পাখোয়াজে চৌতালে ব্রহ্মস্তুতি, তারপর রেলা, বিস্তার, ঠেকার প্রকার, গণেশ বন্দনার মধ্যে দিয়ে শিল্পীরা সন্ধ্যা ভরিয়ে তোলেন। পাখোয়াজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধ্রুপদ খেয়ালের মেলবন্ধন। পরিবেশনায় ধ্রুপদী শিল্পী কেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় রিমনি চক্রবর্তী এবং মনোজ পাইন।

‘প্রতিমা কাঁদছে’
নেশার বিরুদ্ধে ২৫ মিনিটের অণু ফিল্ম তৈরি করলেন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য। ছবির নাম--‘প্রতিমা কাঁদছে’। সম্প্রতি দিনহাটার বিবর্তন সাহিত্য গোষ্ঠী আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ওই অণুছবির উদ্বোধন হয়। পেশাগত কারণে যে ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন, তার একটিকে বেছে জাল বুনেছেন উজ্জ্বলবাবু। ছবিতে দেখা যাবে কমল বর্মন নামে বন্ধ কারখানার এক শ্রমিক হতাশা ভুলতে কেমন করে নেশায় পথ বেছে নেয়। উজ্জ্বলবাবুর কথায়, “রোগীর মধ্যে হতাশা থেকে নেশার প্রবণতা দেখেছি। সেটা সমাধান নয়। অণু ফিল্মে সেটাই বলতে চেয়েছি।”

তথ্য সহায়তা: পারমিতা দাশগুপ্ত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.