স্বাস্থ্য দফতর নির্দিষ্ট দাম দিতে রাজি না হওয়ায় গত ১ এপ্রিল থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থা। ফলে রোগীদের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে ও দোকান থেকে খাবার কিনে রোগীদের সরবরাহ করছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩০ টি শয্যা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে সেখানে ১৫ জন রোগী ভর্তি থাকেন। গত ২ বছর ধরে রায়গঞ্জের একটি ঠিকাদার সংস্থা রাঁধুনি নিয়োগ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুবেলা রোগীদের জন্য রান্না করা খাবার সরবরাহ করত। রাঁধুনির অভাবে গত প্রায় চারমাস ধরে ওই ঠিকাদার সংস্থা স্থানীয় একটি হোটেল থেকে খাবার কিনে রোগীদের জন্য সরবরাহ করছিল। ওই ঠিকাদার সংস্থার দাবি, প্রতিদিন দুবেলা রান্না করা খাবার ও টিফিন কিনতে রোগী পিছু ৬০ টাকা খরচ পড়ছে। অথচ স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের খাবারের দাম ৪১ টাকা ৪২ পয়সা নিতে বাধ্য করছে। ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার রানা সাহা বলেন, “আমরা বার বার ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সমস্যার কথা জানালেও খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। সেই কারণে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি। বাড়তি দাম না পেলে খাবার সরবরাহ করব না।” ইটাহারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ মালিড হোসেন বলেন, “সমস্যার কথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
|
হরিকীর্তনের আসরে প্রসাদ খেয়ে কুলডাঙায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৭০ জন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩৮ জন পেটে ব্যথা, জ্বর ও বমি নিয়ে স্থানীয় বাহাদুরপুর প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান আসানসোল মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকর্তা অরিতা সেন চট্টরাজ। তিনি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়াতেই এই বিপত্তি। তবে আশঙ্কার কিছু নেই।” স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা উদিত সিংহ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কুলডাঙা হরিকীর্তনের আসরে ভিজে ছোলা, শশা এবং বোঁদে প্রসাদ হিসেবে খেয়েছিলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তাঁরা। সন্ধ্যা থেকে বাহাদুরপুর প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি হতে শুরু করেন বাসিন্দারা। আসানসোল মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চালু হল রোগী সহায়তা কেন্দ্র। এর ফলে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা উপকৃত হবেন। তাঁদের আর দালালের খপ্পরে পড়তে হবে না। এই কেন্দ্রে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য মিলবে। রোগী কেমন আছেন, তা-ও জানা যাবে। সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরেই ২৪ ঘন্টার এই পরিষেবা চালু হয়েছে। |