টুকরো খবর
হলদিয়া আদালতে অভিজ্ঞান
কলকাতার নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ধৃত অভিজ্ঞান সরকারকে নন্দীগ্রামে মাওবাদী কার্যকলাপে যোগাযোগের অভিযোগে আগেই যুক্ত করেছিল পুলিশ। শুক্রবার অভিজ্ঞানকে হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করে হলদিয়া মহকুমা পুলিশের তরফে নন্দীগ্রামের মামলার সূত্রে ৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম পবিত্রকুমার সেন এই আবেদন নিয়ে আগামী সোমবার, ২৩ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করে আপাতত অভিযুক্তকে হলদিয়া জেলে রাখার নির্দেশ দেন। মহকুমা পুলিশের দাবি, ২০১১-র ১৮ নভেম্বরে নন্দীগ্রামে মাওবাদীদের এক গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিজ্ঞান। গাংড়ায় সঞ্জয় দাসের বাড়িতে ওই গোপন বৈঠক চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে সঞ্জয় (শুভ) ও পরশুরাম দাসকে (নারয়াণ) ধরে ফলে। বাকিরা পালায়। আপাতত সঞ্জয়রা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে তদন্তে অভিজ্ঞান, দেবলীনা চক্রবর্তী-সহ মাওবাদী সংগঠনের আরও কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। নোনাডাঙা থেকে দেবলীনাকেও ধরেছে পুলিশ। তাঁকেও নন্দীগ্রামের মামলায় ইতিমধ্যে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদনও করেছে মহকুমা পুলিশ। তবে অন্য একটি মামলায় তিনি আপাতত রয়েছেন সিআইডি হেফাজতে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডলের হত্যাকাণ্ডেও তেলুগু দীপক, মধুসূদন মণ্ডলের সঙ্গেই অভিজ্ঞান-দেবলীনারাও অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি।

নয়াগ্রামে স্কুলে জয় তৃণমূল সমর্থিতদের
নয়াগ্রামের বাণী-বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব আসনে জয়ী হলেন তৃণমূল সমর্থিতরা। অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ৬টি আসনে কেবলমাত্র প্রধান শাসকদলের সমর্থিত প্রার্থীরাই মনোনয়ন দেন। আগামী ২৯ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্য প্রার্থী না-থাকায় শুক্রবারই তৃণমূল সমর্থিত ৬ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই স্কুলে ২০০৯ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে পরিচালন সমিতি দখল করেছিল বামপন্থীরা। এই স্কুলেরই শিক্ষাকর্মী তথা ব্লক-কংগ্রেস সভাপতি অসিত দাসকে গত ১২ এপ্রিল আমলাডাংরি গ্রামে এক তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বার স্কুল-নির্বাচনে অসিতবাবুর অনুগামীদের জয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল দাবি করে কংগ্রেসের অভিযোগ, পরিচালন সমিতির দখল নিতেই তৃণমূল অসিতবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম মহকুমা সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গীর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাস করে আমাদের লোকজনকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতেও দেয়নি।” একই অভিযোগ সিপিএমেরও। তবে তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের দাবি, ‘‘পুরোটাই অপপ্রচার। ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’

মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভাই’ সেজে প্রতারণা
লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভাই’ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল কাঁথি থানার পুলিশ। জনৈক অঞ্জন ভট্টাচার্য শুক্রবার দুপুরে লালবাতি লাগানো গাড়িতে কাঁথির এসডিও অফিসে আসেন। এসডিও সুমিত গুপ্তকে জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। থাকার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। এসডিও প্রথমটায় খানিক অপ্রস্তুত হয়েও কাঁথি-২ ব্লকের অতিথিশালায় ওই যুবকের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। পরে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশকে জানান। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও যোগাযোগ করেন। বুঝতে পারেন, ভুয়ো পরিচয় দিচ্ছেন ওই যুবক। রাত ন’টা নাগাদ ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই যুবকের গাড়ি থেকে একটি সংবাদ চ্যানেলের ‘প্রেসকার্ড’ উদ্ধার হয়েছে।

ফের কঙ্কাল উদ্ধার ঝাড়গ্রামে
—নিজস্ব চিত্র।
ফের কঙ্কাল উদ্ধার হল ঝাড়গ্রামের শিমলির জঙ্গলে। শুক্রবার জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ফেব্রুয়ারিতে এবং দিন দশেক আগে এই জঙ্গলেই মাটি খুঁড়ে দু’টি কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। লম্বা চুল দেখে এ দিনের কঙ্কালটি মহিলার বলে পুলিশ এক রকম নিশ্চিত। পুলিশের দাবি, মাস ছ’য়েক আগে ‘মাওবাদী’ সন্দেহে ধৃত বৈদ্যনাথডিহি গ্রামের অবনী মাহাতোকে জেরা করে ওই জায়গায় দেহ পোঁতা থাকার কথা জানা গিয়েছিল। বুধবার আদালতের নির্দেশে অবনীকে ফের তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। অবনীকে সঙ্গে নিয়েই এ দিন তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশের আরও দাবি, অবনীর কথামতো কঙ্কালটি নেদাবহড়া পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য স্থানীয় আঁধারিশোল গ্রামের নিখোঁজ বছর আটত্রিশের ফুলমণি মান্ডির। সিপিএমের আগুইবনি লোকাল কমিটির সদস্য ফুলমনি আঁধারিশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষিকা। তবে এ দিন কঙ্কালটি শনাক্ত করতে ফুলমণির পরিজনেরা কেউ আসেননি। সিপিএম সূত্রের দাবি, ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে আঁধারিশোল গ্রামের বাড়ি থেকে ফুলমণিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মাওবাদীরা। আতঙ্কে পরিজনেরা আজ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানাননি।

দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা
—নিজস্ব চিত্র।
বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল একটি বাস। প্রাণে বাঁচলেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা। হারাতলা-মেদিনীপুর রুটের বাসটি মেদিনীপুর থেকে কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। কেশপুরের পঞ্চমী সেতুর কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রাস্তা ছাড়িয়ে ডান দিকে ঝুঁকে পড়ে। পঞ্চমীতে নতুন সেতু তৈরির কাজ চলছে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নতুন সেতুর কাছাকাছি চলে যায়। রাস্তার ডান দিকে একাধিক খুঁটি রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক বাস নিয়ে প্রথমে সেই সব খুঁটিতে ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই খুঁটি না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ এই রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। বাসযাত্রীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেশপুর থানার ওসি আবদুর রউফ খান। পরে ক্রেন এনে বাসটিকে সরানো হয়।

কেশপুরে আক্রান্ত এ বার ইঞ্জিনিয়র
এ বার ব্লক অফিসে ঢুকে এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে মারধরে জুড়ে গেল শাসক তৃণমূলের নাম। ঘটনাস্থল সেই কেশপুর। শুক্রবার সকালে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদার ব্লক অফিসে ঢুকে ওই ইঞ্জিনিয়রকে মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ব্লক অফিসের সব কর্মী কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে বিডিও ইন্দ্রজিৎ সরকার থানায় ওই ঠিকাদারের নামে অভিযোগ দায়ের করলে কাজ শুরু করেন কর্মীরা। তৃণমূল অবশ্য অভিযুক্ত ঠিকাদাররের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অস্বীকার করেছে। কাজের বরাত সংক্রান্ত বিরোধেই ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়রের উপরে চাড়াও হয় বলে ব্লক অফিস সূত্রের খবর।

কাঁথিতে কংগ্রেসের ডেপুটেশন
খেজুরি থানার দক্ষিণ কলমদানে দিঘা-কলকাতা সড়কের ইড়িঞ্চি সেতুতে একের পর এক দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাঁথির মহকুমাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিল কাঁথি মহকুমা কংগ্রেস। বুধবার মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্তের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে অবিলম্বে সেতুর দু’পাশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, গাছপালা কাটা ছাড়াও ডিভাইডার ও স্পিড ব্রেকারের দাবি জানানো হয়। ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি গঙ্গারাম মিশ্র, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস পাহাড়ি, মামুদ আলি, প্রণব পঞ্চাধ্যায়ী প্রমুখ।

ধর্ষণ, ৭ বছর জেল
প্রতিবেশী নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগে ভগবানপুর থানার খেজুরআড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণশঙ্কর দত্তকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন কাঁথির অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক মনোজকুমার শর্মা। মামলার সরকারি আইনজীবী বেণিমাধব বেরা জানান, ২০০৮ সালে মেয়েটির বাবা ভগবানপুর থানায় অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী কৃষ্ণশঙ্কর তাঁর নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কৃষ্ণশঙ্করকে গ্রেফতার করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.