দুধ-ব্যবসায়ীদের আন্দোলন |
ছানার মিষ্টি উধাও ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রামের বাজার থেকে রসগোল্লা উধাও! গ্রীষ্মের দুপুরে শেষ পাতে দেওয়ার মতো মিঠে-দইও অমিল। শহরের প্রসিদ্ধ দোকানগুলিতে এক সপ্তাহ ধরে ছানার মিষ্টি নেই। পরিবর্তে শো-কেসে শোভা পাচ্ছে বেসন ও ময়দার মিষ্টি। গত রবিবার থেকে দুধ বিক্রেতারা দুধের দাম বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। শহরের মিষ্টির দোকান গুলিতে দুধ, খোয়া ও ছানা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন দুধ ব্যবসায়ীরা। যার ফলে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। মঙ্গলবার অক্ষয়-তৃতীয়া। ওই দিন ভালরকম মিষ্টির চাহিদা থাকে। কিন্তু দুধের অভাবে অক্ষয়-তৃতীয়ার জন্য আগাম অর্ডার নিতে পারেননি মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। |
|
শুধুই বেসন-ময়দার মিষ্টি। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
ঝাড়গ্রাম মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় তেওয়ারি জানান, দুধ-ছানার অভাবে শহরের ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৫টি দোকানে ছানার মিষ্টি বানানো সম্ভব হচ্ছে না। মলয়বাবুর অভিযোগ, “আচমকা দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে গত রবিবার থেকে দুধ-ছানা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন দুধ ব্যবসায়ীরা। আমাদের সঙ্গে দুধ ব্যবসায়ীরা আলোচনাতেও বসছেন না। বাইরের দুধ বিক্রেতারা শহরের দোকানে দুধ বিক্রি করতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” শুক্রবার শহরের একটি মিষ্টির দোকানে এ রকম দুধ বিক্রি করতে গেলে এক বিক্রেতার দুধের ক্যান রাস্তায় উল্টে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঝাড়গ্রাম দুগ্ধ ও ছানা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস ঘোষ জানিয়েছেন, গরুর দুধ প্রতি লিটার ২৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৮ টাকা ও মোষের দুধ ২৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে লিটার প্রতি ৩৫ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। ছানা ও খোয়ার দর কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার দাবি করেছেন দেবাশিসবাবুরা। দেবাশিসবাবুর দাবি, শহরের দু’একটি মিষ্টি দোকান বর্ধিত দামে দুধ-ছানা কিনছে। বাদবাকি ছোট-বড় ৩৫টি প্রসিদ্ধ দোকান মালিকেরা বর্ধিত দাম দিতে অম্মত হওয়ায় ওই দোকান গুলিতে দুধ-ছানা সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে দুধ-ছানার দাম বাড়াতে তাঁরা রাজি বলে জানান মলয়বাবু। তবে দুধ-ছানার দাম বাড়ানো হলে সে ক্ষেত্রে মিষ্টির দাম বাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা। |
|