শিল্প অবশ্যই চাই। তবে ব্রিটেন সেই সব শিল্পেই বিনিয়োগ করতে চাইছে, যা থেকে পরিবেশে কম দূষণ ছড়ায়।
সেই জন্যই রাজ্যে পরিবেশ-বান্ধব শিল্পে লগ্নি করতে চান ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত শিল্পও। শুক্রবার কলকাতায় এ কথা জানান ব্রিটেনের পরিবেশমন্ত্রী গ্রেগরি বার্কার।
ব্রিটিশ পরিবেশমন্ত্রী এ দিন মহাকরণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “ব্রিটেনের তুলনায় ভারতের পরিবেশ এমনিতেই অনেক বেশি দূষিত। তার উপরে এ দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। তাতে সব চেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা আছে পরিবেশেরই। তাই পরিবেশ-বান্ধব শিল্পেই আমাদের আগ্রহ বেশি।” তাঁদের দেশের লগ্নিকারীরা ওই সব শিল্পের দিকেই ঝুঁকছেন বলে জানান গ্রেগরি। |
ব্রিটেনের পরিবেশমন্ত্রী গ্রেগরি বার্কারের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। নিজস্ব চিত্র |
শিল্পের বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষণ কমাতে লন্ডনের ইমম্পিরিয়াল কলেজ নিয়মিত গবেষণা করছে বলে জানান ব্রিটেনের পরিবেশমন্ত্রী। সুদর্শনবাবু এ দিন বলেন, “প্রয়োজনে লন্ডনের ওই কলেজের সহায়তায় কলকাতাতেও কোনও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় কি না, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।” গ্রেগরি জানান, ব্রিটেনে এখনও শিল্প-কারখানা এবং অন্য উৎস থেকে পরিবেশ দূষণ ঘটেই চলেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সেই দূষণ ৮০ শতাংশ কমিয়ে ফেলা হবে বলেও তাঁর দাবি। তাঁর কথায়, “শিল্প-ভিত্তিক এমন অর্থনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে বাতাসে কার্বন কণা যথাসম্ভব কম মিশতে পারে। শুধু ব্রিটেনে নয়, এই ‘লো-কার্বন ইকনমি’ পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলে মনে করেন গ্রেগরি। |