তোলা আদায়ের চেষ্টা এবং অপহরণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজাবাগান থানার পুলিশের কাছে ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এক যুবক তাঁর কাছে ২৫ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা করছে। টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে অপহরণ ও খুনের হুমকি দিয়েছে। ধৃতদের নাম হেদায়েতুল্লা মোল্লা ওরফে রাজা, হাফিজুর রহমান, আরব শাহ আলি মোল্লা এবং আজিজ ভাণ্ডার। জামাকাপড় সেলাইয়ের কাজ করে তারা।
পুলিশ জানায়, জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেনের অভিযোগ, ১ এপ্রিল তাঁর মোবাইলে প্রথম হুমকি ফোন আসে। ৭ এপ্রিল রাতে ফের ফোন করে ওই যুবক। ইকবাল পুলিশকে জানান, প্রথমে অতটা গুরুত্ব দেননি। তবে দ্বিতীয় বার ফোন পেয়ে শঙ্কিত হন তিনি।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ফোন করা হচ্ছিল হেদায়েতুল্লার বোনের মোবাইল থেকে। তার বোন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তার মোবাইলে অন্য একটি সিম কার্ড ভরে তার দাদা দিন কয়েক ব্যবহার করছে। পুলিশের দাবি, হেদায়েতুল্লা জেরায় স্বীকার করে, টাকার লোভে সে ও তার সঙ্গীরা ইকবালকে ফোন করেছিল। ইকবাল বড় ব্যবসায়ী। তাই তারা ভেবেছিল, ভয় পেয়ে ওই টাকা দিয়েও দিতে পারেন তিনি।
|
গাড়ি চুরির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার, বেলঘরিয়া থেকে। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া গাড়িটিও। ধৃত বীরেন্দ্র সিংহ ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বালির দু’নম্বর জাতীয় সড়কের বামুনডাঙা এলাকা থেকে চুরি যায় গাড়িটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে জাতীয় সড়কে গাড়ি চুরির কোনও বড় চক্রের হাত রয়েছে। পুলিশ জানায়, গাড়িটি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িতেই চাবি লাগিয়ে বামুনডাঙার কাছে বাথরুমে গিয়েছিলেন চালক। সে সময়ে চুরির ঘটনা ঘটে। তখন জাতীয় সড়কে বালি থানার একটি জিপ টহল দিচ্ছিল। চালকের থেকে ঘটনাটি জেনে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি কন্ট্রোল রুমে ও পার্শ্ববর্তী থানায় জানিয়ে দেন বালি থানার দুই অফিসার বিপ্রজিৎ সরকার ও সনাতন গোস্বামী। শুক্রবার সকালে গাড়ি-সহ ওই যুবককে আটক করে বালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
|
তাঁর লেখা একটি কবিতায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্মিত মন্তব্য ছিল, ‘পুলিশেও গায় নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীত!’ শুক্রবার সন্ধ্যায় তারই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলল। এ দিন ময়দানে, ‘পুলিশ অ্যাথলেট ক্লাব’-এ পুলিশের ব্যান্ডের সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেন বাহিনীর পুরুষ ও মহিলারা। পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা বলেন, “এখন ওঁরা রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।” কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে এই প্রথম নববর্ষ উপলক্ষে ‘চা-চক্র’-এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্য, রাজ্য পুলিশের কর্তা, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য এবং বিশিষ্ট শিল্পীরা।
|
চালকের তৎপরতায় মেট্রোর লাইনে পড়েও বেঁচে গেলেন এক যুবক। শুক্রবার, কবি নজরুল স্টেশনে। মেট্রো সূত্রে খবর, গড়িয়ার বাসিন্দা পরিমল সাহা নামে ওই যুবক মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দিলেও ড্রাইভার আপৎকালীন ব্রেকের সাহায্যে গাড়ি থামান। এর জেরে কিছুক্ষণ মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন অবধি মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের বলা হয়েছে মেট্রোর গতি কমিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢোকাতে। সব স্টেশনে দু’জন করে আরপিএফ থাকছেন। বসেছে সিসিটিভি। মেট্রো সিকিউরিটি কন্ট্রোল রুম থেকেও একজন আরপিএফকে সিসিটিভি দেখার জন্যই রাখা হয়েছে।”
|
বোমাতঙ্ক ছড়াল রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের তালতলা শাখায়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ পি সি নাহার অ্যাভিনিউয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে কেউ ফোনে জানায়, ব্যাঙ্কে বোমা রাখা আছে। ম্যানেজার তালতলা থানায় খবর দেন। খবর যায় লালবাজারের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডেও। ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালিয়েও বোমা মেলেনি। পুলিশ জানায়, কে ওই ফোন করেছিল, তা এ দিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। কারণ ওই ব্যাঙ্কের ফোনে ‘কল লাইন আইডেন্টিফিকেশন’ (সিএলআই) লাগানো ছিল না।
|
হাইকোর্টে রঙ্গচিত্র-বিতর্ক নিয়ে জনস্বার্থের মামলাটির শুনানি হল না। প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন মামলাটির শুনানির সময় নির্দিষ্ট করেছিল। সেই অনুযায়ী আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও রাজ্যর পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র হাজিরও ছিলেন। কিন্তু অনিন্দ্যবাবু আদালতে জানান, মামলার আবেদনের প্রতিলিপি রাজ্য সরকার পেয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে। তার ফলে প্রস্তুতি চালানো সম্ভব হয়নি। বিকাশবাবু বলেন, তিনি মামলার আবেদনের কিছু অংশ সংশোধন করতে চান। এই অবস্থায় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪ মে মামলাটির শুনানি হবে। |