নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাইসনের হামলায় জখম হলেন তিন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের কুমারগ্রামের মরাখাতা গ্রামে। জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১১টা নাগাদ বনকর্মীরা বাইসন তিনটিকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন। ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার বাইসনের জঙ্গল ছেড়ে বেরোনোর ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবারেও নিউল্যান্ডস চা বাগানে একটি বাইসন এক চা শ্রমিকের উপর হামলা চালায়। রবিবার আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পাতলাখাওয়া গ্রামে একটি বাইসন ঢুকে তিন গ্রামবাসীকে জখম করে। কেন বাইসন জঙ্গল থেকে বার হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বনকর্মী এবং পরিবেশপ্রেমীদের সন্দেহ, জঙ্গলে ঝোরা শুকিয়ে যাওয়ায় জলের অভাব হচ্ছে। সোমবার জলদাপাড়া ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “জলের উৎস বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। জঙ্গলে নজরদারি বাড়ানো এবং মানুষ-বন্যপ্রাণ সঙ্ঘাত কমাতে সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে।” আলিপুরদুয়ার রোভার্স অ্যান্ড মাউনটেনার্স ক্লাবের সম্পাদক বাবুল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জঙ্গলে বাইসন বেড়েছে। খাবারের বা জলের উৎস তৈরি হচ্ছে না। বনাঞ্চলে গবাদি পশু ও মানুষের প্রবেশে সমস্যা হচ্ছে। জঙ্গলে আরও জলাশয় করা দরকার।”
|
তাড়া খেয়ে মানসের গন্ডার ঘরে ফিরল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দু’দিন ধরে ‘সন্ত্রাস’ চালিয়ে, পাঁচজনকে জখম করে শেষ পর্যন্ত মানসের ঘরছাড়া গন্ডার ঘরেই ফিরল। মঙ্গলবার সকালে মানসের বাঁশবাড়ি রেঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে আসে একটি স্ত্রী-গন্ডার। বেকি নদী পার হয়ে বরপেটা জেলার সরভোগ অবধি চলে আসে সে। গন্ডারকে গরু ভেবে খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে এক মহিলা ও চার ব্যক্তি জখম হন। বনকর্মীরা গন্ডারটির পিছু ধাওয়া করলেও গত কাল বিকেল অবধি সে বেকি নদীর জলে সাঁতার কেটে সময় কাটায়। গন্ডার ধরতে না পারায় গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ঘেরাও করে। থানায় আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচান তাঁরা। মানস জাতীয় উদ্যানের অধিকর্তা অনিন্দ্য স্বরগোহারি জানান, নাগাড়ে গন্ডারটিকে ধাওয়া করার পরে কাল সন্ধ্যায় তাকে বাঁশবাড়ি রেঞ্জের ভিতরে ঢোকানো হয়। সম্প্রতি যে ১৮টি গন্ডারকে কাজিরাঙা ও পবিতরা থেকে মানসে আনা হয়েছিল এই গন্ডারটি তাদেরই একজন। আজ সকালে বোকাখাত জেলার ২ নম্বর বরজুরি মিসিং গাঁওতে বাঘের আক্রমণে জখম হন গোপেশ্বর কুটুম নামে এক ব্যক্তি।
|